Friday, October 18, 2024
বাড়িখবররাজ্যমন্ত্রিসভার বৈঠকে ত্রিপুরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোমোশনে ইনসেনটিভ স্কিম -২০২২ চালু করার সিদ্ধান্ত

মন্ত্রিসভার বৈঠকে ত্রিপুরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোমোশনে ইনসেনটিভ স্কিম -২০২২ চালু করার সিদ্ধান্ত

সহজলভ্য সম্পদের উপর ভিত্তি করে রাজ্যে উদ্যোগ স্থাপনে উৎসাহ দিতে গতকাল রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘ ত্রিপুরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনভেস্টমএন্ট প্রোমোশন ইনসেনটিভ স্কিম ২০২২ ’ চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । এই প্রকল্প আগামী ৫ বছর অর্থাৎ ১ এপ্রিল , ২০২২ থেকে ৩১ মার্চ , ২০২৭ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে । ত্রিপুরা সরকারের শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তর এই প্রকল্পের মাধ্যমে শিল্প ও বাণিজ্যিক উদ্যোগ স্থাপনে বিভিন্ন আর্থিক ও অন্যান্য সুবিধা প্রদান করবে । ১ এপ্রিল , ২০২২ থেকে ৩১ মার্চ , ২০২৭ – এর মধ্যে বেসরকারি সমবায় ক্ষেত্র , স্বসহায়ক দল , যৌথ ক্ষেত্র এবং রাজ্য সরকারের অধীন স্থাপিত কোম্পানী এই প্রকল্পের আওতায় আসবে । এই প্রকল্পের আওতায় সুবিধা দেওয়ার জন্য যেসব অগ্রাধিকার ক্ষেত্র চিহ্নিত করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে রাবার , বাঁশ , কৃষি ও উদ্যান ফসল , গ্যাস , চা , আগর , তৈল , রাবার প্রক্রিয়াকরণ ইত্যাদি এবং পর্যটন , স্বাস্থ্য ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মত পরিষেবা ক্ষেত্র । ‘ ত্রিপুরা ইন্ডাস্ট্রিয়্যাল ইনভেস্টমেন্ট প্রোমোশন ইনসেনটিভ স্কিম- ২০২২ ‘ প্রকল্পে যেসব সুবিধা দেওয়া হবে তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে অগ্রাধিকার ক্ষেত্রে মূলধনী বিনিয়োগের উপর ৪০ শতাংশ এবং অগ্রাধিকার বহির্ভূত ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ ভর্তুকী দেওয়া হবে । অগ্রাধিকার ক্ষেত্রে এমএসএমই’গুলির জন্য ভর্তুকীর পরিমাণ সর্বোচ্চ ১.২৫ লক্ষ টাকা এবং বাকি ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ভর্তুকীর পরিমাণ ১ লক্ষ টাকা । বড় উদ্যোগের ক্ষেত্রে জমি ও বিল্ডিং নির্মাণ বাবাদ মূলধনী বিনিয়োগের উপর সর্বোচ্চ ২ লক্ষ টাকা ভর্তুকী দেওয়া হবে । বেসরকারি ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৩০ একর জমির উপর গড়ে উঠা শিল্প উদ্যান / নগরী / লজিস্টিক হাব – এর মত পরিকাঠামো উন্নয়নে জমির মূল্য বাবদ দিয়ে মূলধনী বিনিয়োগের ৩০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা ভর্তুকী দেওয়া হবে । তাছাড়া , এস পি এস টি বাবদ ১০০ শতাংশ ভর্তুকী দেওয়া হবে যদি তা অগ্রাধিকার ক্ষেত্রে ১২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয় এবং বাকি ক্ষেত্রে ৮০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয় । আগে এই ভর্তুকীর পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ১০০ লক্ষ এবং ৬০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত । তেমনি সমস্ত যোগ্য শিল্প উদ্যোগগুলিকে অগ্রাধিকার ক্ষেত্রে ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত এবং বাকি ক্ষেত্রে ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিলের উপর ভর্তুকী দেওয়া হবে । আগে এই ভর্তুকীর পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ২০ লক্ষ টাকা ও ১২ লক্ষ টাকা । তেমনি গৃহীত ঋণের সুদের উপরেও অগ্রাধিকার ক্ষেত্র ও অন্যান্য ক্ষেত্রের জন্য ৫ শতাংশ এবং ৪ শতাংশ হারে ভর্তুকী দেওয়া হবে । তবে তার সর্বোচ্চ সীমা হবে যথাক্রমে ১২ লক্ষ টাকা ও ৫ লক্ষ টাকা । এই ভর্তুকীর পরিমাণ আগে ছিল যথাক্রমে ১০ লক্ষ ও ৩ লক্ষ টাকা । রাজ্যের বাইরে থেকে আনুসাঙ্গিক কাঁচামাল পরিবহণে খরচের উপরও ৫০ শতাংশ ভর্তুকী দেওয়া হবে । তাছাড়া , স্ট্যান্ডার্ড সার্টিফিকেশন ফি , প্রযুক্তি হস্তান্তর বাবদ ফি , কর্মসংস্থান খরচের ভর্তুকী ইত্যাদিতে এককালীন ১০০ শতাংশ ভর্তুকী , এমএসএমই ’ গুলির জন্য এককালীন ভর্তুকী , বিভিন্ন দরপত্রে বিশেষ ছাড় , মেলাও প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণে ভর্তুকী ইত্যাদি সুবিধা পাওয়া যাবে এই প্রকল্পে ।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

twenty + sixteen =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য