প্রতিনিধিঃ–
ত্রিপুরা রাজ্য থেকে চিটফান্ড সংস্থা বিদায় নিলেও বা বিদায় করে দেওয়া হলেও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এমন বেশ কিছু কিছু প্রতারণার ছবি সামনে আসে যেগুলো বড়সড়ো চিটফান্ড কোম্পানিকেও হার মানাতে বাধ্য। এরকমই এক ঘটনা এবার তেলিয়ামুড়া তুইচিন্দ্রাই বাড়ি এলাকায়।
জানা গেছে, এইএলাকাতে ত্রিপুরা কো-অপারেটিভ ব্যাংক সোসাইটির অন্তর্গত স্বামী বিবেকানন্দ প্যাক্স রয়েছে, এই প্যাক্সটি বাম আমলেই পথচলা শুরু করেছিল, এদিকে এলাকার গ্রামীণ মানুষরা নিজেদের বিভিন্ন প্রকারের কষ্টার্জিত টাকা এই প্যাক্সে ধীরে ধীরে জমাতে শুরু করেন। তবে প্রথম প্রথম সব কিছু ঠিকঠাক থাকলেও এই প্যাক্সের ম্যানেজার নিমাই রুদ্রপাল বিগত ২ থেকে ৩ বছর ধরে অন্য খেলায় অবতীর্ণ হয় । একদিকে সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করে টাকা জমা করছিল আর নিমাই বাবু মানুষের বিশ্বাসের সাথে প্রতারণা করে এই টাকাকে শেয়ার মার্কেটে নিয়োজিত করেন সাধারণ মানুষের মতামত ছাড়াই। এর ফলে যা হবার তাই হয়েছে, একদিকে মানুষ প্রতারিত হয়েছে আরেকদিকে নিমাই বাবুর ব্যাক্তিগত অর্থভাণ্ডার ধীরে ধীরে আকাশ সমান হচ্ছে। এদিকে মানুষ যখন বিগত প্রায় ছয় থেকে সাত মাস ধরে নিজেদের কোন টাকা তুলতে পারছিলেন না ,তখন ধীরে ধীরে ক্ষোভ বাড়তে থাকে। এই পরিপ্রেক্ষিতে অবস্থা ভয়াবহ আকার ধারণ করলে স্থানীয় অভিভাবক গোছের কিছু নেতৃত্ব এবং এলাকাবাসীরা সম্মিলিতভাবে এক সালিশি সভার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসেন। মঙ্গলবার তুইসিন্দ্রাই এলাকার মৈত্রী ভবনে আয়োজিত এই সালিশি সভায় প্রতারক নিমাই রুদ্রপাল জানিয়েছেন আগামী ১৫ই আগস্টের মধ্যে সবার টাকা ফিরিয়ে দেবেন। আপাতত ৩ লাখ টাকা তিনি প্রতারিতদের হাতে তুলে দিয়েছেন বলে খবর। ১৫ই আগস্ট পর্যন্ত অপেক্ষা হলেও দিকে দিকে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে এতদিন ধরে সরকার অনুমোদিত প্যাক্স ব্যাবহার করে লক্ষ লক্ষ টাকা নয়ছয় করে দিনের পর দিন বুক চিতিয়ে চললেও ঊর্ধ্বোতন কর্তৃপক্ষ কি কারণে কোন ব্যাবস্থা গ্রহণ করেনি ? বা সময় সময় নানান প্রকারের অডিট হলেও এত বড় বিষয় কেন ধরা পড়েনি? এটা কিন্তু ব্যাপক প্রশ্ন!