গত ১৬ই এপ্রিল তেলিয়ামুড়া থানাধীন বালুছড়া এলাকায় ঘটে যাওয়া লজ্জাজনক ঘটনার সাক্ষী ছিল গোটা তেলিয়ামুড়া বাসী সহ রাজ্যবাসী। সমাজ ব্যাবস্থার নগ্ন চিত্র সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা সহ সংবাদমাধ্যমে সংবাদ আকারে প্রকাশিত হওয়ার পরই টনক নড়ে রাজ্য মহিলা কমিশনের। আর সে কারণেই ঘটনা সরোজমিনে খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বর্ণালী গোস্বামী সদলবলে তেলিয়ামুড়ায় ছুটে আসেন। প্রথমে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে গিয়ে কথা বলেন নির্যাতিতা অরুশপ্রিয়া বিশ্বাসের সঙ্গে। উনার সঙ্গে কথা বলে বেশ কিছু তথ্য উঠে আসে। গত ১৬ই এপ্রিল রাতে অরুশপ্রিয়া বিশ্বাস সহ হারাধন মল্লিকের উপর নির্যাতিতার শশুর বাড়ির পরিবারের লোকজন সহ নির্যাতিতার স্বামী এবং এলাকাবাসীরা নির্মম ভাবে অত্যাচার চালায়। নির্যাতিতা নিজ মুখে বেশ কয়েকজনের নাম রাজ্যের মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বর্ণালী গোস্বামীর কাছে উত্থাপন করেছেন। পরবর্তীতে তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বর্ণালী গোস্বামী ছুটে যায় ঘটনাস্থল অর্থাৎ কৃষ্ণপুর বিধানসভা এলাকার বালুছড়া মধ্য কৃষ্ণপুর এলাকায়। নির্যাতিতার স্বামীর বাড়িতে ছুটে যান এবং কথা বলেন পরিবারের লোকজন সহ এলাকাবাসীদের সঙ্গে। তাছাড়া কথা বলেন হারাধন মল্লিকের স্ত্রীর সঙ্গে ও। এ প্রসঙ্গে রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বর্ণালী গোস্বামী সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, ঘটনা সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে গিয়ে বেশ কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন হলো,সুজিত বিশ্বাস, অজিত বিশ্বাসসহ আরো অনেকের নাম তিনি নিজ মুখে মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বর্ণালী ঘোষ স্বামীর কাছে তুলে ধরেছেন। তাছাড়া তিনি আরো বলেছেন,তদন্ত চলছে, তদন্তক্রমে সম্পূর্ণ ঘটনা বেরিয়ে আসবে। তাছাড়া এখন পর্যন্ত এই ঘটনা কতটুকু কূলকিনারা করতে পেরেছে পুলিশ এ প্রসঙ্গে খোয়াই জেলা পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তীর নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি জানিয়েছেন, ৩৩/২০২২ নম্বরের একটি মামলা নিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার করবে পুলিশ। তবে এই ঘটনা থেকে রাজ্যের বুকে ঘটে যাওয়া আগরতলা চন্দ্রপুর টাটা কালিবাড়ির ঘটনার পুনরাবৃত্তি সাক্ষী থাকলো ত্রিপুরাবাসী।