বিশালগড় মহকুমায় চুরির ঘটনা নতুন নয়, একের পর এক বহুবার চুরির ঘটনা ঘটছে বিশালগড়ে। কোথাও বাইক চুরি, আবার কোথাও গবাদিপশু চুরি, কোথাও দোকানে চুরি, আবার কোথাও স্বর্ণালঙ্কার এবং লক্ষ লক্ষ টাকা চুরির মতো ঘটনা অহরহ ঘটছে বিশালগড়ে। শুধু তাই নয় বিশালগড় থানার অন্তর্গত বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই , মারধোর এর মতো বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ড বৃদ্ধি পাচ্ছে, কিন্তু অবাক করার বিষয় হচ্ছে বিশালগড় থানার পুলিশ অপরাধ দমন করাতো দূরের কথা অপরাধীদের সাথে মোটা অঙ্কের রফাদফা চালাচ্ছে। বর্তমানে চলছে নাইট কারফিউ, অর্থাৎ রাত আটটার পর থেকে বিনা প্রয়োজনে বাড়ি থেকে বেরোনো নিষেধ, পাশাপাশি পুলিশের টহলদারির উপর জোর দিতে বলেছে রাজ্য সরকার। তবে নাইট কারফিউর রাতে চুরি, পুলিশের ভূমিকা শূন্য। আবারো দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটলো বিশালগড় থানার অন্তর্গত পূর্ব গোকুলনগরস্থিত মনোরঞ্জন রায়ের বাড়িতে। নিশিকুটুম্বের দল হানা দিয়ে চুরি করে নিয়ে যায় গবাদিপশু। জানা যায় রবিবার মনোরঞ্জন রায় সহ পরিবারের সকলে রাতের খাওয়া দাওয়া সেরে প্রতিদিনের মতো ঘুমিয়ে পড়ে, আর চুরের দল সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে চুরি করে নিয়ে মনোরঞ্জন রায়ের গবাদিপশু । যার বাজার মূল্য প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা হবে বলে জানান বাড়ির মালিক মনোরঞ্জন রায়ের স্ত্রী। অভিযোগ বর্তমানে নাইট কারফিউ চলছে, কিন্তু সেই নাইট কারফিউর মধ্যে যদি পুলিশের টহলদারি প্রতিনিয়ত থাকতো তাহলে জাতীয় সড়কের পাশ থেকে এইভাবে গবাদিপশু চুরি হতো না। যা নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বাড়ির মালিকের স্ত্রী। প্রশ্ন উঠেছে আদৌ কি বিশালগড় থানার পুলিশ নাইট কারফিউর রাতে সঠিক ভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছে, নাকি শীতের আমেজে নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছে? শুভ বুদ্ধি মহলের দাবি পুলিশ যদি সঠিক ভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করে, তাহলে আগামীদিনে ধীরে ধীরে বিশালগড় মহকুমায় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড হ্রাস পাবে।