বুধবার বিকেল তিন ঘটিকায় বিজেপি আশ্রিত 60 থেকে70 জন দুস্কৃতিকারীরা খোয়াই কংগ্রেস ভবনে হামলা চালায় লাঠি, রড, ও ইটপাটকেল ছোড়ে। এই দিন কংগ্রেস ভবনের বিকেল তিনটে নাগাদ দলীয় কার্যকলাপ নিয়ে একটি প্রেস মিট ডাকা হয়েছিল, এই প্রেসমিটে উপস্থিত থাকবেন যুব কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি রাখু দাস সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। আরএকে কেন্দ্র করেই যুব কংগ্রেস দলের কর্মী-সমর্থকরা কংগ্রেস ভবনের সামনে দলীয় প্রচার শয্যায় ব্যস্ত ছিলেন তেমনি সময় বিজেপি দলের কিছু দুস্কৃতিকারীরা লাঠি,রড, ও ইট-পাটকেল দিয়ে কংগ্রেস দলের সমর্থকদের উপর হামলা চালায় পাশাপাশি কংগ্রেস দলের সমস্ত প্রচার শয্যা নষ্ট করে দেয়। ঠিক সেই সময় যুব কংগ্রেস দলের রাজ্য সভাপতি রাখু দাস ভবনে এসে উপস্থিত হয় এবং সমস্ত বিষয়টি জানতে পারেন। এরপর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুব কংগ্রেস দলের রাজ্য সভাপতি রাখু দাসের নেতৃত্বে খোয়াই কংগ্রেস ভবন থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয় এবং মিছিলটি ভবন থেকে বের হয়ে খোয়াই থানার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এবং সেখানে গিয়ে থানা ঘেরাও করে বসে কংগ্রেস দলের সমস্ত কর্মী-সমর্থকরা। এবং স্লোগান দিতে থাকে ধিক্কার জানিয়ে বিজেপি দলের বিরুদ্ধে। এইভাবে বেশ কিছু সময় থানা ঘেরাও করে রাখার পর যুব কংগ্রেস দলের রাজ্য সভাপতি রাখু দাস সহ 5 জন প্রতিনিধি দলের একটি টিম ওসি উদয়ন দেববর্মা সাথে দেখা করেন এবং বিষয়টি জানান। পুলিশের কাছে প্রতিনিধি দলের বক্তব্য যে বুধবার সন্ধ্যায় খোয়াই শহরের প্রাণকেন্দ্র কোহিনুর কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে কংগ্রেস দলের একটি পথসভা হবার জন্য প্রশাসনের নিকট অনুমতি পত্র চাওয়া হয়, কিন্তু কোন অজ্ঞাত কারণে পুলিশ প্রশাসন সভা করার অনুমতি প্রদান করেনি এরপর দলের পক্ষ থেকে সেই প্রোগ্রামকে বানচাল করে বুধবার বিকেল তিনটায় কংগ্রেস ভবনে করার সিদ্ধান্ত নেন এবং এই বিষয়ে প্রেস মিট ডাকা হয়েছিল। এই কংগ্রেস ভবনের ঘরোয়া অনুষ্ঠানের জন্য পুলিশের কাছে আগে থেকেই জানানো হয়েছিল বলে জানান যুব কংগ্রেস দলের রাজ্য সভাপতি রাখু দাস। এরপরও কেন পুলিশ তাদেরকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ শুধু তাই না কংগ্রেস দলের সাথে পুলিশ প্রশাসন অসহযোগিতা করেছে বলেও অভিযোগ তোলেন। রাজ্য সভাপতি রাখু দাস পুলিশকে বলেন খোয়াই শহরে আইন শৃঙ্খলা একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। না হলে একটি রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড করবে তাদের নিজ কার্যালয়ে তাতেও বিজেপি দলের দুস্কৃতিকারীরা হামলা করতে পিছুপা হয়নি এতেই বোঝা যাচ্ছে আইন-শৃংখলার কতটুক অবনতি ঘটে চলেছে রাজ্যে। বুধবারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় সমস্ত দুষ্কৃতিকারীদের নাম ঠিকানা দিয়ে এবং সেই বিষয়ে পুলিশ প্রশাসন যাতে দোষীদের চিহ্নিত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। থানা থেকে বেরিয়ে যুব কংগ্রেস দলের রাজ্য সভাপতি রাখু দাস সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন সুদীপ রায় বর্মন ও আশীষ সাহা এই 2 বিধায়ক যেদিন বিজেপি দল ছেড়ে কংগ্রেস দলে যোগদান করেছেন তখন থেকেই বিজেপি দলের আশ্রিত দুস্কৃতিকারীরা কংগ্রেস দলের কর্মী সমর্থক এবং নেতৃত্ব দের উপর হামলা চালিয়ে আসছে। গত দু’মাস আগে বিজেপি দোলেরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও এক বিধায়ক এর নেতৃত্বে কংগ্রেস ভবনে হামলা, সুদীপ রায় বর্মন এর উপর শারীরিকভাবে নির্যাতন শুরু করে দিয়েছে। শুধু তাই না সুদীপ রায় বর্মন কে হত্যা করার জন্য বিভিন্নভাবে ছক কষা হচ্ছে বিজেপি দলের পক্ষ থেকে বলে মন্তব্য করেন যুব কংগ্রেস দলের রাজ্য সভাপতি রাখু দাস। শুধু তাই না শ্রী দাস এও বলেন এসব কার্যকলাপের জন্য বর্তমান সময়ে বিজেপি দলের গরিমা রাজ্যবাসীর কাছে ম্লান হয়ে গেছে না হলে সাধারণ একটি রাজনৈতিক দলের প্রেস মিট কে কেন্দ্র করে বিজেপি আশ্রিত দুস্কৃতিকারীরা এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারতনা কারণ তারা বুঝে গেছে এসব করে 2023 সালের নির্বাচনের বৈতরণী পার হতে চাইছে কিন্তু রাজ্যবাসী তা হতে দেবে না। শুধু তাই না বুধবারের বিকেলের ঘটনাকে কেন্দ্র করে হোয়াই সুভাষ পার্ক এলাকার নৃপেনচক্রবর্টি এভিনিউ সংলগ্ন কংগ্রেস ভবন ও কংগ্রেস কর্মীদের উপর বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতিকারীদের প্রকাশ্যে হামলা স্বচক্ষে দেখেছে খোয়াই শহরবাসী। এতে ছিছি রব উঠেছে মহাকুমা জুড়ে। শেষে যুব কংগ্রেস দলের রাজ্য সভাপতি রাখু দাস বলেন এই ঘটনাৱ যদি সুষ্ঠু বিচার না হয় তাহলে আগামী দিন ত্রিপুরা বনধের ডাক দিবে বলে জানান।