মন্ত্রী বিকাশের নির্বাচনী কেন্দ্রে পানীয় জলের দাবিতে পথ অবরোধে শামিল সহজ সরল গিরিবাসীরা। দীর্ঘ পাঁচ দিন যাবত নেই পানীয় জল, ফলে বাধ্য হয়ে পথ অবরোধে শামিল গিরিবাসীরা।রাত পোহালেই ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন, আর এই লোকসভা নির্বাচন’কে সামনে রেখে শাসক ও বিরোধী উভয় শিবির ময়দানে তৎপর। ভোটের প্রাক্কালে নেতা আমলাদের গাল ভরা মিথ্যা প্রতিশ্রুতি থাকলেও ভোট পর্ব সাঙ্গ হতেই ভোট পাখিদের আর অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তাইতো রাজ্যের সহজ সরল বাসীদের যেন এক বংশপরম্পরা অভিশাপ এর মত হয়ে দাঁড়িয়েছে পানীয় জলের সঙ্কট।যদিও যখনই নির্বাচন আসে, শাসক থেকে শুরু করে বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো একের পর এক লোভনীয় প্রতিশ্রুতিতে ভরিয়ে তোলে গোটা পাহাড়’কে। এরপরেও দিনের পর দিন যাবতীয় বঞ্চনা কে সাথে করে নিয়েই পথ চলতে হচ্ছে রাজ্যের পাহাড়কে। কখনো বা শিক্ষার দাবি কখনো বা স্বাস্থ্যের দাবি আবার কখনো বা জলের দাবিতে পর্যন্ত পথে নামতে হচ্ছে রাজ্যের গিরিবাসীদের কিন্তু তারপরেও ডান-বাম সমস্ত আঙ্গিকেই রাজনীতির প্রধান মহড়া হিসেবে আখ্যায়িত হয়ে থাকছে এই নিরীহ গিরিবাসীরাই।বৃহস্পতিবার সকালের ব্যাস্ততম সময়ে তেলিয়ামুড়া মহকুমার অন্তর্গত মুঙ্গিয়াকামি বাজার এলাকায় আসাম আগরতলা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে যখন গোটা এলাকার সাধারণ গিরিবাসীরা পানীয় জলের জন্য কাতর দাবি জানাতে থাকে , তখন এই বিষয় গুলোই ভেসে ওঠে। সকাল আনুমানিক ১১ টা থেকে শুরু হওয়া সংশ্লিষ্ট অবরোধের জেরে রাস্তার দুই ধারে ব্যাপক যানজটের তৈরি হয় এবং বিশেষ করে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে গুলোর যে শিক্ষক শিক্ষিকাগন, যারা বিদ্যালয়মুখী ছিলেন, তাদের যেমন নানাবিধ অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়,পাশাপাশি এছাড়াও বিভিন্ন স্তরের রোগী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষদের হয়রানির কোন অন্ত ছিল না। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে রাজ্যের জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা যিনি আবার ইদানিং বিভিন্ন জায়গায় হিন্দি সিনেমার নায়কের ঢঙ্গে বিভিন্ন অফিস আদালত গুলোর মধ্যে গিয়ে কর্মসংস্কৃতির দাওয়াই দিচ্ছেন, সেই মন্ত্রীর এলাকাতে দীর্ঘ প্রায় পাঁচ ছয়দিন ধরে পানীয় জল নেই। মানুষ পানীয় জলের অভাবে রাস্তায় নেমেছে, তবে মন্ত্রী বাবুর এদিকে কোন খেয়াল নেই, কারণ মন্ত্রী যে ব্যাস্ত অনেকটা শো-অফ করার ক্ষেত্রে।শেষ সংবাদ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট অবরোধ চলতে থাকলেও দপ্তরের শীর্ষস্থরের আধিকারিক বা শীর্ষ প্রশাসনিক ব্যাক্তিত্বদের কোন দেখা পাওয়া যায়নি। তবে অবরোধকারীদের বক্তব্য, হচ্ছে যতক্ষণ পর্যন্ত না তাদের এই সমস্যার সমাধান হবে, তারা পথে থাকবে।অন্যদিকে, এই সমস্যা বা এই পথ অবরোধ আরো একবার চোখে আঙ্গুল দিয়ে প্রমাণ করে দিচ্ছে যে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল তিপ্রামথাও যতই জনজাতি দরদের কথা বলুক না কেন, যতই তিপ্রাসাদের উন্নয়নের কথা বলুক, আসলে ত্রিপুরা রাজ্যের পাহাড় আজও রয়েছে পাহাড়েই।