Sunday, December 22, 2024
বাড়িখবরশীর্ষ সংবাদ"ভুবনডাঙা " ষান্মাষিক সাহিত্যপত্রের শারদীয় সংখ্যা ১৪৩০ বাংলা এর আবরন উন্মোচন অনুষ্ঠান...

“ভুবনডাঙা ” ষান্মাষিক সাহিত্যপত্রের শারদীয় সংখ্যা ১৪৩০ বাংলা এর আবরন উন্মোচন অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়ে গেল জেলা গ্রন্থাগারে।

খোয়াই প্রতিনিধি ২৬শে অক্টোবর….বাঙ্গালীদের পূজা মানেই ঢাক।আর ঢ্যাং কুড় কুর বাদ্দী বাজে এই ঢাকের বাদ্যির সাথে বাঙালির শিল্প সংস্কৃতি মন ও নেচে উঠে নবসৃষ্টির আনন্দে। শারদোৎসব আর শারদ সাহিত্য যেন বাঙালির মন ও মননের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। পূজো পূজো গন্ধের সাথে শারদীয় পূজো সাহিত্য সংখ্যাগুলির রকমারি ঝা চকচকে শৈল্পিক দৃষ্টিনন্দন প্রচ্ছদ আর নতুন কাগজের ঘ্রানে সৃষ্টি পাগল মানুষরা উদ্বেল হয়ে উঠে এই সময়। এই চিরায়ত ঐতিহ্য বাঙালির দীর্ঘ দিনের। এরই ধারাবাহিকতায় পূজোর প্রাগ লগ্নে মহাষষ্ঠীর দিন পূণ্যসন্ধ্যায় লেখক- কবি-সাহিত্যিক ও সম্পাদক জহরলাল দাসের সম্পাদিত খোয়াই জেলা তথা রাজ্যের অন্যতম ষান্মাষিক সাহিত্যপত্র ” ভুবনডাঙা” শারদীয় সংখ্যা-১৪৩০ বাং – এর আনুষ্ঠানিক আবরন উন্মোচন হয়ে গেল খোয়াই জেলা গ্রন্থাগারের পাঠকক্ষে। খোয়াই জেলার প্রথিতযশা, বিদগ্ধজনের হাত ধরে এক ঝাঁক নবীন প্রবীণ লেখক কবি সাহিত্যিক, সাংবাদিক এবং গুনীজনদের উপস্থিতিতে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে ভুবনডাঙা শারদীয় সংখ্যার আবরন উন্মোচন, কবিসন্মেলন ও গুনীজন সম্মাননা অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন খোয়াই পুর পরিষদের মাননীয় চেয়ারপার্সন শ্রী দেবাশীষ নাথশর্মা মহোদয়।মন্চে সন্মানিত অতিথি, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খোয়াই পুর পরিষদের মাননীয় কাউন্সিলর তথা শিক্ষা ও ক্রীড়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান শ্রী পীযূষকান্তি চৌধুরী, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবী দানীশ পাল, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রিয়তোষ ঘোষ, বর্ষীয়ান কবি, সাহিত্যিক প্রণবকান্তি চৌধুরী, বিশিষ্ট নাট্যকার, সাহিত্যিক মনোরঞ্জন গোপ, বর্ষীয়ান কবি মনোজিৎ দত্ত, শান্তনু মজুমদার প্রমুখ। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের পর ষান্মাষিক সাহিত্যপত্র “ভুবনডাঙা”র সম্পাদকের স্বাগত বক্তব্যের পর পরই উপস্থিত অতিথিবৃন্দের হাত ধরে আনুষ্ঠানিক আবরন উন্মোচন হয়ে গেল ভুবনডাঙা শারদীয় সংখ্যা -১৪৩০ বাং সংখ্যার। রাজ্য ও বহির্রাজ্যের একঝাঁক লেখক কবি সাহিত্যিকের লেখায় সমৃদ্ধ দৃষ্টিনন্দন প্রচ্ছদ সম্বলিত এই শারদীয় সাহিত্য সাময়িকী হল ভর্তি দর্শক শ্রোতাদের দৃষ্টি আকৃষ্ট করে। অনুষ্ঠানে পরবর্তী পর্বে ছিল গুনীজন সম্মাননা। খোয়াই পুর পরিষদের মাননীয় চেয়ারপার্সন সন্মননা স্মারক তুলে দেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবী দানীশ চন্দ্র পাল মহোদয়ের হাতে। অপর সন্মাননা প্রাপক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ও বিশিষ্ট সমাজসেবী নিরোদ রঞ্জন ঘোষ। এরপর ধারাবাহিক ভাবে চলে অতিথিবৃন্দের আলোচনা। ফাঁকে ফাঁকে নাচ, গান, আবৃত্তি , কবিদের স্মরচিত কবিতা পাঠ। খোয়াই জেলার নবীন প্রবীণ প্রায় ত্রিশ জন কবি কবিতা পাঠ করেন। অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের উদ্বোধক তথা প্রধান অতিথি খোয়াই পুর পরিষদের মাননীয় চেয়ারপার্সন শ্রী দেবাশীষ নাথশর্মা মহোদয়, সন্মননা প্রাপক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবী দানীশ চন্দ্র পাল, কবি সাহিত্যিক প্রণবকান্তি চৌধুরী, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রিয়তোষ ঘোষ,নাট্যকার ও সাহিত্যিক মনোরঞ্জন গোপ, বর্ষীয়ান কবি মনোজিৎ দত্ত প্রমুখ। কিশোরী কবি পল্লবী দেবনাথ ও শিশু কবি কৃত্তিকা পালের কবিতা সবার নজর কাড়ে। সবমিলিয়ে মহাষষ্ঠীর পূণ্যসন্ধ্যায় খোয়াই-এর সাহিত্য সংস্কৃতি সুধীজনরা এক মনোজ্ঞ সাহিত্য সংস্কৃতিমলক আনন্দ সন্ধ্যায় সিক্ত হন।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

5 × four =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য