Saturday, July 27, 2024
বাড়িখবরশীর্ষ সংবাদবাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা প্রদানের বিষয়কে কেন্দ্র করে আমরা বাঙালি খোয়াই...

বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা প্রদানের বিষয়কে কেন্দ্র করে আমরা বাঙালি খোয়াই জেলা কমিটির উদ্যোগে কোহিনুর কমপ্লেক্স প্রাঙ্গনে চার ঘন্টা গন অবস্থানের ডাক দেওয়া হয়

খোয়াই প্রতিনিধি ৩০শে নভেম্বর…..ভারতবর্ষ স্বাধীন হয়েছে ৭৬ বছর পূর্ণ হল । এর পরও বাংলা ভাষাকে আজ অবদি ধ্রুপদী ভাষার র্যাদা দেওয়া হয়নি ।এরপরও ভারতবর্ষের বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা প্রদানের বিষয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করার জন্য বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটা থেকে সন্ধে ৬ টা পর্যন্ত চার ঘন্টার গনঅবস্থান পালন করা হয় আমরা বাঙালি খোয়াই জেলা কমিটির উদ্যোগে খোয়াই সুভাষ পার্ক স্থিত কোহিনুর কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণ। এই গন অবস্থানে নেতৃত্ব হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমরা বাঙালি ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সচিব গৌরাঙ্গ রুদ্র পাল, আমারা বাঙালির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বিশিষ্ট আইনজীবী গৌতম ঘোষ, আবরাম বাঙালি খোয়াই জেলা কমিটির সচিব গৌতম দেব ও কিশোর রায়, রুপেশ কুমার দেব সহ আমরা বাঙালি জেলা কমিটির নেতৃত্বদয়।রাজ্য কমিটির সচিব শ্রী রুদ্র পাল ওনার দীর্ঘ আলোচনা তে তিনি বলেন যে বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা প্রদান এ বিষয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে সদর্থক ভূমিকা গ্রহণের বিষয়ে আলোচনা করেন । ইতিমধ্যেই দেশে প্রচলিত ছটি ভাষাকে ধ্রুপদী বা ক্লাসিক্যাল ভাষায় স্বীকৃতি দিয়েছে দেশের কেন্দ্রীয় সরকার। এই তালিকার মধ্যে সর্বপ্রথম স্থান পেয়েছিল তামিল ভাষা, সংস্কৃত ,তেলুগু, কান্নার, মালায়ালাম, ও সবশেষে ২০১৪ সালে উড়িষ্যা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষায় মর্যাদা প্রদান করা হয়েছিল। একটি ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষায় পদমর্যাদা পেতে গেলে পূরণ করতে হয় কেন্দ্রীয় সরকার নির্ধারিত বেশ কয়েকটি মানদন্ড। যেগুলির মধ্যে প্রথম ও অন্যতম শর্ত হলো সংশ্লিষ্ট ভাষাকে ১৫০০ বছর বা তার বেশি পুরনো নথি থাকতে হবে। উন্নত মানের সাহিত্য সৃষ্টির উদাহরণ থাকতে হবে। সদ্য প্রকাশিত জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ এ ধ্রুপদী বা ক্লাসিক্যাল ভাষা সংক্রান্ত কয়েকটি সুপারিশ করা হয়েছে। এই সুপারিশ গুলির মধ্যে সংস্কৃত পালি ও প্রাকৃতির মতো সুপ্রাচিন ভাষা ছাড়া আরো বেশ কয়েকটি আধুনিক ভারতীয় ভাষার ক্লাসিক্যাল রূপ গুলিকে পঠন-পাঠনের আওতায় আনার কথা বলা হয়েছে। তাই বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা প্রদান করতে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারকে সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করতে এদিনের এই গনঅবস্থানে আলোচনা করেন। এছাড়া এই গণঅবস্থানে আমরা বাঙালির অন্যান্য বিশিষ্ট নেতৃত্বরা আলোচনা করেন। শ্রী গৌরাঙ্গ রুদ্র পাল পরিষ্কারভাবে বলবার চেষ্টা করেন সুপরিকল্পিতভাবে সরকার বাংলা ভাষা বাংলা কৃষ্টি সংস্কৃতিকে অর্থাৎ বাঙালির ইতিহাস কে মাটিচাপা দেওয়ার জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। তার বিরুদ্ধে আমরা বাঙালি ভারতবর্ষের প্রত্যেক জায়গাতে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন সংঘটিত করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন উড়িয়া ভাষা অনেক নবীন তারপরও উড়িয়া ভাষাকে দ্রৌপদী ভাষার মর্যাদা প্রদান করা হয়েছে কিন্তু অনেক পুরনো ভাষা বাংলা যেই ভাষার মধ্য দিয়ে ভারতবর্ষের জাতীয় সংগীত তথা পার্শ্ববর্তী দেশ বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত বাংলায় এবং ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনে সব থেকে বেশি শহীদের তালিকায় বাঙালিরা তাদের মাতৃভাষাকে সঠিক মর্যাদা প্রদান করতে সরকার চাইছে না তার বিরুদ্ধেই আমাদের আন্দোলন যতদিন না পর্যন্ত বাংলা ভাষাকে দ্রৌপদী ভাষার মর্যাদা প্রদান করা না হবে আমরা বাঙালি দলের পক্ষে আন্দোলনের তীব্রতা বৃদ্ধি করা হবে। সব থেকে বড় বিষয় আজকের গণঅবস্তান চলাকালীন সময়ে খোয়াই সুভাষ পার্কে আসা ক্রেতা বিক্রেতাদের দৃষ্টি গনঅবস্থানে পরিলাক্ষিত হয়।
এখন দেখার বিষয় আমরা বাঙালি খোয়াই জেলা কমিটির উদ্যোগে আজকের গনঅবস্থান কতটুকু সফলতা অর্জন করতে পারে যদিও রাজ্য কমিটির সচিব শ্রী রুদ্রপাল তীব্র সুরে বলেছেন আমরা বাঙালি দলের আন্দোলন সারা ভারতবর্ষে তীব্র থেকে তীব্রতর করা হবে।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

4 × 1 =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য