কোনো জাতি বা গোষ্ঠীর উন্নতির জন্য যেমন শিক্ষার প্রয়োজন পাশাপাশি প্রয়োজন উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থারও। রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকার উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা। এডিসি তে সরকার গঠন হওয়ার পর আদৌ কি এডিসি প্রশাসন রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে পেরেছে? তেলিয়ামুড়া মহাকুমার প্রত্যন্ত এলাকা গুলির মধ্যে একটি হলো মুঙ্গিয়াকামী আরডি ব্লকের অধীন পূর্ব লক্ষ্মীপুর এডিসি ভিলেজের ভাস্কর ছড়া এলাকাটি। এই ভাস্কর ছড়া এলাকাটি -তে আনুমানিক প্রায় ২২ টি জনজাতি পরিবারের বসবাস। কিন্তু দীর্ঘকাল ধরেই ভাস্কর ছড়া এলাকার জনজাতি অংশের মানুষজনদের যাতায়াতের জন্য খুব দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কারণ ঐ এলাকার জনজাতিরা আসাম-আগরতলা জাতীয় সড়কের ৩৪ মাইল এলাকা থেকে ভাস্কর ছড়া পৌঁছাতে যে রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে সেই রাস্তাটি অবস্থা বেহাল জঙ্গলাকীর্ণ ভগ্নদশা হওয়াতে এলাকার কিশোর-কিশোরীদের পড়াশোনার জন্য বিদ্যালয়ে যেতেও অনেকটা বেগ পেতে হয়। তাছাড়া জরুরী কালীন কোনো পরিসেবার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ব্যর্থ আসাম-আগরতলা জাতীয় সড়কের ৩৪ মাইল এলাকা থেকে ভাস্কর ছড়া যাওয়ার মূল রাস্তাটি। এলাকার গর্ভবতী মা-বোন ও অসুস্থ কাউকে যদি হাসপাতলে আনতে হয় তাহলে তাদেরকে এই বেহাল রাস্তা ধরে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে পায়ে হেটে আসতে হয়। কারণ, বর্তমানে এই রাস্তা ধরে যান চলাচল অসম্ভব। বিশেষ করে বর্ষার মরসুমে ভগ্নদশা রাস্তাটি মরণফাঁদে পরিণত হয়। এ বিষয়ে এলাকাবাসীদের অভিযোগ, এই রাস্তাটির মধ্য দিয়ে জরুরী কালীন কোনো অবস্থার পরিষেবা ভাস্কর ছড়া এলাকায় পৌঁছাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। ভাস্কর ছড়া এলাকার কিশোর-কিশোরীরা রাস্তার বেহাল দশা হওয়াতে বিদ্যালয়মুখী পর্যন্ত হতে চায় না।এখন এলাকাবাসীদের একটাই দাবি যাতে অতি দ্রুত আসাম-আগরতলা জাতীয় সড়কের ৩৪ মাইল এলাকা থেকে ভাস্কর ছড়া যাতায়াতের জন্য তাদের মূল রাস্তাটি যাতায়াত উপযোগী করে দেওয়া হয়। অন্যদিকে পাহাড় প্রত্যন্তে এডিসি প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও কিন্তু একটা প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে সমাজের একাংশ বুদ্ধিজীবি মহল জুড়ে।।