খোয়াই শহরের প্রাণকেন্দ্র সুভাষ পার্ক এলাকায় দুই বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে গুরুতর যখম দুই মৃত এক। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে শনিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ খোয়াই কো-অপারেটিভ ব্যাংক সংলগ্ন খোয়াই তেলিয়ামুড়া সড়কে। দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির নাম ধনন্ত মোদক পেশায় একজন গৃহ শিক্ষক। বাড়ি খোয়াইয়ের বারোবিল এলাকায়। আহত ব্যক্তির নাম সুদীপ বর্মন, বাড়ি খোয়াইয়ের বনকর এলাকায়। ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে, শনিবার রাত আনুমানিক সাড়ে দশটা নাগাদ প্রাইভেট টিউশনি সেড়ে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন ধনন্ত মোদক, উনি যখন খোয়াই কোঅপারেটিভ ব্যাংক সংলগ্ন এলাকায় এসে বাড়ি যাবার জন্য বাক নিতে যায় তখন বিপরীত দিক থেকে প্রচন্ড বেগে আসা সুদীপ বর্মনের বাইকের সাথে সজোরে ধাক্কা মারে ওনার বাইকের মধ্যেখানে। দুই বাইকের সংঘর্ষে দুজনই গুরুতরভাবে আহত হয় এর মধ্যে ধনন্ত মোদকের মাথার পেছনের অংশ টুকরো হয়ে যাওয়াতে ব্যাপক রক্ত ক্ষরণ হয়। শেষে ঘটনাস্থল থেকে দমকল বাহিনীর কর্মীরা খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করে খোয়াই জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নিয়ে যাবার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা করে তড়িঘড়ি তাদের আগরতলা জীবি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে দেয়। ১৫ ঘন্টা মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে রবিবার দুপুর নাগাদ জীবন যুদ্ধে হেরে যায় ধনন্ত মোদক। জানা গেছে ধনন্ত মোদকের স্ত্রী এবং এক পুত্র সন্তান সহ বহু আত্মীয় পরিজন রয়েছে। তার অকাল প্রয়াণে পরিবার এবং আত্মীয় পরিজন সহ গোটা এলাকাবাসী বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। ইদানিং খোয়াই মহকুমা জুড়ে একাংশ বখাটে বাইক চালক এর দৌরাত্ব এতটা বৃদ্ধি পেয়েছে সাধারণ পথ চলতি জনগণের রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করাই কষ্টকর। আর এইসব বাইক চালকদের কল্যাণে অধিকাংশ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে। পুলিশ অধিক থেকে অধিকতর প্রচেষ্টা করেও সড়ক দুর্ঘটনার লাগাম টানাতে পারছে না । এইসব সড়ক দুর্ঘটনার কল্যাণে অসহায় পথযাত্রী এবং সাধারণ বাইক আরোহীদেরকে অকালে প্রাণ দিতে হচ্ছে। তাই এই সড়ক দুর্ঘটনা গুলি রোধ করার জন্য খোয়াইয়ের সাধারণ জনগণের আহ্বান পুলিশ প্রশাসনের কাছে আহ্বান রাখেন যাতে বখাটে বাইক চালকদের প্রতি পুলিশ একটু কঠোর দৃষ্টিতে দেখে। এ ধরনের বখাটে ছেলে গুলোদের কে যদি পুলিশ বাড়ি আনতে না পারে তাহলে আগামী দিন ধনন্ত মোদকের মত অনেক ব্যক্তি ও যুবকের কানহানির সংশয় রয়েছে বলে মনে করেন খোয়াই বাসি



