এক সাড়া জাগানো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আজ অর্থাৎ শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী আদর্শ গ্রাম যোজনা প্রকল্পের অধীন কল্যাণপুর আর ডি ব্লকের দ্বারিকাপুর, পশ্চিম দারিকাপুর, কমলনগর এবং উত্তর কমলনগর এই চারটি পঞ্চায়েতকে আদর্শ গ্রাম হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়। এ উপলক্ষে পূর্ব ঘোষিত সূচি অনুযায়ী উত্তর কমলনগরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী, কল্যাণপুর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান সোমেন গোপ, ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব পাল, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য রাজ গোবিন্দ চক্রবর্তী, ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক তরুণ কান্তি সরকার সহ দপ্তরের আধিকারিকগণ। এই আদর্শ গ্রাম ঘোষণা করে ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান সোমেন গোপ আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন,,,,, এই আদর্শ গ্রাম পঞ্চায়েত ঘোষণার মাধ্যমে আগামী দিনে অত্র এলাকার উন্নয়নের গতি আরো এগিয়ে যাবে। আদর্শ গ্রাম প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শ্রী গোপ বলেন ২০২০-২০২১ অর্থবছরে কাজ শুরু করে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সরকার প্রদত্ত নীতির মধ্যে দাঁড়িয়ে কাজ এগিয়ে চলেছে বলেই গোটা এলাকা সেজে উঠেছে। পাশাপাশি এই মঞ্চে আলোচনা করতে গিয়ে সোমেন গোপ দৃঢ় ভাষায় দাবি করেন এই সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে গোটা এলাকার উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত হয়েছে। তিনি আশাবাদী আগামী দিনেও এই এলাকার আর্থ সামাজিক ব্যবস্থার মান উন্নয়নের গতি সমানভাবে এগিয়ে চলবে। বিগত সরকারকে কটাক্ষ করতে গিয়ে সোমেন গোপ বলেন দীর্ঘ আড়াই দশকের বাম শাসনে উত্তর কমলনগর সহ বিস্তীর্ণ এলাকার উন্নয়নের গতি থমকে দাঁড়িয়েছিল, বর্তমান সময়ে সবকা সাথ সবকা বিকাশের মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ হয়ে বর্তমান সরকার কাজ করে চলেছে বলে দাবি করেন সোমেন গোপ।
এই মঞ্চে আলোচনা করতে গিয়ে প্রধান অতিথি বিধায়ক পিনাকী দাশ চৌধুরী এই অনুষ্ঠানকে কমলনগর তথা কল্যাণপুরের পরিপ্রেক্ষিতে একটা ঐতিহাসিক দিন হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন এই আদর্শ গ্রাম ঘোষনার মধ্য দিয়ে এই এলাকার আর্থ সামাজিক ব্যবস্থা ক্রমান্বয়ে এগিয়ে যাবে। এই মঞ্চে দাঁড়িয়ে বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী বিগত বাম আমলের গণতন্ত্র হীনতাকে কটাক্ষ করতে গিয়ে বলেন বর্তমান সময়ে গণতান্ত্রিক পরিকাঠামো রয়েছে বলেই সন্ত্রাসের কোন প্রকারের ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে না। এই বর্তমান সরকারের বদান্যতায় গণ বণ্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে বিনামূল্যের সামগ্রী প্রদানের ঘটনা গোটা পৃথিবীর ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত স্বরূপ হিসেবে আখ্যায়িত করলেন কল্যাণপুরের বিধায়ক দাস চৌধুরী।
পাশাপাশি এদিন রেগার শ্রমিকদের কাজে সহায়তা করার জন্য সহায়ক সামগ্রী বিতরণ করা সহ এআরডিডি দপ্তরের ব্যবস্থাপনায় মুখ্যমন্ত্রী স্বনির্ভর পরিবার যোজনায় ৪২ টি শুকর ছানা এবং ৫০টি ছাগল বিতরণ করা হয়। এর পাশাপাশি এদিন উত্তর কমলনগর এর সি এস সি সেন্টার এবং এ আর ডিডি কার্যালয় এরও উদ্বোধন হয়।
গোটা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উত্তর কমলনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পূর্ণিমা দেবনাথ। এই অনুষ্ঠান ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক তৎপরতা পরিলক্ষিত হয়।।