Friday, November 22, 2024
বাড়িখবরশীর্ষ সংবাদঅসহায় এক গৃহবধূকে দিনের পর দিন ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে ধর্ষণ করার অভিযোগে...

অসহায় এক গৃহবধূকে দিনের পর দিন ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে ধর্ষণ করার অভিযোগে দুই ব্যক্তির নামে খোয়াই মহিলা থানায় মামলা। ঘটনা খোয়াই উত্তর শিঙি ছড়া এলাকায়।

বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ১৩ই নভেম্বর…….এক গৃহবধূকে দিনের পর দিন ভয় ভীতি প্রদর্শন করে ধর্ষণ করার অভিযোগে খোয়াই মহিলা থানায় আসতেই ঘটনার মীমাংসার জন্য অভিযোগকারীকে চাপ সৃষ্টি করা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে খোয়াই মহকুমা জুড়ে। ঘটনাটি সংঘটিত হয় খোয়াই মহিলা থানার অন্তর্গত উত্তর সিঙ্গিছড়া গ্রামে। যে দুই অপরাধীর বিষয়ে অসহায় গৃহবধূ খোয়াই মহিলা থানায় সাহস দেখিয়ে অভিযোগ নিয়ে আসেন সেই ধর্ষণকারী দুই যুবক সুব্রত দাস (৪৫)। দ্বিতীয় যুবকের নাম অজয় দাস (৪০)। সোমবার ওই গৃহবধূ খোয়াই মহিলা থানায় অভিযোগ নিয়ে আসে মহিলা থানার। পরবর্তীতে মহিলা থানার পুলিশ মঙ্গলবার ওই দুই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে এলে পুলিশের উপর চাপ সৃষ্টি করে দুই যুবককে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিয়ে উত্তর সিঙ্গিছড়া গ্রামের সহজ সরল দুই সন্তানের জননী জানিয়েছেন, উনার উপর এই দুই যুবক কখনো উনার স্বামীকে হত্যা করার হুমকি আবার কখনো ছোট্ট দুটি ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে দিয়ে উনাকে বলপূর্বক ধর্ষণ করতো। উনার স্বামী একজন দিনমজুর শ্রমিক হওয়াতে কাজের সন্ধানের সকালেই বেরিয়ে যেত। আর ফিরে আসতো রাতে। সেই নির্জনতার সুযোগ নিয়ে এই দুই দুষ্কৃতী বিগত কয়েক মাস ধরে ওনার সঙ্গে এই ধরনের বর্বরতা চালিয়ে আসছিল। ঘটনা উনার স্বামীকে বললে স্বামীকে মেরে ফেলে দেবার হুমকিও নাকি দেওয়া হতো। আর এই ভয়ে এই গৃহবধূটি দুই দুষ্কৃতির অত্যাচার সহ্য করে আসছিল।
অন্যদিকে এই নির্যাতিতা গৃহবধূর স্বামী জানান, গত কিছুদিন পূর্বে তিনি অসুস্থতার কারণে অর্ধেক কাজ সেরে বিকেলে বাড়ি ফিরে এসে দেখতে পান সুব্রত দাস তার স্ত্রীকে নির্যাতন করছে। তিনি ঘরে প্রবেশ করতেই অজয় দাস পালিয়ে যায়। এরপর এই গৃহবধূর স্বামী সাহস দেখিয়ে এক মুহুরীর কাছে আশ্রয় নেয় একটি অভিযোগ লিখে দেবার জন্য। জনৈক মুহুরী এক হাজার টাকার বিনিময়ে দুই পাতার একটি অভিযোগ লিখে দেন ওই অসহায় পরিবারটিকে। অক্ষর জ্ঞানহীন হবার কারণে ওই পরিবারটি লিখিত দু পাতার অভিযোগ নিয়ে মহিলা থানায় জমা দেন। মহিলার সঙ্গে ধর্ষণের মত জঘন্যতম অপরাধ সংঘটিত হলেও চতুর মুহুরী ঘটনাটি শ্লীলতা হানির অভিযোগ নিয়ে লিখে দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। পরবর্তীতে জল অনেক ঘোলার পর, খোয়াই মহিলা থানায় পুলিশ মামলা নথিভুক্ত করেন। আইনের ধারা অনুসারে যেখানে মহিলা সংক্রান্ত বা ধর্ষণ এর মত অভিযোগ আসলে সঙ্গে সঙ্গে মামলা গ্রহণ করার কথা সেই জায়গায় প্রায় দুই দিন লেগে যায় মামলাটি গ্রহণ করতে। মামলার নং: 2024 Wkh 030dt 13/11/2024 us: 329(2) 76/64/62 3(5) of BNS of 2023। খোয়াই এর বুদ্ধিজীবী মহলের বক্তব্য ধর্ষণের মতো জঘন্যতম অপরাধে অভিযোগ পেয়েও পুলিশ কেন দুইদিন সময় লাগালো মামলাটি গ্রহণ করতে। মহকুমা বাসী ধর্ষণকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ কিরকম দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করে সেই দিকে চেয়ে রয়েছেন।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

16 − 10 =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য