Thursday, October 17, 2024
বাড়িখবরশীর্ষ সংবাদনির্বাচনের প্রাক মুহূর্তে বক্সনগরে আবারো দুঃসাহসিক চুরি

নির্বাচনের প্রাক মুহূর্তে বক্সনগরে আবারো দুঃসাহসিক চুরি

দিন দিন চোরের উপদ্রব এত বৃদ্ধি পাচ্ছে যে সাধারণ মানুষের রাতের ঘুম হারাম করে দিচ্ছে। এমনিতে সারা ত্রিপুরা রাজ্যে চুরির সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, কিন্তু প্রশাসন এ ব্যাপারে কোন ব্যবস্থাই গ্রহণ করতে পারছে না বলে অভিযোগ। চুরি বিগত দিনেও হয়েছে কিন্তু এত বেশি চুরি ত্রিপুরা রাজ্যে আগে কখনো ঘটেনি বলে দাবি এলাকার মানুষ জনের। তবে ইদানিং চুরি বড় মাপের না হলেও ছোট খাটো চুরি প্রতিনিয়ত রাতেই ঘটে চলছে। তবে সংশ্লিষ্ট মহল এই চুরির ব্যাপারে নেশা দ্রব্য কে দায়ী করছে। অতীতেও এ রাজ্যে গ্রাম থেকে শহরে, শহর থেকে গ্রামে নেশার রমরমা ছিল । কিন্তু এত চুরি ছিল না। কিন্তু এখনকার চুরির জন্য মাদক সেবনকে দায়ী করছে একাংশ জনগণ।ইদানিং সোনামুড়া মহকুমায় এ নেশার রমরমা অত্যন্ত দ্রুত গতিতে বেড়েছে । যার ফলে সোনামুড়া মহকুমার প্রত্যেকটি জায়গাতে প্রতিনিয়ত চুরি হচ্ছে। তারই অঙ্গ হিসেবে কলমচৌড়া থানাদিন বক্সনগর সামাজিক হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় দীর্ঘ ৩০ বছর যাবত একটি ছোট টং দোকান চালিয়ে আসছেন তারিনী চন্দ্র দাস।উনি মারা যাওয়ার পর তার ছেলে রমেন চন্দ্র দাস দোকান টি চালিয়ে আসছেন। গতকাল গভীর রাতে চোরের দল হানা দিয়ে দোকান থেকে একটি ফ্রিজ, একটি ইলেকট্রিক চুলা, দোকানের মাল পত্র, ক্যাশ টাকা সহ চুরি করে নিয়ে যায় চোরের দল । বিজেপি সরকার আমলে এই দোকানে প্রায় ১০ বার চুরি হয়েছে। এই দোকানটির ওপর নির্ভর করে তার সংসার প্রতিপালন করেন। তার দোকানে চুরি হওয়ায় দোকানের মালিক অনেকটাই ভেঙ্গে পড়েন । তিনি বলেন বন্ধন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে তিনি একটি ফ্রিজ কিনেছিলেন । এর আগেই অনেকবার চুরি হয়েছে কিন্তু এমন চুরি আর হয়নি । নির্বাচনের প্রাক মুহূর্তে এমন চুরির ঘটনায় গোটা এলাকা জুড়ে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ ব্যক্ত করেন সাধারণ মানুষ জন। বক্সনগর এলাকায় ইদানিং অধিকাংশ বাড়িঘর থেকে জিনিসপত্র নিয়ে যাচ্ছে চোরের দল। জানা যায় এলাকার কিছু উঠতি বয়স্ক যুবক দিন দিন নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছেন। যার ফলে এই এলাকায় দিন দিন চোরের উপদ্রব্য বেড়েই চলছে। এলাকার শুভ বুদ্ধি মহল দাবি করছেন নেশার টাকা যোগানোর জন্য প্রতিনিয়ত এই চুরির ঘটনা ঘটিয়ে চলছে উঠতি বয়স্ক যুবকরা । তবে এলাকার মানুষ দাবি করেন এই বিষয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েতের ভূমিকা থাকা একান্ত দরকার। যে কোন একটি সুরাহা বের করে সিদ্ধান্ত নিলে এবং রাত্রিবেলা পুলিশের টহল থাকলে আগামী দিনে হয়তো চোরের উপদ্রব কমতে পারে। এখন দেখার বিষয় এলাকার পঞ্চায়েত প্রতিনিধি এবং থানা প্রশাসন কি ভূমিকা গ্রহণ করে সেদিকে তাকিয়ে আছে গোটা এলাকাবাসী।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

15 − 12 =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য