বাসুদেব ভট্টাচার্য খোয়াই ৬ই ডিসেম্বর……পারিবারিক বিবাদেরর জেরে স্বামীর হাতে খুন হলো স্ত্রী ঘটনা কল্যাণপুর থানাধীন এলাকায়।ঘটনার বিবরণে জানা যায় কল্যাণপুর থানাধীন হলং মুতাই এলাকার বিসির হাজারী গ্রামের বাসিন্দা তথা মিন্টু দেববর্মা স্ত্রী জেসমিন দেববর্মা ২৭ দুই সন্তানের জননী স্বামীর হাতে খুন হলেন।তাদের দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে বড় ছেলের বয়স ১০ বছর,এবং ছোট ছেলের পাঁচ বছর।এই বিষয়ে পুলিশ জানায় মিন্টু দেববর্মা ও তার স্ত্রী জেসমিন দেববর্মার মধ্যে প্রতিনিয়ত ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো শেষে সোমবার জেসমিনের মা এসে উভয়কে বুঝিয়ে সুুঝিয়ে তিনি বাড়ি চলে যান।এরপর মঙ্গলবার সকালে নিজেদের রাবার বাগানে কাজ করার জন্য স্বামী স্ত্রী উভয়েই সেখানে চলে যান।এবং সেই রাবার বাগানের জঙ্গলে গিয়ে স্বামী স্ত্রী উভয়ে জঙ্গল থেকে আলু তোলেন এবং শেখানেও কোন এক বিষয়কে কেন্দ্র করে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রচন্ড ঝগড়া সৃষ্টি হয় তাতে উভয় প্রচন্ড উত্তেজিত হয়ে পড়ে এই উত্তেজনার ফলে স্বামী মিন্টু দেববর্মা উত্তেজনার বসে কোন এক সূচালো বস্তু দিয়ে তার স্ত্রী জেসমিন দেববর্মার কন্ঠনালীতে বেশ কয়েকবার আঘাত করে এরপর কোন এক ভারি জিনিস দিয়ে জেসমিন দেববর্মার মাথা ফাটিয়ে দেয় পিছন দিক থেকে তাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় জেসমিন দেববর্মার।এরপর তার স্বামী মিন্টু দেববর্মা রাবার বাগানের পাশে একটি জঙ্গলে গর্ত করে সেই গর্তে জেসমিনের মৃত দেহকে ফেলে দিয়ে মাটি চাপা দিয়ে সেখান থেকে চলে আসে।এবং বাড়ি এসে দুই ছেলেকে নিয়ে খোয়াই চাম্পাহাওর থানা দিন এলাকায় দাদুর বাড়িতে দুই ছেলেকে রেখে আবার নিজ বাড়ি এসে বাড়ি থেকে যাবার সময় তাদের এক মামাকে বলে যায় সে তাদের বৌমাকে হত্যা করেছে।এরপর মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টা নাগাদ মিন্টু দেববর্মা, কল্যাণপুর থানায় রাত ৯:৩০ মিনিট নাগাদ জানায় তার স্ত্রী জেসমিন দেববর্মা নিখোঁজ।সেই পরিপ্রেক্ষিতে কল্যাণপুর থানার পুলিশ ও তার এলাকার লোক জন মিলে রাবার বাগানে অনেক খোঁজা খুঁজির পর ও জেসমিন দেববর্মার কোন খোঁজ না পাওয়াতে পুলিশ সেখান থেকে রাতের বেলা চলে আসে।এরপর বুধবার সকালে পুলিশ জানতে পারে মিন্টু দেববর্মা নিজেই তার স্ত্রীকে খুন করেছে তখন কল্যাণপুর থানার পুলিশ ও তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ মিলে যৌথ অভিযানের নামে জেসমিন দেববর্মা কে খুঁজে পাওয়ার জন্য শেষে তাদের বাড়ি থেকে দুই কিলোমিটার দূরে রাবার বাগানের পেছনে একটি জঙ্গল থেকে মাটি খুরে জেসমিন দেববর্মার মৃতদেহ একজন এক্সেটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে উদ্ধার করে পুলিশ এবং ময়নাতদন্তের পর তার পরিবারের হাতে মৃতদে তুলে দেওয়া হয় আসামি মিন্টু দেববর্মা এখনও পালাতক বলে জানা যায়।