খোয়াই প্রতিনিধি ১৪ই সেপ্টেম্বর…প্রতিটি দেশের মূলধন হচ্ছে টাকা আর এই টাকা যদি জাল হয়ে পড়ে তাহলে দেশের আর্থিক মানদন্ড ভেঙে পড়ে।আর তাই চলছিল গত কয়েক দশক ধরে ভারতের টাকার সাথে।তাইতো বিগত ২০১৫ সাল পর্যন্ত ভারতবর্ষের যে সমস্ত ৫০০এবং ১০০০ টাকার নোট চালু ছিল দেশে সেই নোট গুলি বন্ধ করে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মোদি সরকার।মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল তৎকালীন সময়ে বিশ্বের সমস্ত উগ্রবাদীরা বিশেষ করে পাকিস্তানের আই এস আই সংগঠন ভারতবর্ষের ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট কে জাল বানিয়ে ভারতের বাজারে ছেড়ে দিত তাছাড়া যারা টাকা নিয়ে কালা বাজারি করে তাদেরকে আটকাতে এই পদক্ষেপ নিয়েছিল ।তাতে করে ভারতবর্ষের বাজারে টাকার মানের উপর এফেক্ট পড়তো।তা যাতে উগ্রবাদীরা না করতে পারে সেই কারণে ২০১৫ সালে কেন্দ্রীয় সরকার ভারতবর্ষের ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বন্ধ করে দেন একথা নোট বন্দি চালু হয়েছিল।এরপর নতুন ভাবে নতুন টাকা বাজারে আসে তার মধ্যে নতুন করে ৫০০ টাকা ও ২ হাজার টাকার নোট বাজারে আসলেও সরকার ১০০০ টাকা নোট চালু করেনি। এরপর বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ভারতবর্ষের বর্তমান ২০০০ এবং ৫০০ টাকা নোট জাল করে নিয়ে বাজারে ছেড়ে দিচ্ছে। জাল টাকা কিভাবে তৈরি হয় এবং সেই জাল টাকা কিভাবে সনাক্তকরণ করা যায় সেই বিষয়ের উপর বৃহস্পতিবার দুপুরে খোয়াই জেলা পুলিশের কনফারেন্স হলে ভারতবর্ষের জাল টাকা কিভাবে শনাক্তকরণ যায় এর উপর. খোয়াই জেলার সমস্ত পুলিশ অফিসার এবং আধিকারিকদের নিয়ে আর বি আই এর পক্ষ থেকে এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়।উক্ত সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন আর বি আই কলকাতা ডিভিশনের ম্যানেজার .শশাঙ্ক পরদি কর, আর বি আই আগরতলা শাখার ম্যানেজার অরুপ চৌধুরী,খোয়াই জেলার এল ডি এম সুব্রত মন্ডল এবং পুলিশের বিভিন্ন অফিসাররা।বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কনফারেন্স হলে আর বি আই এর পক্ষ থেকে প্রজেক্টার এর মাধ্যমে কিভাবে ভারতীয় টাকা কে জাল নোটে পরিণত করা হয় এবং এর সনাক্তকরণ কিভাবে করা হয় সেই বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় সেমিনারের মাধ্যমে সমস্ত পুলিশ অফিসারদেরকে যাতে করে অদূর ভবিষ্যতে যা জাল নোট কারবারীদেরকে পুলিশ ধরতে পারে এবং জাল নোট কেও সনাক্তকরণ করতে পারে এই বিষয়টিকে নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের কাছে উপস্থাপন করেন ডি এস পি স্বপন দেববর্মা।তিনি সংবাদমাধ্যমকে এও জানান এই বিষয়ের উপর আর বি আই এর কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা হয়েছে যাতে করে আগামী দিন এই ধরনের প্রশিক্ষণ শিবির বা সেমিনারের মাধ্যমে তাদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।এতে করে পুলিশের কাজের ক্ষেত্রে অনেকটা সুবিধা হবে এবং ব্যক্তি জীবনেও তা কাজে লাগবে।এই বিষয়টি পুলিশের কাছে জানানোর ফলে জাল নোট কারবাড়িদেরকে পুলিশ ধরতে পারবে এবং জাল নোট সম্বন্ধেও পুলিশ অবগত হয়ে যাবে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার এইরকম উদ্যোগ জনস্বার্থে অনেকটা কাজে লাগবে বলে আশা করা যাচ্ছে।