Thursday, November 21, 2024
বাড়িখবরশীর্ষ সংবাদখাদ্য দপ্তরের নির্দেশ মূলে রেসনিং ব্যবস্থায় গত দুই মাসের ১৫০ মেট্রিক টন...

খাদ্য দপ্তরের নির্দেশ মূলে রেসনিং ব্যবস্থায় গত দুই মাসের ১৫০ মেট্রিক টন আটা খোয়াই এর কোন রেশনের গ্রাহকরা না পাওয়ার কারণে সিপিএম দলের পক্ষ থেকে মহকুমা শাসকের কাছে ডেপুটেশন প্রদান করা হয় ।

বাসুদেব ভট্টাচার্জী খোয়াই ১৫ ই নভেম্বর….. গত দুই মাস ধরে খোয়াই মহকুমা এলাকার প্রত্যেকটি ন্যায্য মূল্যের দোকানের জন্য খাদ্য দপ্তর থেকে বরাদ্দকৃত গত সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর মাসে দেড় লক্ষ মেট্রিক টন অর্থাৎ দের লক্ষ কেজি আটার ঘোটালা কে কেন্দ্র করে খোয়াই সিপি আইএম দলের পক্ষ থেকে খোয়াই মহকুমা শাসকের নিকট শুক্রবার বিকেলে ডেপুটেশন প্রদান করা হয় ।এই দিন ডেপুটেশন প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন খোয়াই এর মাননীয় বিধায়ক শ্রী নির্মল বিশ্বাস ডি ওয়াই এফ আই সংগঠনের রাজ্য কমিটির সভাপতি পলাশ ভৌমিক , সিপিএম দলের খোয়াই মহকুমা কমিটির সম্পাদক পদ্ম কুমার দেববর্মা সি পি আই এম দলের কৃষক সভার নেতা মনোজ দাস ও গৌতম পাল। শুক্রবার বিকেলে এই প্রতিনিধি দলটি খোয়াই মহকুমা শাসক চারু ভর্মার নিকট এক দফা দাবি নিয়ে ডেপুটেশন প্রদান করেন। দাবি ছিল খোয়াই মহাকুমা জুড়ে সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর মাসের আটা একটি রেশনের দোকানেও দেওয়া হয়নি । অথচ রাজ্য সরকারের খাদ্য দপ্তর থেকে সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর মাসের জন্য আটা, সুজি, ময়দা,চিনি রেশনিং ব্যবস্থার মাধ্যমে দেওয়ার জন্য অর্ডার বের হয় । যথারীতি ওই দুই মাসে রেশনিং ব্যবস্থার মাধ্যমে ময়দা সুজি চিনি রেশনের গ্রাহকরা পেয়ে থাকলেও বরাদ্দকৃত দেড় হাজার মেট্রিক টন আটা অর্থাৎ ১৫০০ লক্ষ কেজি আটা খোয়াই মহকুমার অন্তর্গত একটি রেশনের দোকানেও পৌঁছায়নি যার কারণে গত দুই মাসের আটা কোন গ্রাহক পাইনি বলে জানান খোয়াইয়ের মাননীয় বিধায়ক নির্মল বিশ্বাস। এখানে প্রশ্ন হল খাদ্য দপ্তরের নির্দেশ অনুযায়ী রেশনিং ব্যবস্থার মাধ্যমে জনগণকে ১৩ টাকা দামে আটা প্রদান করা হয় । দেড় হাজার মেট্রিক টন আঠা যদি রেশনিং ব্যবস্থার মাধ্যমে রেশন কার্ড হোল্ডারদের আটা না দেওয়া হয়ে থাকে তাহলে সেই দেড় হাজার লক্ষ মেট্রিক টন আটা কোথায় গেল। ধারণা করা হচ্ছে সরকারের ধার্যকৃত মূল্য থেকে যদি দশ টাকা করে বেশি দামে খোলা বাজারে বিক্রি করে দেওয়া হয় তাহলেও ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকার হেরাফেরি হয়েছে কালোবাজারি মাধ্যম । অথচ ১৫০ মেট্রিক টন আটা রাজ্য সরকারের গোডাউন থেকে বেরিয়ে খোয়াইতে না এসে সেই আটা রাস্তাতেই গায়েব হয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত বলে গোপন সূত্রের খবর রয়েছে । যার ফলে রেশনিং ব্যবস্থার মাধ্যমে জনগণ সেই আটা পায়নি গত দুই মাস ধরে । অন্যদিকে খোয়াইয়ের খাদ্য দপ্তরের আশেপাশে কান পাতলেই শোনা যায় আটার এই কালোবাজারি সাথে বেশ বড় বড় মাথায় রয়েছে বলেও খবর রয়েছে । এখন দেখার বিষয় খোয়াই এর মহাকুমা শাসক মহোদয়া এই কালোবাজারির বিরুদ্ধে আগামী দিনে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে সেটাই দেখার বিষয় ।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

seven + two =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য