জেলায় প্রধানমন্ত্রী গতিশক্তি – ন্যাশন্যাল মাস্টার প্ল্যানকে কাজে লাগিয়ে উন্নত পরিকাঠামো গড়ে তুলতে হবে প্রধানমন্ত্রী গতিশক্তি – ন্যাশন্যাল মাস্টার প্ল্যানকে কাজে লাগিয়ে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় উন্নত পরিকাঠামো গড়ে তোলার প্রয়াস নিতে হবে । পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার ক্ষেত্রে পানীয়জল , বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে হবে । আজ পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সাধারণ সভায় কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ণ প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক একথা বলেন । সভায় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শ্রীমতি ভৌমিক জেলার গ্রামীণ এলাকার মানুষকে স্বনির্ভর করে তুলতে কৃষি ও কৃষি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আরও বেশী করে সহায়তা দেওয়ার উপর গুরত্ব আরোপ করেন । সভায় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন , কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির সুযোগ কাজে লাগিয়ে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাকে একটি মডেল জেলা হিসেবে গড়ে তুলতে জিলা পরিষদকে পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে । জেলার প্রান্তিক এলাকার প্রকৃত সুবিধাভোগীদের কাছে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের প্রকল্পের সুযোগ পৌঁছে দিতে হবে । কৃষির বিকাশ ও কৃষকদের কল্যাণে কেন্দ্রীয় সরকার বহুমুখী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে । দেশের প্রত্যেক রাজ্যের কৃষকদের প্রশিক্ষনের বব্যস্থাও করা হয়েছে । রাজ্যের ৫০ জন কৃষককে গুজরাটে প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হবে । কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জেলায় জৈব চাষ সম্প্রসারণের উপরও গুরত্ব আরোপ করেন । সভায় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সাংসদ উন্নয়ন তহবিলে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার ৯ টি ব্লকের ৫ টি করে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রকে আদর্শ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পরামর্শ দেন । তিনি বলেন , এজন্য সাংসদ উন্নয়ন তহবিলে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হবে । তাছাড়াও সভায় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সাংসদ উন্নয়ন তহবিলে জেলার প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে একটি করে মুক্ত মঞ্চও নির্মাণ করার প্রস্তাব দেন । সভায় শিক্ষা দপ্তরের প্রতিনিধি জানান , পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় এবছর ২৪ টি বিদ্যালয়ের নতুন পাকা ভবন নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে । স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রতিনিধি জানান , জেলার ১৭১ টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মধ্যে ৯৩ টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে । সভায় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের প্রতিনিধি জানান , এবছর খারিফ মরশুমে জেলার ১,৪৪৭ হেক্টর জমি শ্রীপদ্ধতিতে ধান চাষের আওতায় আনা হয়েছে । তাছাড়া জেলার ৭৫৪ হেক্টরে ভূট্টা , ৩৬৪ হেক্টরে ডাল ও ১২৫ হেক্টরে তৈলবীজ চাষে কৃষকদের সহায়তা দেওয়া হয়েছে । উদ্যান ও ভূমি সংরক্ষণ দপ্তরের প্রতিনিধি জানান , জেলার ১০০ হেক্টর জমিতে পাম অয়েলের নার্সারি তৈরির কাজ চলছে । তাছাড়া মুখ্যমন্ত্রী স্বনির্ভর পরিবার যোজনায় এবছর জেলার ২৫,৪০৫ টি পরিবারকে সহায়তা দেওয়া হয়েছে । প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের প্রতিনিধি জানান , এবছর জেলায় মুখ্যমন্ত্রী স্বনির্ভর পরিবার যোজনায় ৩,২৫৮ টি পরিবারকে মোরগপালনে ও ১,০৮৯ টি পরিবারকে হাঁসপালনে সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে । সভায় পানীয়জল ও স্বাস্থ্যবিধান দপ্তরের প্রতিনিধি জানান , জলজীবন মিশনে জেলায় এখন পর্যন্ত ৬৫,৯৬৪ টি বাড়িতে পানীয় জলের সুযোগ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে । তাছাড়াও ১৫৯ টি গভীর নকলুপ চালু করা হয়েছে । সভায় বিদ্যুৎ নিগম , জলসম্পদ , পূর্ত , বন , শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের কর্মসূচি নিয়েও পর্যালোচনা কর হয় । সভায় সভাপতিত্ব করেন জিলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা সরকার দেব । উপস্থিত ছিলেন সহকারি সভাধিপতি হরিদুলাল আচার্য , বিধায়ক কৃষ্ণধন দাস , জেলার বিভিন্ন পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যানগণ , জেলাশাসক দেবপ্রিয় বর্ধন , অতিরিক্ত জেলাশাসক অসীম সাহা , জিলা পরিষদের সচিব দেবাশিষ দাস , বিভিন্ন ব্লকের বিডিওগণ ।



