খোয়াই প্রতিনিধি ২শরা ডিসেম্বর…..খোয়াই জেলার অন্তর্গত খোয়াই মহাকুমাতে শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তিনটি অনুষ্ঠানে যোগদান করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা।শনিবার সকাল ১১ টায় প্রথম সফরে যান খোয়াই মহাকুমার পদ্মবিল ব্লকের অন্তর্গত পাগলা বাড়ি এডিসি ভিলেজের ওয়ারেং টু বাড়িতে। সেখানে গিয়ে প্রথম দেখা করেন ২০১৬ সালে পাকিস্তানের উগ্রবাদীদের দ্বারা কাশ্মীরে শহীদ হওয়া জওয়ান চিত্তরঞ্জন দেববর্মার বাড়িতে সেখানে গিয়ে ওনার স্ত্রী ও পরিবার সাথে কথা বলেন এবং শেষে চিত্ত দেববর্মার শহীদ বেদীতে গিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এই দিন চিত্ত দেববর্মার বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন এরা হলেন এলাকার বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা,উপজাতি কল্যাণ মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা,খোয়াই জেলা শাসক চন্দ্রানি চন্দ্রন ,খোয়াই জিলা পরিষদের সভাধিপতি জয়দেব দেববর্মা,বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী সহ আরো অনেকে ।এই দিন চিত্ত দেববর্মার বাড়িতে ওনার পরিবারের সাথে মুখ্যমন্ত্রী কথা বলতে গিয়ে তাদের বিভিন্ন ধরনের সুবিধা ও অসুবিধা গুলি কথা শুনেন এবং কি করলে তাদের সুবিধা হবে এর জন্য জেলা শাসক কে পদক্ষেপ নেবার জন্য অনুরোধ করেন।চিত্ত দেববর্মার বাড়ির অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে ধুপ ছড়াতে সুরজিৎ দেববর্মার বাড়িতে এলাকার সমাজ পতিদের নিয়ে এক বৈঠক করেন এবং এলাকার সমাজ পতিদের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা কে উত্তরিও এবং ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নেন এবং তাদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে কথাবার্তা বলেন এই দুইটি অনুষ্ঠান শেষে বেরিয়ে যাবার পথে শহীদ চিত্তরঞ্জন দেববর্মা ও সমাজ পতিদের নিয়ে ওদের জন্য কি ধরনের চিন্তা ভাবনা করেছেন সেই বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বলেন প্রথমে শহীদ চিত্ত দেববর্মার বাড়িতে যান যিনি ২০১৬ সালে কাশ্মীরের শহীদ হয়েছিলেন তিনি বলেন সত্যিই আমাদের এবং রাজ্যের জন্য খুবই গর্বের বিষয় যে একটি অজ গায় থেকেও একজন সৈনিক শহীদ হতে পারে তার জন্য সেই পরিবারটি সরকারের পক্ষ থেকে কোন ধরনের সুযোগ সুবিধা পেয়েছে কিনা অথবা কি ধরনের সাহায্য করলে তারা উপকৃত হবেন সেই বিষয়ে পরিবারের সাথে আলোচনা করেন এবং জেলাশাসক চন্দ্রানি চন্দ্রনকে সমস্ত বিষয়টি লিপিবদ্ধ করে সময় মত মুখ্যমন্ত্রীকে ওয়াকি বহল করার জন্য জানান এরপর তিনি ধুপ ছড়াতে রঞ্জিত দেববর্মার বাড়িতে সমাজ পতিদের সাথে এক বৈঠকে মিলিত হন এবং আলোচনা করতে গিয়ে তিনি তাদের কাছ থেকে জানতে চান যে ত্রিপুরা,বর্তমান সরকার,ও দেশকে নিয়ে এই সমাজ পতিরা কি ধরনের চিন্তা ভাবনা করেন সেগুলি তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রীর সামনে সমাজ পতিরা।এবং উনাদের সাথে কথা বলে জানতে পারেন এবং বলেন দূর থেকে অনেক কিছু বোঝা যায় না যদি না সামনে এসে কথা বলা যায় এবং তিনি সমাজ পতিদের কথাগুলি নোট করেন এবং আগামী দিন কিভাবে তাদের আত্ম সামাজিক উন্নয়ন করা যায় এর জন্য চিন্তাভাবনা করছেন।তাদের জন্য শুধু সামাজিক উন্নয়ন করলে চলবে না পাশাপাশি তাদের মান উন্নয়ন করতে হবে এই কথাগুলি তিনি সমাজপতিদের বলেন এবং এও বলেন সর্বদা হাসি খুশি থাকার জন্য।মুখ্যমন্ত্রী ও বলেন রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার বিভিন্ন জন জাতিদের জন্য কি ধরনের চিনতে ভাবনা করেন তাও জনজাতিদের সামনে তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী তবে এই দুটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পেরে মুখ্যমন্ত্রী ব্যক্তিগত ভাবে খুবই আনন্দিত হন বলে জানান। উপরোক্ত দুটি অনুষ্ঠান শেষ করে শেষে ফিরে আসেন ২৪ রামচন্দ্র ঘাট মন্ডলের জনজাতি মোর্চার উদ্যোগে ওই এলাকার অটল কমিউনিটি হলে শনিবার দুপুরে সম্পর্ক থেকে সমর্থন নামক বিজেপি জনজাতি মোর্চার উদ্যোগ দলীয় এই অনুষ্ঠানটিতে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা এবং প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা।এছাড়া এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী,উপজাতি কল্যাণ মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা,খোয়াই জিলা পরিষদের সভাধিপতি জয়দেব দেববর্মা ,মন্ডল সভাপতি সঞ্জীব দেববর্মা সহ অন্যান্যরা ।উক্ত অনুষ্ঠানের জনজাতিদের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা কে বিভিন্ন ধরনের উপহার তুলে দেন এবং তাদের পক্ষ থেকে মানিক সাহাকে পাগড়ী পরিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।উক্ত অনুষ্ঠানটি ছিল মূলত জনজাতিদের নিয়েএবং সেই কমিউনিটি হলে লোকে লোকারণ্য ছিল পাশাপাশি আসন্ন ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন কর্মকান্ডের রুপাখা তৈরি করা ইত্যাদি। উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী,উপজাতি কল্যাণ মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা,বিজেপি দলের রাজ্য সভাপতি রাজিব ভট্টাচার্য ও মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা ।প্রত্যেক বক্তাই মোদি সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা ও প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে বলেন ভারতবর্ষের মধ্যে সবথেকে পিছিয়ে পরা রাজ্য ত্রিপুরা এর পরও কেন্দ্রের মোদি সরকার এই রাজ্যকে অন্য চোখে দেখছেন অন্যান্য রাজ্য থেকে। এবং এই রাজ্যের জনগণের জন্য বিশেষ করে উপজাতি অংশের মানুষের জন্য কাজ করে চলেছেন বিগত আমলের যেসব উপজাতি অংশের মানুষেরা পিছিয়ে পড়েছিল তাদেরকে এগিয়ে নিয়ে আসার জন্য কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার মিলে এক জোটে কাজ করেছেন তাইতো আজ উপজাতি অংশের মানুষ অনেকটা এগিয়ে আসছে ২০১৮ সালের পর থেকে।এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী বলেন উপজাত অংশের মানুষের জন্য শুধু নয় ওদের ছেলে মেয়েদের জন্য বিভিন্ন কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় স্কুল কলেজ বোর্ডিং এমন কি ট্যাড পরীক্ষার ব্যবস্থা করে দিয়েছে রাজ্যের বিজেপি সরকার তাই এই ধারাকে বজায় রাখতে২০২৪ সালে রাজ্য থেকে দুটি আসন বিজিবি দলের পক্ষ থেকে কেন্দ্রে মোদি সরকারকে উপহার হিসেবে তুলে দিতে হবে।এর জন্য গ্রাস রুট লেভেল থেকে কাজ করে আসতে হবে এর জন্য দরকার পৃষ্টা প্রমুখ, ভূত সভাপতি থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি লোককে কাজ করে যেতে হবে এর পাশাপাশি প্রতিদিন প্রত্যেক লোকের সাথে কথা বলতে হবে তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের সুবিধা ও অসুবিধা গুলি জানতে হবে এক কথায় জনগণের আপদ বিপদে তাদের পাশে দাঁড়াতে পারলে দল এবং বিরোধী দলের লোকেরা বিজেপি দলের ওপর আরো বেশি করে আস্তা রাখতে শুরু করবে তাতে করে দলের জন্য আগামী দিন ফলপ্রসু হবে বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী ।অনুষ্ঠান শেষে দিন তিপরা মাথা দল থেকে ১৭ জন ভোটার মুখ্যমন্ত্রী হাত ধরে বিজিবি দলের সামিল হয় এবং শেষে এলাকার জনজাতি বোনদের সাথে মুখ্যমন্ত্রীর ফটো শেষনে মিলিত হন।