খোয়াই প্রতিনিধি ১৭ই মার্চ…..বিবাহের সময়ের আগে নাবালিকা মেয়েদেরকে বিয়ে দিলে যে কি পরিণতি হয় এরই সাক্ষী হয়ে রইল খোয়াই এর মেয়ে মনু এলাকায় বিবাহিত গৃহবধূর।বিয়ের দুই মাসের মাথায় ১৬ বছরের এক নাবালিকা গৃহবধূকে গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে তার স্বামী ঘটনা মনু এলাকায়। ঘটনার বিবরণ দিয়ে নাবালিকা মেয়েটির বাবা মিলন মুন্ডা জানান তাদের বাড়ি খোয়াই থানা ধিন আমপুরা এলাকায় গত দুই মাস আগে মনু এলাকার যুবক রমেশ মুন্ড ১৮ সাথে রিমা মুন্ডা ১৬ তার বিয়ে দেন।বিয়ের পর থেকে রিমার স্বামী রমেশ মুন্ডা প্রতিদিন রিমা মুন্ডার উপর শারীরিক নির্যাতন করতো এইভাবে চলে যায় প্রায় দুই মাস এরপর গত রবিবার অর্থাৎ ১০ ই মার্চ রিমা মুন্ডার স্বামী রমেশ মুন্ডা রিমার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় এরপর নাকি স্বামী রমেশ মুন্ডা পালিয়ে যায় ।অন্যদিকে রিমার বাবা কোনভাবেই ফোনে রিমার সাথে কথা বলতে পারছিল না কারণ রিমার স্বামী রমেশ মুন্ডা ফোন বন্ধ করে রেখে দিয়েছিলো তাতে করে রিমার বাবা মিলন মুন্ডার সন্দেহ হয় যে উনার মেয়ের সাথে কিছু একটা ঘটেছে এরপর মিলন মুন্ডা এবং তার স্ত্রী মেয়ের খবর নিতে শনিবার মনু এলাকায় চলে যায় মেয়ের বাড়িতে সেখানে গিয়ে দেখতে পায় মেয়ের সাথে এই ঘটনা ঘটেছে এরপর শনিবার রিমাকে নিয়ে আসে তার পিতা-মাতা খোয়াই আমপুরা এলাকায় নিজ বাড়িতে এবং রবিবার দুপুরে খোয়াই জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্য রত চিকিৎসক রিমা মুন্ডা কে প্রাথমিক চিকিৎসার পর সঙ্গে সঙ্গে জিবি হাসপাতালে রেফার করে ।গায়ে আগুন লাগার পর সাত দিন ঘরে থাকার ফলে রিমার শরীরে পচন ধরে তাতে করে চিকিৎসকরা রিমা কে নিয়ে খুবই চিন্তিত তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য আশঙ্কা জনক অবস্থায় রিমা মুন্ডাকে জিবিতে রেফার করে অন্যদিকে রিমা মুন্ডার স্বামী পালিয়ে গেছে বলে জানায় রিমার বাবা মিলন মুন্ডা। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে খোয়াইয়ের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন প্রশাসনিক ভাবে যেখানে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে মেয়েদের ১৮ বছরের নিচে এবং ছেলেদের ২১ বছরের নিচে বিবাহ. দেওয়া আইনত নিষিদ্ধ তারপরও আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে একাংশ কান্ডকজ্ঞানহীন অভিভাবকরা ছেলেমেয়েদের বিবাহের আয়োজন করছেন এতে একদিকে সরকারি আইন কে অবজ্ঞা করা হচ্ছে অন্যদিকে ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ বিশেষ করে মেয়েদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। এই সমস্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন আরো কঠোর হওয়ার প্রয়োজন বলে মনে করছেন খোয়াই এর বুদ্ধিজীবী মহল । যে সমস্ত অভিভাবকরা অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের বিবাহ দিচ্ছেন তাদের জন্য আইনগত ভাবে কঠোর থেকে কঠোরতম ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রয়োজন বলে মনে করছেন খোয়াই এর শুভবুদ্ধি সম্পন্ন জনগণ। তাহলে হয়তো রিমা মুন্ডার মত অপাপ্তবয়স্ক মেয়েরা অসময়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়তে হবে না। এখন দেখার বিষয় এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এই সমস্ত ঘটনার জন্য আগামী দিনে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে।