গতকাল লালবাহাদুর ক্লাবের একটি কর্মসূচিতে অংশ নিতে গিয়ে সেখানকার মানুষের অভিযোগমূলে খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে ৮২ নং রেশনশপ পরিদর্শনে যান । এই রেশনশপের মালিক হচ্ছেন সৈকত ভৌমিক । পরিদর্শনকালে মুখ্যমন্ত্রী প্রত্যক্ষ করেন , যে রেশনশপে ৩৬০০ কেজি চাল মজুত রয়েছে , যেখানে রেশনশপের রেজিস্ট্রার অনুযায়ী ১৪৮০ কেজি চাল থাকার কথা ছিল । অর্থাৎ ২১২০ কেজি চাল বেশি মজুত ছিল । মুখ্যমন্ত্রী এই রেশনশপের দুর্নীতিগুলি সরজমিনে প্রত্যক্ষ করে সঙ্গে সঙ্গেই রেশনশপটিকে সীল করার জন্য খাদ্য দপ্তরের কর্তৃপক্ষদের নির্দেশ দেন । অন্যদিকে এলাকার মানুষের অভিযোগমূলে আমতলী এলাকার ৩ নং রেশনশপে খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকরা তাদের পরিদর্শনকালে প্রত্যক্ষ করেন যে রেশনশপে ৭৭ কেজি চাল মজুত রয়েছে । কিন্তু এক্ষেত্রে রেশনশপের রেজিস্ট্রার অনুযায়ী ৪,৯৪৭ কেজি চাল থাকার কথা ছিল । অর্থাৎ সেখানে ৪,৮৭০ কেজি চালের ঘাটতি পাওয়া যায় । একইসঙ্গে ১৩৯ কেজি চিনি , ৭৩ কেজি মুসুর ডাল , ৬১৪ কেজি আটা ঘাটতিও নজরে আসে আধিকারিকদের । ৩ নং রেশনশপের মালিক হচ্ছেন ননী বনিক । জনগনের অভিযোগমূলে সঙ্গে সঙ্গেই এই রেশনশপকে সীল করেন খাদ্য দপ্তর । এ থেকে রাজ্যে জনমুখি সরকারের দৃষ্টিভঙ্গিই প্রতিফলিত হয় । পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর পরিদর্শণ এই বার্তা বহণ করে যে , কোনো ক্ষেত্রেই সাধারন নাগরিকদের ঠকানো রাজ্য সরকার কোনওভাবেই বরদাস্ত করবে না ।



