তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বদান্যতায় মহকুমা হাসপাতালে ব্যবহৃত বিভিন্ন চিকিৎসা সামগ্রীর পরিতক্ত আবর্জনায় ঠাসা থাকায় অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, দূষিত হচ্ছে হাসপাতালে পরিবেশের আকাশ বাতাস। ঘটনা তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে লক্ষ্য করা গিয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। সংবাদে জানা যায়, তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা দিতে ব্যবহৃত সিরিঞ্জ, স্যালাইন সহ বিভিন্ন ব্যবহৃত চিকিৎসা সামগ্রী সহ বজ্র পদার্থ হাসপাতালে অভ্যন্তরে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে রাখা হয়েছে। আর সেগুলি দীর্ঘদিন থাকার ফলে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে হাসপাতাল চত্বরে। রোগী থেকে শুরু করে রোগীর আত্মীয় পরিজনরা তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা নিতে এসে এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে থেকে চিকিৎসা পরিষেবা নিতে হচ্ছে। এদিকে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত চিকিৎসক অজিত দেববর্মার নিকট এবিষয়ে জানতে চাওয়া হলে, তিনি সম্পূর্ণ দোষ তেলিয়ামুড়া পৌর পরিষদের উপর চাপিয়ে দিয়ে নিজ দায়িত্ব থেকে মুক্ত হতে মরিয়া হয়ে উঠছে। কোনো এক অজ্ঞাত কারণে সরানো হচ্ছে না পরিতক্ত আবর্জনার স্তুপ গুলি। তিনি জানান এই আবর্জনা গুলি পচে গলে স্তূপাকার হয়ে থাকার ফলে হাসপাতালে অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টির সম্ভাবনা প্রখর।এদিকে হাসপাতাল সূত্রে খবর রয়েছে, ড্রাগস সেবনকারীরা ওই স্তুপের স্তুপের রাখা পরিতক্ত বজ্র পদার্থ গুলি থেকে ২ এম.এল এবং বি.ডি সিরিঞ্জ গুলি নিয়ে যাচ্ছে, নেশা সামগ্রী সেবনে ব্যবহারের জন্য। আর তাতে করে যেমন যুব সমাজ ধ্বংস হচ্ছে, তেমনি HIV সংখ্যাও দিনের দিন বৃদ্ধি পাবে বলে একাংশ শুভবুদ্ধি জনগণদের অভিমত। যেখানে রাজ্য সরকার চাইছে নেশা মুক্ত ত্রিপুরা। সেই জায়গাতে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বজ্র পদার্থ গুলি থেকে নেশা সেবনকারীরা ২ এম.এল এবং বি.ডি সিরিঞ্জ অবাধে সংগ্রহ করে যাচ্ছে নেশা সামগ্রী সেবনে ব্যবহারের জন্য।
এখন এটাই দেখার বিষয় তেলিয়ামুড়া মহকুমার সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা ওই দুর্গন্ধময় আবর্জনা গুলি সাফাই করার উদ্যোগ কবে নাগাদ গ্রহণ করে। নাকি আরও কয়েক মাস ওই আবর্জনা গুলি একই জায়গায় পড়ে থেকে বাতাসের ছড়াবে বিষাক্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ।।



