Sunday, December 22, 2024
বাড়িখবরশীর্ষ সংবাদজীবন জীবিকার সমস্যা সমাধানের বিভিন্ন দাবীতে খোয়াই সিপিএম দলের পক্ষ থেকে মিছিল...

জীবন জীবিকার সমস্যা সমাধানের বিভিন্ন দাবীতে খোয়াই সিপিএম দলের পক্ষ থেকে মিছিল বাজার সভা অনুষ্ঠিত হয়।

খোয়াই প্রতিনিধি ৪ঠা জানুয়ারি…. জীবন জীবিকার সমস্যা সমাধানের ও বিভিন্ন দাবীকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার দুপুরে খোয়াই সি পি এম দলের পক্ষ থেকে এক মিছিল ও বাজার সভার আয়োজন করা হয় খোয়াই কোহিনুর কমপ্লেক্স প্রাঙ্গনে।তাদের দাবি গুলি ছিল রেগা ও টুয়েপ প্রকল্পে বর্ধিত মজুরিতে শ্রমদিবস সৃষ্টি করে কাজ করা , শূন্যপদ পূরণ করে বেকারের কর্মসংস্থান, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিরোধ ও সামাজিক ভাতা প্রকল্পে নগ্ন ও সংকীর্ণ দলবাজি বন্ধ করা সহ অন্যান্য দাবীতে সি পি আই এম র ডাকা মিছিল দলের কর্মী সমর্থকরা সামিল হয়ে আওয়াজ তুললেন বিজেপি দলের দুঃশাসনের জমানা পরিবর্তনের।জমায়েতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির দুই সদস্য অঘোর দেববর্মা ও রমা দাস বললেন, সুশাসনের নামে সারা দেশে ঠগবাজের রাজত্ব কায়েম করেছে বি জে পি।দুঃসহ জমানার চির অবসানে প্রতিবাদী মানুষের আন্দোলনকে সুসংহত রূপদানের উদাত্ত ভাবে আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দরা।
এদিন সি পি আই এম দলের মিছিলের প্রথম সারিতে ছিলেন পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির দুই সদস্য অঘোর দেববর্মা ও রমা দাস, জেলা সম্পাদক রঞ্জিত দেববর্মা , মহকুমা সম্পাদক পদ্ম কুমার দেববর্মা, রাজ্য কমিটির সদস্য নির্মল বিশ্বাস সহ জেলা ও মহকুমা কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দসা।এই দিন মিছিলটি জেলা কার্যালয় থেকে শুরু করে বনকর, রঞ্জন রায় সেতু, নিবেদিতা পার্ক এবং নৃপেন চক্রবর্তী অ্যাভেনিউ হয়ে সুভাষপার্কের কোহিনূর শপিং কমপ্লেক্সের সামনে দিয়ে গিয়ে বিবেকানন্দ সরণী ঘুরে মিছিল একসময় কোহিনূর শপিং কমপ্লেক্সের সামনে এসে শেষ হয় হয়। মহকুমার শহর শহরতলী সহ আশারামবাড়ী, চাম্পাহাওর, রাজনগর, রামচন্দ্রঘাট , পদ্মবিল ইত্যাদি এলাকার জাতি উপজাতির মানুষ এদিনের মিছিলে উপস্থিত ছিলেন।এই দিন বাজার সভাতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অঘোর দেববর্মা বলেন, সারা দেশে বি জে পি যেন আজ ঠগবাজের রাজত্ব কায়েম করেছে।দেশের শ্রমজীবী মানুষের জীবন জীবিকার সর্বনাশা অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে তাদের শাসনে।স্বাধীনতার স্বপ্ন এদের জমানায় আজ ব্যর্থতায় পর্য্যবসিত।দেশে এক দুর্বিষহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে।বেকার তার কাজ না পেয়ে দিশেহারা।নষ্ট হচ্ছে সম্ভাবনাময় যুবশক্তি।সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ বি জে পি র প্রতারণার নিষ্ঠুর শিকার।চাকুরি চাইতে গেলে মুখ্যমন্ত্রী আর মন্ত্রীদের দরজায় অপেক্ষমান বেকার যুবক যুবতী পুলিশী অত্যাচার সহ্য করে বাড়ী ফিরছে শূন্য হাতে।এই রাজ্যের মন্ত্রীরা একেক জন একেক রকম তথ্য দিয়ে বলছে ব্যাপক চাকুরী নাকি হচ্ছে।মুখ্যমন্ত্রী আবার আরেক রকম তথ্য দিচ্ছেন।বছরে পঞ্চাশ হাজার চাকুরির প্রতিশ্রুতির কথা আজ দফারফা অবস্থা।বিকল্প কর্মসংস্থানেরও কোন ব্যাবস্থা নেই।এটাই হচ্ছে এদের সবকা সাথ সবকা বিকাশ।আসলে কার বা কাদের বিকাশ হচ্ছে বি জে পি র জমানায়!
তিনি এও বলেন বি জে পি র প্রতিশ্রুতি ছিল রেগার মজুরি করবে ৩৪০ টাকা।এখন মজুরি বাড়ানো তো দূরের কথা কাজই নেই।কাজ করেও মিলছে না মজুরি।মজুরির জন্য মানুষ রাস্তা অবরোধ করছেন।মানুষ এখন হা হুতাশ করছেন।রাজ্যবাসী তাদের অর্জিত অভিজ্ঞতায় বুঝতে পারছেন ঠগবাজদের বিশ্বাস করে তারা কী সর্বনাশ ডেকে এনেছেন।অঘোর দেববর্মা বলেন ব্যাবসা বাণিজ্য আজ তলানিতে।হাট বাজারে লোক নেই মানুষের রুজি রোজগারের চরম অবস্থা।প্রতিবাদ করলে ক্ষুধাতুর মানুষের টুঁটি টিপে ধরে।গণতন্ত্রের নিষ্ঠুর নিধনলীলা চলছে।দুর্নীতি চলছে প্রশাসনের ওপর থেকে নিচে পর্য্যন্ত।মানুষ এসব কি মুখ বুজে সহ্য করবে! এ ডি সি ছিল বামফ্রন্ট সরকারের সময় উপজাতি এলাকার মানুষের ভরসার স্থল।আজ সেখানেও জ্বলছে লালবাতি।বলছে রাজ্যের সরকার নাকি টাকা দেয়না।তাহলে এ ডি সি তে নতুন নতুন আধিকারিক, উপদেষ্টা আর চেয়ারম্যানের পদ তৈরি করে এদের বেতনভাতা কিভাবে মেটানো হচ্ছে।অঘোর দেববর্মা এও বলেন প্রতিবাদকে আরো সংহত রূপ দিতে হবে।রাস্তায় নেমেই দুঃশাসনের জমানার বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে এভাবে এই দিন বামফ্রন্ট দলের সমস্ত নেতারা বিজেপিকে এক হাতে নিয়ে আলোচনায় মত্ত থাকেন শেষে রাজ্য কমিটির সদস্য বিধায়ক নির্মল বিশ্বাস বলেন, মানুষের ভুল ভাঙছে।বিভ্রান্ত মুক্ত হচ্ছেন মানুষ।কথা বলছেন বি জে পির স্বৈরাচারী অপশাসনের বিরুদ্ধে।তাই গায়ের জোরে দাবিয়ে রাখা হচ্ছে মানুষকে।মানুষ এখন আর ওসবে পরোয়া করেনা।ভয়কে জয় করেই অত্যাচারী দুশমনদের রাজত্বের অবসানে মানুষ ঘরে ঘরে প্রস্তুত হচ্ছেন।২০১৮ সালের জোট সরকার আসার পর থেকেইরাজ্যের নেশার বাস বাড়ন্ত শুরু হয়েছে আরে নেশারক কবলে পরে যুবসমাজ ধ্বংসের পথে।বিভিন্ন ধরনের ড্রাগস এর নেশায় খোয়াই মহকুমা যুবকরা আজ আচ্ছন্ন নেশা বাণিজ্যের আতুর ঘর হয়ে রয়েছে খোয়াই মহকুমা শহরটি অথচ এই বিষয় নিয়ে বিজেপি নেতৃত্বেদের কোন ধরনের হেলদুন নেই যার ফলে আগামী দিন যুব সমাজ চিরতরে ধ্বংস হয়ে যাবে বলে মনে করেন নির্মল বিশ্বাস।
শেষে বাজার সবার সভাপতি মহকুমা সম্পাদক পদ্ম কুমার দেববর্মা বলেন, দুঃশাসনের জমানার পরিবর্তনে মানুষ দৃঢ় সংকল্পবদ্ব। মানুষের শক্তিকে এক জায়গায় সংহত করার দায়িত্ব নিতে হবে বলে আহ্বান রাখেন।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

twelve + thirteen =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য