স্ব-শাসিত জেলা প্রশাসনের কাছে শুধু একটি দাবি, মাথা গোঁজার জন্য একটি সরকারি ভাবে বসতঘরের। কিন্তু এ.ডি.সি প্রশাসন সেই দাবিটুকু পালন করতে ব্যর্থ।ঘটনা তেলিয়ামুড়া মহকুমার মুঙ্গিয়াকামী আর ডি ব্লকের অধীনস্থ পূর্ব লক্ষ্মীপুর এ ডি সি ভেলিজের প্রত্যন্ত ভাস্কর ছড়া এলাকায়। জানা যায়, পাহাড়ে ক্ষমতায় থাকা দলের নেতা থেকে শুরু করে এ ডি সি প্রশাসনের লোকেদের কাছে দাবি তুলে সরকারিভাবে যেন একটি বসতঘর প্রদান করা হয়। কিন্তু মেলেনি কিছুই। এমনই এক ঘটনা জানা গেল তেলিয়ামুড়া মহকুমার মুঙ্গিয়াকামী আর ডি ব্লকের অধীনস্থ পূর্ব লক্ষ্মীপুর এ ডি সি ভিলেজের প্রত্যন্ত ভাস্কর ছড়া এলাকায় বসবাসকারীরত ভানু কুমার দেববর্মার কাছ থেকে। বর্তমানে তার পরিবারের মাথা গোঁজার ঠাঁই কেবলমাত্র জরাজীর্ণ অবস্থায় থাকা কুঁড়েঘর। তাদের অন্যান্য সমস্যা গুলির কথা না তুলে ধরলেও বসতঘরের সমস্যার কথা তুলে ধরেন ভানু দেববর্মার স্ত্রী ধনলক্ষ্মী দেববর্মা। এ ডি সি প্রশাসনের কাছে এক প্রকার নিরাশ হয়ে, জরাজীর্ণ অবস্থায় কুঁড়ে ঘরের মধ্যে সন্তানদের নিয়ে কোন রকম বেঁচে থাকার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে ভানু দেববর্মা ও তার পরিবার। বর্ষাকালে, না ঘুমিয়ে রাত গুজরান করতে হচ্ছে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে। বারকয়েক ভারী বর্ষণে ও ঝরে ঘরের ছাউনি উড়িয়ে নিয়ে গেছে। বাঁশের বেড়ার ফাঁক দিয়ে অনায়াসেই রোদ্দু থেকে শুরু করে বর্ষার জল প্রবেশ করে ঘরের মধ্যে। একই ঘরের ছাউনিতে রান্না-বান্না সহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বহু বছর ধরে বেঁচে থাকার এই সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে ভানু ও তার পরিবার। এদিকে বাড়ির গৃহিণীর সঙ্গে কথোপকথনে সে জানায়, প্রশাসনের কাছে তার পরিবার হয়তো একটি বিত্তশালী পরিবারের তালিকায়। আর তার ফলে দরিদ্র সীমার মধ্যে বসবাস করেও বি.পি.এল রেশন কার্ড -এর বদলে প্রদান করা হয়েছে এ.পি.এল রেশন কার্ড। এই পরিবারটির রেশন ভুক্ত তালিকায় স্থান পেয়েছে এ.পি.এল। একদিকে যেমন বঞ্চিত হয়ে রয়েছে মাথা গোঁজার জন্য বসতঘরের থেকে, অপরদিকে বঞ্চনার শিকার রেশন কার্ডের তালিকায়ও। এখন দেখার বিষয় ভানু কুমার দেববর্মা এবং ধনলক্ষ্মী দেববর্মা -র ভাগ্যের চাকা কবে নাগাদ ঘুরে। তবে এই পরিবারটির দাবি স্ব-শাসিত জেলা পরিষদ প্রশাসন যেন বি.পি.এল রেশন কার্ড এবং মাথা গোঁজার জন্য সরকারিভাবে একটি বসতঘর প্রদান করে।