শারদীয়া উৎসবের আগে রাজ্য সরকারের খাদ্য দপ্তর উৎসব উপহারস্বরূপ সমস্ত রেশন ভোক্তাদের হাতে কার্ড পিছু এক লিটার সরিষার তেল সহ আরো বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়। আগরতলা রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে যার আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়েছিল। উৎসবের আগে রেশন শপগুলিতে চিনি, ময়দা, আটা সহ অন্যান্য সামগ্রী যথারীতি পৌঁছে গেলেও, বিভিন্ন কারণে সর্ষের তেল পৌঁছা সম্ভব হয়নি। খানিকটা দেরিতে হলেও এবার ন্যায্য মুলের দোকানগুলিতে পৌঁছাতে শুরু করল সরকারের ঘোষিত সরিষার তেল। দীপাবলীর আগে প্রত্যেক রেশন ভোক্তা হাতে পেয়ে যাবেন এই সরিষার তেল। বাজার থেকে খানিকটা কম দামে প্রতি লিটার ১১৩ টাকা দরে দেওয়া হবে এই তেল। শুক্রবার আগরতলা শহরের বেশ কয়েকটি ন্যায্য মূল্যের দোকানে নিজে উপস্থিত থেকে এই সরষের তেল বিতরণ কর্মসূচির সূচনা করলেন খাদ্য দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। দপ্তরের অধিকর্তা নির্মল অধিকারী ও সহকারী অধিকর্তা অনিমেষ দেববর্মা সহ অন্যান্য আধিকারিকদের সাথে নিয়ে এদিন রেশন ভোক্তাদের হাতে এক লিটার করে সর্ষের তেল তুলে দিলেন মন্ত্রী শ্রী চৌধুরী। এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে এদিন মন্ত্রী বলেন রাজ্য সরকার ১৫ টাকা ভর্তুকি মূল্যে শর্ষের তেল বিতরণ করছে। দেওয়ালি উৎসবের আগে প্রতিটি রেশন শপে পৌছে যাবে এই তেল। খাদ্য দপ্তর যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করবে। বছরে চারবার উৎসবের সময় ভর্তুকি মূল্যে সর্ষের তেল দেওয়া হবে। রাজ্যের গণবণ্টন ব্যবস্থা এখন অনেকটাই উন্নত হয়েছে। আর তা সহ্য হচ্ছে না বলেই শুধুমাত্র রাজনীতি করার জন্য মানুষকে বিভ্রান্ত করতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে একাংশ অপপ্রচারকারী। মানুষকে আরও বেশি করে কিভাবে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া যায় সেই দিশা নিয়েই কাজ করছে রাজ্য সরকার।