বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ২৮শে আগস্ট……..খোয়াই সুভাষ পার্ক এভার গ্রিন ক্লাবের অন্তর্গত কালি বাড়ির পুকুরের জলে তলিয়ে গেল এক ব্যক্তির বসত বাড়ি অভিযোগ বাড়ির মালিক সমরঞ্জন শীলের। খোয়াই চর গনকি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২ নং ওয়ার্ড অর্থাৎ খোয়াই সুভাষ পার্ক কালীবাড়ি এভারগ্রীন ক্লাব এলাকার বাসিন্দা সমরঞ্জন শীলের বসত ঘরটি ভেঙ্গে এই ক্লাবের পুকুরের জলে পড়ে যায় মঙ্গলবার রাতে । যদিও এই ঘরে রাতের বেলা বেশ কয়েকজন ঘুমাচ্ছিল ।ঘর ভেঙ্গে পুকুর তলিয়ে যাচ্ছে দেখে সমরঞ্জন শীলের পরিবার সেই রাতে না ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিতে বাধ্য হয় ।এই ঘর ভেঙ্গে পুকুরে তলিয়ে যাওয়ার জন্য ঘরের মালিক সমরঞ্জন শীল ও তার পরিবার অভিযোগের আঙ্গুল তুলছেন সুভাষ পার্ক এভারগ্রীন ক্লাবের কর্তৃপক্ষের ওপর । ঘটনার বিবরণ দিয়ে সমরঞ্জন শীলের ছেলে রজত শীল জানান এভার গ্রিন ক্লাব কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এই ক্লাব কর্তৃপক্ষ এবং সম্পাদক সুব্রত বণিক কে ওই পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার জানানো হয়েছে যে তাদের ঘরের পেছনদিকে যেন একটি পাকা বাউন্ডারি ওয়াল তৈরি করা দেওয়া হয় না হলে তাদের ঘর টি ভেঙ্গে যাবে। এই মর্ম বেশ কয়েকবার লিখিত ভাবে ক্লাব কর্তৃপক্ষকে অবগত করার পরও ক্লাব কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি ।অবশেষে পঞ্চায়েত থেকে গত এক বছর আগে একটি বাঁশের হানা দিয়ে ঘরটিকে কোনভাবে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেন । এর মধ্যে খোয়াই মহকুমা জুড়ে ব্যাপক বন্যা হয়েছে বন্যার ফলে পুকুরের জল বৃদ্ধি পাওয়াতে বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হানা টি ভেঙ্গে পড়ে । এতে করে আস্তে আস্তে হনার পাশে থাকা ঘরটি পুকুরের জলে আস্তে আস্তে নামতে থাকে।অবশেষে মঙ্গলবার রাতে বাঁশের হানার পাশে থাকা ঘটটির পেছনের অংশ সম্পূর্ণ সেই পুকুরের জলে ভেঙ্গে পড়ে। যদিও সেই রাতে ঘরে বেশ কয়েকজন ঘুমাচ্ছিল তারা ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করে এবং ভয়ে প্রথমে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ে এবং পরে সারারাত না ঘুমিয়ে কাটায় । এই বিষয়টিকে বুধবার মহকুমা শাসক কে জানালে মহকুমা শাসকের পক্ষ থেকে তহশিলদার কে দিয়ে ঘটনাটি পর্যবেক্ষণ করে সেই রিপোর্ট তহশিলদার মহকুমা শাসক কে প্রেরণ করেন । অথচ দেখা গেছে খোয়াই সুভাষপার্ক এভার গ্রীন ক্লাবের অন্তর্গত যে পুকুরটি রয়েছে সেই পুকুরের পশ্চিম পাড়ের বাসিন্দা সমরঞ্জন শীল এর বাড়িটি রয়েছে এবং উনার সীমানার ভিতরেই ক্লাব কর্তৃপক্ষ একটি বাঁশের হানা দিয়েছিল যা ছিল একটি বেআইনি কাজ ।সমরঞ্জন শীলের জায়গা এক প্রকার দখল করেই এভার গ্রীন ক্লাবের কর্মকর্তারা সেই বাসের হানাটি দিয়েছিল বাড়ির মালিকের জায়গার মধ্যে । এরপরও বাড়ির মালিক তেমন কিছু বলেনি ওদের চাহিদা ছিল যে ওদের ঘরের পেছনে জায়গাটিকে বাঁশ দিয় প্যালাসেটিং না দিয়ে পাকা ওয়াল দিয়ে বাউন্ডারি করে দেওয়ার জন্য।তাই ক্লাবের সম্পাদক সুব্রত বণিককে বেশ কয়েকবার লিখিতভাবে জানানো হয়েছিল এই বিষয়টি । কিন্তু এই গুরুতর বিষয়টিকে তিনি পাত্তা দেননি অবশেষে ঘরটির ভেঙে পুকুরে জলে তলিয়ে যাচ্ছে একমাত্র এভার গ্রীন ক্লাবের কর্মকর্তাদের খামখেয়ালীপনার জন্য। এখানে উলেখের বিষয় ২০২১ সালে সমরঞ্জন শীল এই গোটা ঘটনাটি নিয়ে জেলা সভাধিপতির কাছে বিস্তারিত ভাবে লিখিত আকারে, এবং স্থানীয় এভার গ্রিন ক্লাবের কাছে দীর্ঘদিন ধরে এই পরিবারের পক্ষ থেকে এই অভিযোগটি জানানো হয়েছে। অন্যদিকে এভার গ্রিন ক্লাব নিজস্ব পুকুরের পাড় স্থায়ীভাবে পাকা বাউন্ডারি করে নেন, তারপরও ক্লাব এবং প্রশাসন সেই রকম কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যায়নি। যার ফলে হতদরিদ্র পরিবার সমরঞ্জন শীলের পরিবারটি আজ রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছে। এখন দেখার বিষয় প্রশাসন এবং ক্লাব কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে আগামী দিন ।