Thursday, December 4, 2025
বাড়িখবররাজ্যবেঁচে থাকার সংগ্রামে লিপ্ত রয়েছেন ৭২ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা চন্দ্রা রুং...

বেঁচে থাকার সংগ্রামে লিপ্ত রয়েছেন ৭২ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা চন্দ্রা রুং রিয়াং, ঘটনা তেলিয়ামুড়া মহকুমার মুঙ্গিয়াকামি আর.ডি ব্লকের প্রত্যন্ত নুনাছড়া এ.ডি.সি ভিলেজের কর্ণরাম পাড়াতে

জীবনের নানা অপ্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে বেঁচে থাকার সংগ্রামে লিপ্ত রয়েছেন ৭২ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা চন্দ্রা রুং রিয়াং। বাধ্যক্য ভাতা পাওয়ার জন্য এ.ডি.সি প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও সরকারি সাহায্য পাননি বলে অভিমত ৭২ বছর বয়সি এক উপজাতি বৃদ্ধা চন্দ্রা রুং রিয়ং -এর। ঘটনা তেলিয়ামুড়া মহকুমার মুঙ্গিয়াকামি আর.ডি ব্লকের প্রত্যন্ত নুনাছড়া এ.ডি.সি ভিলেজের কর্ণরাম পাড়াতে জানা যায়, মুঙ্গিয়াকামি আর.ডি ব্লকের অধীন প্রত্যন্ত নুনাছড়া এ.ডি.সি ভেলিজের কর্নরাম পাড়া। স্ব-শাসিত জেলা পরিষদের অন্তর্গত ওই প্রত্যন্ত এলাকার প্রত্যেকটি পরিবার জুমচাষ কিংবা বনের লতাপাতা কুড়িয়ে দীর্ঘ প্রায় ৩০ কিলোমিটার পাহাড়ি পথ পেরিয়ে চাকমাঘাট কিংবা তেলিয়ামুড়া বাজারে বিক্রির উপরই সংসার প্রতিপালন করে আসছে দীর্ঘ বছর ধরে। এছাড়া তাদের আর বেঁচে থাকার জন্য কোনো বিকল্প ব্যবস্থা নেই। আর এই অপ্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে বেঁচে থাকার সংগ্রামে লিপ্ত রয়েছেন ৭২ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা চন্দ্রা রুং রিয়াং। এ.ডি.সি সরকারের কাছে অন্যান্য দাবির পাশাপাশি ৭২ বছরে পা দিয়ে বৃদ্ধা চন্দ্রা রুং রিয়াং -এর দাবি তাকে যেন বার্ধক্য ভাতা প্রদান করেন। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস ৭২ বছর বয়সী হয়েও তার কপালে জুটল না বার্ধক্য ভাতা। স্থানিয় পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে ব্লক প্রশাসন এমন কি সিডিপিও -র কাছে বারবার আবেদন-নিবেদন জানিও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বিভিন্ন দপ্তরে ঘোরাঘুরি করতে করতে জুতোর সুখ তলা ক্ষয় পেয়ে গেছে। তারপরও ভাগ্যের পরিহাসে জ্যোতি হয়ে জুটলো না বার্ধক্য ভাতা। বার্ধক্য ভাতার পাশাপাশি বৃদ্ধা চন্দ্রা রুং রিয়াং আরো দাবি রয়েছে, বর্তমানে সেই বৃদ্ধা দরিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে থাকলেও মহকুমার খাদ্য দপ্তর থেকে তাকে প্রদান করা হয়েছে এ.পি.এল রেশন কার্ড, এমনটাই জানা গেছে। এই বৃদ্ধা বয়সে যেখানে বিশ্রাম নেওয়ার কথা, সেই বয়সে বৃদ্ধা চন্দ্রা রুং রিয়াং লাকড়ির জন্য লাকড়ি কুড়োতে যেতে হয় এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে। এখনও তিনি জুম চাষ করে থাকেন। তবে বৃদ্ধা চন্দ্রা রুং রিয়াং -এর অভিমত সরকার যেন বার্ধক্য ভাতাটুকু তাকে প্রদান করে।
এখন দেখার বিষয় মুঙ্গিয়াকামি ব্লক প্রশাসন এবং এ.ডি.সি প্রশাসন বৃদ্ধা চন্দ্রা রুং রিয়াং -এর ভাগ্যের চাকা ঘোরানোর জন্য কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। নাকি বার্ধক্য ভাতার আশায় জীবন যুদ্ধে হেরে যায় চন্দ্রা রুং রিয়াং।।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

17 − 8 =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য