খোয়াই প্রতিনিধি ২২ শে জুন……খোয়াই শহর থেকে হারিয়ে যাওয়া ১৪ বছরের নাবালক ছেলে তার আরেক সহপাঠী ও এক নাবালিকা মেয়েকে সহ ধর্মনগর রেল স্টেশন থেকে উদ্ধার করল পুলিশ শনিবার সকালে ।এই বিষয়ে শুক্রবার সকাল থেকে খোয়াই অজগর টিলার বাসিন্দা স্বপন কুমার দাসের নাবালক ছেলে সঞ্জীত দাস ১৪ বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিল মিষ্টি ক্রয় করার জন্য এরপর আর বাড়ি ফিরিনি। দিন দুপুরে খোয়ই শহরের বুকে থেকে নিখোঁজ হয়ে গেল সঞ্জীত দাস । জানা যায় সঞ্জীত দাস খোয়াই গনকি স্থিত আনন্দ মার্গ স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।ছেলে সঞ্জীত দাস নিখোঁজ এর বিষয়ে তার পিতা স্বপন কুমার দাস শুক্রবার বিকেলে খোয়াই থানায় এই নিখোঁজ বিষয়টি জানায়। পরবর্তীতে পুলিশ রাজ্যের বিভিন্ন থানা এই বিষয়টি অবগত করানো হয়। পরবর্তীতে শনিবার সকালে ধর্মনগর রেল স্টেশন থেকে পুলিশ সঞ্জীত দাস তার আরেক সহপাঠী সুশান্ত রুদ্র পাল ১৬ পিতা সুসেন রুদ্র পাল ও আরেক নাবালিকা মেয়েকে উদ্ধার করে।খোয়াই থেকে পালিয়ে গিয়ে সারারাত তারা ধর্মনগর রেলস্টেশনে বসেছিল শেষে শনিবার সকালে পুলিশ তাদের চালচলন সন্দেহজনক হওয়াতে পুলিশ তাদেরকে আটক করে ধর্মনগর থানায় নিয়ে যায়। এই খবর পেয়ে পরবর্তীতে তাদের অভিভাবকরা ধর্মনগর থানা থেকে তাদেরকে নিয়ে আশা খোয়াই মহিলা থানাতে। পরবর্তীতে মহিলা থানার পুলিশ দুই নাবালক ও নাবালিকা মেয়েটিকে তাদের অভিভাবকের হাতে তুলে দেয়। এখানে প্রশ্ন হল সঞ্জীত দাস নিখোঁজ হওয়ার পর সঞ্জীত দাস এর পরিবার যেভাবে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল করে দিয়েছে এতে খোয়াই এর বিভিন্ন এলাকাতে যে আতঙ্কগ্রস্ত হয়েছেন বিভিন্ন অভিভাবকরা সেটাই ভাববার বিষয়। পুলিশ জানিয়েছেন তাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হলে কি উদ্দেশ্যে তারা বাড়িতে বের হয়েছে তারা জানায় অনেকদূর পর্যন্ত তারা চলে যেত তাদের ক্যারিয়ার তৈরি করার জন্য নাকি। এখনে আরেকটা প্রশ্ন থেকে যায় যদি নাবালক ছেলেরা ক্যারিয়ার তরী করতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পরে তাহলে সঙ্গে নাবালিকা মেয়েটিকে কেন নিয়ে গেল? এখানে আরেকটি বিষয় পরিস্কার হয়ে গেল পুলিশ চেষ্টা করলে এমন কোন কাজ নেই যেটা করতে পারে না এক রাত্রের মধ্যে নিখোঁজ সঞ্জীত সহ আরো দুইজনকে আটক করে পিতা মাতার কাছে তুলে দিতে সক্ষম হয়েছে। এই বিষয়টা অনেকটাই প্রশংসনীয়। এই নাবালক উদ্ধারের ফলে শুধু শুধু আতঙ্কগ্রস্ত অভিভাবকরা অনেকটাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পেরেছে। তবে খোয়াই এর শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন জনগণ আহ্বান রাখেন সঞ্জীত দাসের পরিবারের প্রতি সামাজিক মাধ্যমে তুলে ধরার আগে ভালো করে খোঁজ খবর নিয়ে এবং পুলিশের সহায়তা নেওয়ার প্রয়োজন। এইরকম ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে প্রচার হলে গোটা সমাজের অভিভাবকরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে যায়। যাইহোক নাবালক ছেলেমেয়েরা পিতার মাথার কাছে ফিরে এসেছে পরিবারের লোকজন অনেকটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে।