Thursday, September 19, 2024
বাড়িখবরশীর্ষ সংবাদখোয়াই জেলা হাসপাতালে মেডিকেল সুপার মৃদুল দাসের গুন্ডামি । নিজের মর্জি মাফিক...

খোয়াই জেলা হাসপাতালে মেডিকেল সুপার মৃদুল দাসের গুন্ডামি । নিজের মর্জি মাফিক একের পর এক ফরমান জারি করে চিকিৎসা পরিষেবার বিঘ্ন ঘোটাচ্ছে। ক্ষোভে ফুষছে রোগীরা।

খোয়াই প্রতিনিধি ১৬ই সেপ্টেম্বর…. বিগত প্রায় বছরখানেক ধরে খোয়াই জেলা হাসপাতালের মেডিকেল সুপার ড: মৃদুল দাস নিজের মর্জি মাফিক খোয়াই জেলা হাসপাতালের স্বাস্থ্য বিভাগের মত গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে একের পর এক অযৌক্তিক ফরমান জারি করে যাচ্ছেন। এক কথায় প্রকাশ্যে গুন্ডামি চালাচ্ছে খোয়াই জেলা হাসপাতালের এম এস ড: মৃদুল দাস । খোয়াই জেলা হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে খোয়াই এর জনগণ বিভিন্ন সময় অভিযোগ তুলতে শোনা যায়। অভিযোগগুলো হলো ওনার মর্জি মাফিক নয়া নয়া ফরমান জারি করা। যেই ফরমান গুলি জারি করেন সেগুলি সাধারণ চিকিৎসা গ্রহণকারী দের কোন উপকারে আসে না বলে খোয়াইয়ের সাধারণ জনগণের অভিযোগ। এমনই একটি ফরমান জারি করেছেন খোয়াই জেলা হাসপাতালের মেডিকেল সুপার ডঃ মৃদুল দাস ।এবার নতুন করে ফরমান জারি করেছেন গত ৭ তারিখে ফরমানটি হলো এমন হাসপাতালের স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এখন থেকে সপ্তাহে বুধবার এবং শনিবার খোয়াই জেলা হাসপাতালে লোয়ার সেগমেন্ট সিজারিয়ান সেকশন (LSCS) করা হবে। মানে গর্ভবতী মায়েদের সপ্তাহে দুদিন সিজার করা হবে। কিন্তু এমন যদি কোন অত্যন্ত গরিব সিরিয়াস গর্ভবতী মা বোন আছেন যাদেরকে আগরতলা তে পাঠানো সম্ভব নয় । খোয়াই জেলা হাসপাতাল মেডিকেল সুপার মৃদুল দাস এর ছবি ও ওনার ফরমানের কপি দিয়ে নিউজটা করলে ভালো হবে সেই ক্ষেত্রে সিজার করানো খুব প্রয়োজন হয়ে ওঠে তখন কি করা হবে। এই ব্যাপারে কোন পরিষ্কার কিছুই উল্লেখ নেই সেই ফরমানে । এরকম ই এক অত্যন্ত গরিব গর্ভবতী মার এই ফরমান বের হওয়ার পর তার সিজার করা নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হয়। এই বিষয়টি নিয়ে খোয়াই জেলা হাসপাতালের স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ডক্টর অর্ঘমাল্য দেববর্মাকে প্রশ্ন করা হলে আরেক বিশিষ্ট ডাক্তার বিশ্বজিৎ দেববর্মা কে পাশে নিয়ে তিনি সাংবাদিকদের সাফ জানান, খোয়াই বাসীর স্বার্থে বিশেষত গরিব অংশের যারা রয়েছেন তাদের স্বার্থে এই ধরনের নোটিফিকেশন সাইড করে রেখে পরিষেবা চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন তারা। এতে করে উনাদের শাস্তিও হতে পারে এম এস মৃদুল দাসের কারণে কিন্তু কিছু করার নেই। গরিব অংশের মানুষ যাবে কোথায়,অনেকের পক্ষে আগরতলায় নিয়ে গিয়ে সিজার করানো সম্ভব নয়। অনেক ক্ষেত্রে খুব আপদকালীন রোগি ও আসে। তাদের বিষয় নিয়েও এখানে কোন উল্লেখ নেই ঐ ফরমানে । তাই বাধ্য হয়ে চিকিৎসকরা বলেন আমরা এই ধরনের নোটিফিকেশন কে এক সাইডে রেখে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ড: অর্ঘ্যমাল্য দেববর্মা।এখানে উল্লেখ থাকে খোয়াই জেলা হাসপাতালের মেডিকেল সুপার হিসেবে মৃদুল দাস দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে একের পর এক নিজের খেয়াল খুশি মতো ফরমান জারি করে যাচ্ছেন বলে হাসপাতালের অন্দরে কান পাতলেই শোনা যায়। এর আগেও হাসপাতালের তিনটি ইমারজেন্সি গেটের মধ্যে দুটি ওনার ইচ্ছে মত সন্ধ্যার পর থেকে বদ্ধ করে দেওয়া হয়।ভেতরে নাকি রাতের বেলা নেশা সেবনকারীদের আনাগোনা থাকে তাই বিকেল পাঁচটার পর এক ফরমান জারি করে তিনটির মধ্যে দুটি গেইটি বন্ধ করে দেন প্রতিদিন সকাল ছয়টা পর্যন্ত। এতে করে জরুরী পরিষেবা নেওয়ার জন্য যারা হাসপাতালে আসেন রোগী নিয়ে তাদের মারাত্মক সমস্যা পড়তে হয়। এখন প্রশ্ন হল যদি রাতের বেলা সন্ধ্যার পর থেকে হাসপাতালের ভেতরের চত্বরে নেশা সেবনকারী এবং সমাজবিরোধীদের আনাগোনা থাকে তাহলে হাসপাতালে সিকিউরিটি ব্যবস্থাকে আরো মজবুত না করে সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবস্থাপনার বহর না বাড়িয়ে এইভাবে তিনি গেট গুলি বন্ধ করে রাখতে পারেন না বলে খোয়াই এর শুভ বুদ্ধি মহলের বক্তব্য। আর নেশা করার হলে তো একটি গেট দিয়ে ঢুকেও করতে পারে। এই ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কোন এক অজ্ঞাত কারণে ব্যবস্থাপনা নিচ্ছেনা বলেও অভিমত শুভবুদ্ধি মহলের বক্তব্য। এখন দেখার বিষয় খোয়াই জেলা হাসপাতালে সাধারণ জনগণের স্বাস্থ্যপরিসেবা উন্নত না করে অযুক্তিক ফরমান জারি করার মত বিষয়গুলি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আগামী দিনে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে। পাশাপাশি রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এই বিষয়ে কি ধরনের পদক্ষেপ নেন খোয়াই জেলা হাসপাতাল মেডিকেল সুপার মৃদুল দাসের বিরুদ্ধে এই ধরনের গুন্ডামি করার কারণে সেই দিকে তাকিয়ে রয়েছে খোয়াই বাসি ।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

five × 3 =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য