খোয়াই প্রতিনিধি ২৫শে অক্টোবর… বুধবার বিকেল চার ঘটিকায় খোয়াই জম্বুরা স্থিত একটি বেসরকারি হোটেলের কনফারেন্স হলে অরবিন্দ সোসাইটির খোয়াই একটি শাখার উদ্বোধন হয়ে গেল। এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অরবিন্দ সোসাইটি এর সর্বভারতীয় সম্পাদক শ্রী গোপাল ভট্টাচার্য, এছাড়া উপস্থিত ছিলেন অরবিন্দ সোসাইটির রাজ্য কমিটির কোষাধক্ষ্য রাজা চক্রবর্তী, খোয়াই এর শিক্ষা অনুরাগী ধানেশ পাল ও খোয়াই শাখার সম্পাদক দীপেন নাথ শর্মা, চেয়ারম্যান মৃণাল কান্তি মজুমদার, কোষাধক্ষ্য জহর দেবনাথ সহ অন্যান্যরা। এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আলোচনায় অরবিন্দ সোসাইটির সম্পাদক গোপাল ভট্টাচার্য দীর্ঘ আলোচনা করেন ঋষি অরবিন্দের জীবনযাপন নিয়ে। মূলত শ্রী গোপাল ভট্টাচার্য পন্ডিচেরি আশ্রম থেকে এসেছেন এই সোসাইটি টি মূলত পন্ডিচেরির আশ্রম থেকে পরিচালনা করা হয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্রচেষ্টা চালাচ্ছিলেন অরবিন্দ সোসাইটির একটি শাখা খোয়াইতে শুরু করার জন্য।শেষে অনেক প্রচেষ্টার পর খোয়াইতে শুরু করা সম্ভব হয়েছে। শ্রী ভট্টাচার্য স্বাধীনতা সংগ্রামী অরবিন্দ এর জীবন কাহিনী তুলে ধরে বলেন কিভাবে ঋষি অরবিন্দ একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী থেকে ঋষি অরবিন্দ হয়ে গেলেন এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের কালে অরবিন্দের জেল ও ফাঁসি প্রদানের জন্য তৎকালীন সময়ে ইংরেজরা মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন। মূলত শ্রী ভট্টাচার্য বলেন ঋষি অরবিন্দ একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী হলেও তিনি আসলে একজন আধ্যাত্মিক লাইনের লোক ছিলেন কারণ তৎকালীন সময়ে ইংরেজরা যেভাবে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন উনাকে ফাঁসি প্রদান করার জন্য কিন্তু ঈশ্বরের কৃপায় সেই ফাঁসির মঞ্চ থেকে বিশ্ব বিখ্যাত ব্যারিস্টার চিত্তরঞ্জন দাস জেল এবং ফাঁসি থেকে বের করে আনতে সক্ষম হয়েছিল। শ্রী ভট্টাচার্যের মতে এই ঘটনাটা সম্পূর্ণ ঈশ্বরের কৃপাতে হয়েছে। তারপর অরবিন্দ কলকাতাতে চলে আসে স্বমহিমায় লেখালেখির কাজ করতে থাকেন কিন্তু ইংরেজের তীক্ষ্ণ নজর সব সময় ছিল অরবিন্দের উপর। পরবর্তীতে তিনি পণ্ডিচেরিতে চলে যান সেখানে ২৪ বছর একটি ঘরে নিজেকে আবদ্ধ করে রেখেছিলেন ওই সময়তে ঘর থেকে বের হননি এবং সেখানে বসে আধ্যাত্মিক বিষয়ে চর্চা করতে থাকেন তিনি জানবার চেষ্টা করেন ঈশ্বরকে এমন কি ঈশ্বরের দেখাও মিলে যায়বলে অরবিন্দের লেখনীতে রয়েছে এবং শেষে ঈশ্বরের কাছে আশীর্বাদ প্রাপ্ত হয়ে মানুষের জীবনযাত্রা ঈশ্বর স্বরূপ গড়ে তোলার প্রার্থনা করেন। তারপর এক সোসাইটির জন্মদেন সোসাইটির নামকরণ করা হয় অরবিন্দ সোসাইটি। বর্তমানে সোসাইটির সম্পাদক শ্রী গোপাল ভট্টাচার্য তিনি বিশ্বের ১৪৫টি দেশে সোসাইটির শাখা উদ্বোধন করেন বিভিন্ন দেশের জনগণকে ঋষি অরবিন্দের জীবন যাত্রা এবং তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সফল করার বার্তা প্রদান করে যাচ্ছেন। সব কথার মূলে গোপাল ভট্টাচার্য তিনি আহবান রাখেন খোয়াই সহ সারা দেশের জনগণ অরবিন্দ সোসাইটির মাধ্যমে অরবিন্দের জীবনযাত্রা ও উনার ভাবধারাকে পথেয় করে জীবন অতিবাহিত করলে জীবন সুন্দর হওয়া অনিবার্য কারণ প্রত্যেকটি মানুষের মধ্যে ঈশ্বর বিরাজমান তিনি এটা মনে করেন এবং সেই ঈশ্বরকে জাগিয়ে তুলতে পারলে মানুষ সঠিক পথে চলতে পারবে বলে আশাবাদী বলেন অরবিন্দ সোসাইটির সর্বভারতীয় সম্পাদক গোপাল ভট্টাচার্য।