ভবিষ্যৎ প্রতিনিধি খোয়াই ১৫ ই নভেম্বর নভেম্বর…. অবশেষে গ্রেফতার হলো সাংবাদিককে আক্রমণকারী আসামি মিঠুন গোপ বৃহস্পতিবার রাত ৯ টা নিজে বাড়ি থেকে। সোমবার রাতে খোয়াই এর সাংবাদিক আশীষ চক্রবর্তীকে বিজেপি দলের এক নেশা কারবাড়ি দুষ্কৃতী জয়ন্ত গোপ ওরফে মিঠুন গোপ প্রাণঘাতী হামলা সংঘটিত করাতে রক্তাক্ত হয়ে পড়ে সাংবাদিক আশীষ চক্রবর্তী । সেই সাংবাদিককে মারার অভিযোগে পুলিশ কি ধরনের তদন্ত করছে এবং কি ব্যবস্থা নিয়েছে সেই খবর নিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে আগরতলা থেকে এক ঝাঁক বলিষ্ঠ সাংবাদিকদের এক প্রতিনিধি দল খোয়াইতে আসেন। এই প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন হেডলাইনস ত্রিপুরার কর্ণধার তথা আগরতলা প্রেস ক্লাবের প্রাক্তন সম্পাদক প্রণব সরকার, ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সম্পাদক সুরজিৎ পাল, দৈনিক সংবাদের সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট নিউজ এডিটর দিপন্ত মজুমদার খুমলুং প্রেসক্লাবের সম্পাদক রঞ্জিত দেববর্মা । এছাড়া খোয়াই জেলা প্রেসক্লাবের সম্পাদক গোপেশ গোপ ,খোয়াই জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি বাসুদেব ভট্টাচার্জী, খোয়াই মহাকুমা প্রেসক্লাবের সম্পাদক সুভঙ্কর দে সহ খোয়াই জেলার সমস্ত সাংবাদিকরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন । সাংবাদিকদের প্রতিনিধি দল প্রথমে এসে খোয়াই সরকারি ডাক বাংলাতে আক্রান্ত সাংবাদিক আশীষ চক্রবর্তী সাথে বৈঠক করে ঘটনার বিস্তারিত জানেন। এরপর প্রতিনিধি দলটি অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার প্রবীর পালের সাথে দেখা করে বিস্তারিত ঘটনাটি জানান ।এবং পুলিশের সামনে সাংবাদিকের উপর প্রাণঘাতী হামলার বিষয়ে কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন সেই বিষয়ে আলোচনা করেন এবং শেষে জেলার এস পি রতি রঞ্জন দেবনাথ এর সাথে দেখা হলে উনাকেও বিষয়টি জানিয়ে আসেন আগরতলা থেকে আগত সাংবাদিকদের প্রতিনিধি দলটি। পাশাপাশি যে দুই পুলিশ অফিসারের সামনে সাংবাদিককে মারা হয় এবং পুলিশকে গালমন্দ করেছিল আসামি জয়ন্ত গোপ(মিঠুন) তাকে ঘটনার সময় গ্রেফতার না করে ছেড়ে দেয় খোয়াই থানার সাব ইন্সপেক্টর অজিত দেববর্মা এবং খোয়াই সুভাষ পার্ক পুলিশ ফাঁড়ির ওসি রঞ্জিত দাস মিঠুন গোপের সাথে সখ্যতার কথার সেই কারণে তাদেরকে বরখাস্ত করতে অভিযোগ জানানো হয় । রাজ্যের বলিষ্ঠ সাংবাদিক প্রণব সরকার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রবীর পালের সঙ্গে যখন আলোচনা করছিলেন তখন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তিনি জিজ্ঞাসা করেন কাকে মারা হয়েছে!! খোয়াই সাংবাদিক মহল অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের এহেন উক্তিতে অনেকটা হতভম্ব হয়ে পড়ে । এদিকে প্রায় চার দিন অতিক্রান্ত হতেচলেছে অথচ খোয়াই জেলার বর্তমান সময়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার কোন সাংবাদিক কে দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করল তিনি এই বিষয়েই অবগতই নন অথচ সমস্ত পত্রপত্রিকায় সেই খবরটা ফলাও করে ছাপা হয়েছে । এই হল খোয়াইয়ের পুলিশ বাবুদের কর্মকান্ড তাইতো পুলিশের হেফাজত থেকে আসামি পালিয়ে যায় আর প্রকারান্তরে মিঠুন গোপের মতন সমাজ বিরোধী নেশা কারবারীদের কাছ থেকে থানা বাবুরা মাসিক উপঢৌকন আদায় করে থাকে । আর এই সব কারণেই দিন দিন সংস্কৃতির শহর খোয়াইতে অপরাধের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছ তাও এই আমলে সমাজ বিরোধীদের আস্কারা দেওয়ার ফলে । সর্বশেষে রাজ্যের বরিষ্ঠ সাংবাদিকদের প্রতিনিধিদলটি অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে জানিয়ে যায় খুব দ্রুততার সঙ্গে সাংবাদিক আশিষ চক্রবর্তীর উপর আক্রমণকারী মিঠুন গোপের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে রাজ্যের সাংবাদিক মহল এই বিষয়টিকে ছেরে কথা বলবে না দরকার হলে পথে বসে আন্দোলন করবে । যদিও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের প্রতিনিধি দলকে আশ্বাস প্রদান করেন খুব দ্রুততার সঙ্গে এই অপরাধীর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আগরতলা থেকে আগত সাংবাদিকদের প্রতিনিধি দলের দাবরানি খেয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রতিনিধি দলটি ফিরে যাবার তিন ঘন্টার মধ্যে বৃহস্পতিবার রাত ৯ টা নাগাদ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় সাংবাদিকের উপর আক্রমণকারী আসামি মিঠুন গোপ কে। খোয়াই থানার কেইস নাম্বার ছিল ৭৫/ ২০২৪, ধারা গুলি হল ১১৭ (২) ১৫১(৩) বিএনএস ধারায় মামলা নিয়ে শুক্রবার আসামি মিঠুন গোপকে আদালতে তুললে আদালত মিঠুন গোপকে ১৪ দিনের জন্ন জেলে পাঠিয়ে দেয়। এই মামলার তদন্তকারী অফিসার ছিল খোয়াই থানার সাব ইন্সপেক্টর তথা সেকেন্ড অফিসার যুগল ত্রিপুরা ।