Friday, September 20, 2024
বাড়িখবরশীর্ষ সংবাদখোয়াই মহকুমা জুড়ে দিন দুপুরে চোরদের বাড়বারন্তে অতিষ্ঠ মহাকুমা বাসি।

খোয়াই মহকুমা জুড়ে দিন দুপুরে চোরদের বাড়বারন্তে অতিষ্ঠ মহাকুমা বাসি।

বাসুদেব ভট্টাচার্জী খোয়াই ১২ ই আগস্ট…….খোয়াই শহর ও শহরতলী এলাকাগুলিতে চুরির ঘটনা আবার বেড়ে চলেছে। গত এক পক্ষ কাল ধরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে প্রতিনিয়ত কোথাও না কোথাও দিন দুপুরে চুরির ঘটনা ঘটে চলেছে খোয়াই শহর ও গ্রামাঞ্চল এলাকাগুলিতে। একটা সময় ছিল খোয়াই শহর ও শহরতলী এলাকাগুলিতে প্রতিদিন কোন না কোন এলাকাতে বাড়ি ঘর ও দোকানপাটে চুরির ঘটনা ঘটতো। পরবর্তীতে পুলিশ অতিষ্ট হয়ে তৎকালীন সময় ঐসব চুরি কান্ডের মাস্টার মাইন্ড দের পুলিশের জালে তুললে খোয়াই শহর এবং শহরতলী এলাকাগুলিতে চুরির ঘটনার কিছুটা লাগাম টানাতে সক্ষম হয়। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে গত এক পক্ষ কাল ধরে বেশ কয়েকটি চুরির ঘটনা ঘটেছে খোয়াই মহকুমা বিভিন্ন এলাকাতে। এরই মধ্যে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন দিন সকাল ১১ টা নাগাদ পূর্ব গনকি এলাকার বাসিন্দা অজিত গোপের বাড়ি থেকে নগদ টাকা স্বর্ণালংকার সহ প্রায় লক্ষাধিক টাকা নিয়ে যায় চোরের দল। এইরকমই একটি ঘটনা পর্যায়ক্রমে চালিয়ে যাচ্ছিল চোরের দল। উল্লেখ্য জাম্বুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা মৃত মাখন দেবনাথ এর ছেলে অভিজিৎ দেবনাথের দোকান থেকে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যাচ্ছিল চোরের দল আর এই ঘটনাটি মূলত চোরের দল দীর্ঘদিন ধরে করে আসছিল। মূলত অভিজিৎ বাবু একজন টিভি, ফ্রিজ এর মেরামতের কাজ করেন। নষ্ট যন্ত্র গুলি ওনার পুরনো দোকানে জমিয়েছিলেন ভাঙ্গারির দোকানে বিক্রি করার জন্য প্রায় লক্ষাধিক টাকার জিনিস পত্র। গত ১৯ শে জুলাই অভিজিৎ বাবু লক্ষ্য করেন তার ওই দোকানের পেছনে দরজাটিতে বুদ্ধি খাটিয়ে খুলে বেশকিছু যন্ত্রাংশ নিয়ে যায়। তখন অভিজিৎ বাবু কাউকে কিছু না জানিয়ে পেছনের দরজাটি কোনমতে সারাই করে ঘরে তালা লাগিয়ে চলে আসেন পরের দিন অর্থাৎ ২০ শে জুলাই পুনরায় ওই ঘরটিতে গেলে আবারো লক্ষ্য করেন বাকি যে যন্ত্রাংশ গুলি ছিল সেগুলো নিয়ে চলে গেছেন চোরের দল পরবর্তীতে অভিজিৎ বাবু খোয়াই থানাতে লিখিত আকারে একটি অভিযোগ জানান।একইভাবে চুরি করতে গিয়ে লোভের বশবর্তী হয়ে রবিবার আবার চোরের দল এই দোকানটি চুরি করতে আসলে তখন এলাকার জনগণ হাতেনাতে ধরে ফেলেন দুই চোরকে। এরা হলেন লিটন তাঁতি ১৫ পিতা মিঠুন তাঁতি বাড়ি তবলা বাড়ি ও চন্দন দেববর্মা ৬০ বাড়ি আশারামবাড়ী মহন্ত বস্তিএলাকায় । শেষে উত্তেজিত জনতা কিছু উত্তম মধ্যম দিয়ে এই দুই চোরকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এখন দেখার বিষয় এই চুরি কাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড কে পুলিশ জালে তুলতে পারে কিনা। অন্যথায় খোয়াই শহর ও শহরতলী এলাকাগুলিতে ছোট ছোট চুরি কান্ডের লাগাম টানা কিছুতেই সম্ভব হবে না যদি না পুলিশ সঠিক পদক্ষেপ নেয়।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

20 − eighteen =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য