বিজ্ঞান যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ক্রমাগতভাবে হ্রাস পাচ্ছে মাটির তৈরি বিভিন্ন সামগ্রীর। সমগ্র দেশের পাশাপাশি এ রাজ্যে মৃৎশিল্পীদের দ্বারা তৈরি মাটির রকমারি সামগ্রীর দিন দিন কদর হারিয়ে যাচ্ছে। আধুনিক বিজ্ঞানের ছোঁয়া পেয়ে মানুষজন প্লাস্টিকের তৈরি সামগ্রী দিকে ঝুঁকছে। মূলত প্লাস্টিক সামগ্রী দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাওয়াতে পৃথিবী তার স্বাভাবিক পরিবেশ যেমন হচ্ছে তেমনি মানব জীবনে বয়ে আনছে বিভিন্ন রোগ ব্যাধীর আক্রমণ। সে যাই হোক না কেন, মৃৎ শিল্পীরা তাদের ব্যাবসাতে টান ধরাতে কাজ হারাচ্ছে দিন দিন। নিজেদের গৌরবের কাজ হারিয়ে মৃৎশিল্পীরা আজ অন্য পেশার সন্ধানে ছোটাছুটি করছে। কথা হচ্ছিল তেলিয়ামুড়া আর.ডি ব্লকের অধীনে তুইসিন্দ্রাই বাড়ি এলাকার মৃৎশিল্পের সুধীর রুদ্রপালের সাথে। কথা প্রসঙ্গে তিনি আক্ষেপের সুরে জানান, দ্রুত হারে প্লাস্টিক সামগ্রী বাজারে আশায় মাটির তৈরি সামগ্রী কদর অনেকাংশেই হ্রাস পেয়েছে। মূলত খেয়ে বেঁচে থাকা খুবই দুষ্কর ব্যাপার বর্তমান সময়কালে হয়ে দাঁড়িয়েছে। অতীতে তুইসিন্দ্রাই এলাকায় ৩০ থেকে ৩৫ জন মৃৎশিল্পী ছিলেন যারা মাটির দিয়ে বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করে পরবর্তীতে বাজারজাত করে রুটি-রুজির সন্ধান করতো বলে জানান সুধীর রুদ্রপাল। বর্তমানে সেই তুইসিন্দ্রাই বাড়ি এলাকার মাত্র তিনজন মৃৎশিল্পী রয়েছে, যারা মৃৎ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। বাকি মৃৎশিল্পীরা মাটির তৈরি সামগ্রী তৈরি করা ছেড়ে দিয়েছেন। ফ্যান্টাসি মানুষজন প্লাস্টিক সামগ্রীর দিকে বেশি ঝুঁকছেন। ফলে পৃথিবী তার স্বাভাবিক পরিবেশ হারিয়ে বিষাক্ত ময় হয়ে উঠতে পারে বলে ধারণা কোন কোন মহলের।



