বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ১১ ই জানুয়ারি……সাংস্কৃতিক শহর হিসেবে পরিচিত খোয়াই শহরের নাম কুলুষিত করতে এবং অপসংস্কৃতির দিকে ধাবিত করতে সামাজিক মাধ্যমকে হাতিয়ার করে মিথ্যে খবর প্রচার করে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে খোয়াই বাসির মনে সামাজিক মাধ্যমের কিছু নোংরা কিট রা! খবরটি ছিল এইচ আই ভি রোগে আক্রান্ত এক যুবক। তেমনি এক ঘটনা ঘটে গেছে খোয়াই শহরের বুকে গত একপক্ষ কাল আগে।দেখা গেছে এই খবরটি প্রতিহিংসা ও প্ররোচনা মূলক এক মিথ্যা খবরের জেরে বিগত এক পক্ষ কাল ধরে খোয়াই বাসি আতঙ্কিত হয়ে রয়েছে। ঘটনার বিবরণে জানা যায় খোয়াই শহরের এক প্রসিদ্ধ রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী হৃদয় রেস্টুরেন্টের মালিক রঞ্জিত ঘোষের ছেলে হৃদয় ঘোষ ২৭ সে নাকি এইচ আই ভি রোগে আক্রান্ত। এই খবরটা গত এক পক্ষ ধরে খোয়াইতে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার কারণে এই রেস্টুরেন্ট কে একপ্রকার সামাজিক বয়কট করেছে খোয়াইবাসি। অন্যদিকে রেস্টুরেন্টের মালিকের ছেলে হৃদয় ঘোষ ও পরিবারের লোকজন এই অপপ্রচারের কারণে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন । অবশেষে এই খবরকে সত্যতা প্রমাণ করতে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী রঞ্জিত ঘোষ এর ছেলে হৃদয় ঘোষ প্রথমে একটি বেসরকারি ডায়াগনোসিস সেন্টার থেকে রক্ত পরীক্ষা করান সেখানে ও তার রিপোর্ট আসে নেগেটিভ। এরপর আবার খোয়াই জেলা হাসপাতালের আই সি টি সি সেন্টারে আবার রক্ত পরীক্ষা করান সেই জায়গা থেকেও ঠিক একই রকম ভাবে রিপোর্ট এসেছে নেগেটিভ। এই মিথ্যে খবরের জেরে রঞ্জিত ঘোষের সমস্ত পরিবার মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে। অবশেষে মিথ্যে প্রচার কে বন্ধ করতে রঞ্জিত ঘোষ খোয়াই থানাতে একটি এফ আই আর করে। এবং শনিবার দুপুরে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে সাংবাদিকদের কাছে সমস্ত রিপোর্ট তুলে দেখিয়ে দেন যে হৃদয় ঘোষ ওই রোগে আক্রান্ত নন। অর্থাৎ উনার ব্যবসাকে ক্ষতি করার উদ্দেশ্যেই এক শ্রেণীর দুষ্ট প্রকৃতির লোকজন উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে সামাজিক মাধ্যমে এই মিথ্যে খবরটি ছড়িয়ে দেয়। এখানে দেখা গেছে একটি মিথ্যা খবর কে কেন্দ্র করে বিশেষ করে এইচ আই ভি রোগের নাম করে সামাজিক মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসন ও সাইবার ক্রাইমের কোন ধরনের হেল দুল দেখতে পাওয়া যায়নি বিগত একপক্ষ কাল ধরে। অন্যদিকে উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়া এই মিথ্যে খবরের হাওয়াকে আরো তেজি করতে এক প্রভাতী কাগজের কলমচির অবদান ও রয়েছে এই মিথ্যে খবরটি প্রকাশের ক্ষেত্রে। অন্যদিকে এই মিথ্যে খবরের জেরে সমস্ত খোয়াই মহাকুমা বাসি আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে রয়েছে। এবার প্রশ্ন হল সামাজিক মাধ্যমে যে যার মত করে প্রচার শুরু করে দিলে অর্থাৎ ভুয়ো প্রচার শুরু করলে সেই ক্ষেত্রে পুলিশ এবং সাইবার ক্রাইম যথাযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রয়োজন বলে মনে করছেন খোয়াই এর শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন জনগণ। আর এখানে পুলিশ এবং সাইবার ক্রাইম যথাযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে সামাজিক মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে দুষ্ট চক্র সামাজিকতা নষ্ট করতে পিছন পা হবেনা। কেন পুলিশ এবং সাইবার ক্রাইম এই সমস্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে খুব দ্রুততার সঙ্গে পদক্ষেপ গ্রহণ করে না এ নিয়ে খোয়াই এর শুভবুদ্ধি সম্পন্ন জনগণ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। যেখানে এইচ আই ভি আক্রান্ত রোগীদের নাম ধাম সরকার পর্যন্ত গোপন রাখে সেই জায়গায় নির্দোষ এক ব্যক্তির নামের সাথে এই রোগ যোগ করে সমাজের সামনে এই যুবক কে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই ধরনের খবর সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও শনিবার দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলন করে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী রঞ্জিত ঘোষ ছেলের হয়ে সমস্ত বিষয়টি তুলে ধরেন এবং খোয়াই বাসির কাছে আবেদন রাখেন ওরা যেন এই সমস্ত গুজবে কান না দিয়ে সরকারি এবং বেসরকারি ল্যাবোটারির রিপোর্টকে প্রাধান্য দিয়ে পুনরায় গ্রাহকরা আগের মত নিশ্চিন্তে উনার রেস্টুরেন্টে আসতে পারেন এই কথাগুলি সাংবাদিকদের কাছে বলেন তিনি। তাছাড়া তিনি এও আবেদন করেন উনার রেস্টুরেন্টে কোন ব্যক্তি ওই রোগে আক্রান্ত নয়। সুতরাং নির্ভয়ে রেস্টুরেন্টে আসার জন্য আবেদন করেন। রঞ্জিত ঘোষ এও জানান এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে তিনি সাইবার ক্রাইম এবং জেলা পুলিশ সুপারের কাছে যাবেন। যে দুষ্টচক্ররা হৃদয় ঘোষের নামে মিথ্যা অপপ্রচার সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করেছেন তাদেরকে সনাক্ত করে সুনির্দিষ্ট শাস্তি প্রদানের জন্য প্রার্থনা করেন সাইবার ক্রাইম এবং পুলিশ প্রশাসনের কাছে। যাতে অদুর ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা কোন ধরনের ব্যক্তির সাথে না ঘটে সেই দিকে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন বলে জানান বুদ্ধিজীবী মহল।