ঘটনার বিবরণে জানা যায়,, দয়াল পাড়া এলাকায় প্রায় ৫০ পরিবার জনজাতিদের বসবাস। এলাকাবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবিছিল ছড়ার উপর একটি পাকা কালবাট সেতু নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য। কারণ, ৫০ পরিবার জনজাতি অংশের মানুষজনরা তাদের এই মূল রাস্তা ধরে ছড়া পেরিয়ে ঝুঁকি পূর্ণ অবস্থায় বাজার হাটে আসতে হয়, অসুস্থ রোগীকে নিয়ে হাসপাতালে যেতে হয়। তাদের কাছে এ যেন এক নিদারুণ সমস্যা। এলাকাবাসীরা পূর্বে বহুবার ছড়ার উপর পাকা কালবাট সেতু নির্মাণ পরে দেওয়ার জন্য বাম আমলে প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছিল। ওই সময়ে প্রশাসন তাদের দাবিটি মান্যতা দেয়নি। যার ফলে ছড়ার উপর নড়বরে বাসের সাকুর উপর দিয়ে যাতায়েত করতে হচ্ছে নিজেদের জীবন ঝুঁকি নিয়ে। এবার ত্রিপুরা স্ব-শাসিত জেলা পরিষদের শাসন ক্ষমতায় তিপ্রামথা আঞ্চলিক দল, তাই দয়াল পাড়া জনজাতি অংশের মানুষজনরা আবারো এডিসি প্রশাসনের কাছে পাকা কালবাট সেতুর ছড়ার উপর নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য পুনরায় দাবি জানিয়েছিল । কিন্তু বর্তমানেও ওই ছড়ার উপর পাকা কালবাট সেতুর নির্মাণ করার প্রয়োজন টুকু বোধ করেনি এডিসি প্রশাসন। ফলে দয়াল পাড়া এলাকার জনজাতি অংশের মানুষজনরা ক্ষুব্ধ হয়ে আসন্ন ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে ভোট বয়কট করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। স্থানীয় এডিসি ভিলের সূত্রের খবর ওই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তিন শতাধিক ভোটার রয়েছে। উল্লেখ্য, এলাকাটি ২৫ কৃষ্ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। যদি ওই সকল ভোটাররা সত্যিই ভোট বয়কটের পথে এগোয় তাহলে ২৯ কৃষ্ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রে আসন্ন ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির ভোট ব্যাংকে বিশাল তফাৎ পড়তে পারে রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহল।।