খোয়াই প্রতিনিধি ১৮ই এপ্রিল…. লোক সভা নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন এবার ঠিক করেছেন যাদের বয়স ৮৫ ঊর্ধ্ব এবং শারীরিকভাবে বিকলাঙ্গ তাদের ভোট নিজ নিজ বাড়ি থেকে সংগ্রহ করা হবে।এবং একে সামনে রেখে ১৭ এপ্রিল বুধবার দিনটি ছিল বারি বারি ভোট গ্রহণের শেষ দিন।তাই এই দিন খোয়াই মহাকুমার অন্তর্গত খোয়াই বিধানসভা কেন্দ্র,আশারাম বাড়ি বিধানসভা কেন্দ্র ও রামচন্দ্রঘাট বিধানসভা কেন্দ্র এই তিনটি বিধানসভা এলাকায় ৮৫ ঊর্ধ্ব প্রতিবন্ধী ভোটার রয়েছেন ১১৩ জন।তাই বুধবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেক্টর অফিসাররা বিকলাঙ্গদের ভোট গুলি সংগ্রহ করতে শুরু করে। এর মধ্যে খোয়াই বিধানসভার অন্তর্গত ৮৫ ঊর্ধ বিকলাঙ্গ ভোটার রয়েছেন মোট ৮৬ জন।এই ৮৬ জন ভোটারদের জন্য ছয়টি দলকে নিযুক্ত করা হয়েছে ভোট সংগ্রহের কাজে।১৭ ই এপ্রিল অর্থাৎ বুধবার দুপুরে খোয়াই সুভাষ পার্ক স্থিত শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দির প্রাঙ্গন এলাকায় এক বাড়িতে ভোট সংগ্রহের জন্য নিযুক্ত ছয়টি দলের মধ্যে প্রথম দলে থাকা সেক্টর অফিসার সারাজ বর্মন,নিরাপত্তা কর্মী,এবং মহিলা থানার পুলিশ এর নেতৃত্বে ওই এলাকার একটি বাড়ির ৮৫ ঊর্ধ্ব এক ভোটারের ভোট সংগ্রহের জন্য আসতে দেখে স্থানীয় সাংবাদিকরা তাদের সংবাদের জন্য ভোট নিতে আসা ভোট কর্মীদের ছবি এবং তাদের সাথে থাকা ভোটের বিভিন্ন যন্ত্রাংশের ছবি রাস্তা থেকে তুলতে গেলে সেখানে নিযুক্ত সেক্টর অফিসার স্বরাজ বর্মন জনসমক্ষে সেখানে উপস্থিত বেশ কয়েকজন সাংবাদিকদের অস্রাব্য ভাষায় গালিগলজ করতে থাকে এবং সাংবাদিকদের পেশাগত কাজে বাধা দেয় এবং বলে কোনভাবে কোন ভোট কর্মীর ছবি তোলা যাবে না।অথচ ওরা তখন ভোট কর্মীর বাড়িতেই প্রবেশ করেনি গাড়ি থেকে নেমে সেই ভোটারের বাড়ির উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল তখন সাংবাদিকরা সেই ছবিগুলো তুলতে চাইছিল।এই বিষয়ে তখন সেখানে উপস্থিত কর্মরত সাংবাদিকরা এই বিষয়ে সেক্টর অফিসার স্বরাজ বর্মনের কাছে জানতে চান কেন এই ধরনের ছবি তোলা যাবে না সাংবাদিকরা তো শুধু বাইরের ছবি তুলছে এই কাজটি তো সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্বের আওতাধীন।তখন সেক্টর অফিসার স্বরাজ বর্মন সাংবাদিকদের জানান যে বিষয়টি নাকি নির্বাচনের গাইড লাইনে রয়েছে।এর জন্য বিশেষভাবে নির্দেশ দিয়েছেন উনাদের এ আর ও অর্থাৎ মহাকুমা শাসক মেঘা জৈন তাতে করে সেক্টর অফিসার স্বরাজ বর্মনের সাথে এই বিষয় নিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের ব্যাপক কথোপকথন চলে।শেষে ক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা ছুটে যান এ আর ও মেঘা জৈইন এর কাছে এবং সেখানে গিয়ে সমস্ত ঘটনাটি জানিয়ে সাংবাদিকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে।এবং ছবি তোলার বিষয় নিয়ে এআরও মেঘা জৈন এর কাছে সাংবাদিকরা স্পষ্টিকরণ চাইলে তখন তিনি জানান সাংবাদিকরা পেশাগত কাজে নিযুক্ত রয়েছেন ওটা ওদের গণতান্ত্রিক অধিকার তাদের এই অধিকারকে খর্ব করা যায় না কোনভাবেই ।তবে যে সমস্ত বাড়ি গুলিতে এভাবে ভোট নেওয়া হয় ওইসব বাড়িতে প্রবেশ নিষিদ্ধ বলে জানান এ আরও। সাংবাদিকদের সাথে সেক্টর অফিসারের দুর্ব্যবহার এবং এ নিয়ে অভিযোগ জানাতে এআরও এর কাছে সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরা উপস্থিত হয়েছেন জেনে সেখানে তৎক্ষণাৎ উপস্থিত হন অতিরিক্ত জেলাশাসক কেসব কর এবং আরো কয়েকজন। শেষে অতিরিক্ত জেলা শাসক কেসব কর এবং উভয় অফিসার উক্ত ঘটনাটিকে নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন।সমস্ত ঘটনাটি অবগত হয়ে শেষে অতিরিক্ত জেলাশাসক কেশব কর, এআরও মেঘা জৈন সাংবাদিকদের জানান এই গুরুতর বিষয়টিকে নিয়ে অতিসত্বর সেক্টর অফিসার স্বরাজ বর্মন কে তলব করা হবে এর পর সাংবাদিকরা সেখান থেকে চলে আসে।