রবিবার রাতে মদমত্ত অবস্থায় এক স্বাস্থ্যকর্মীর তাণ্ডবে অতিষ্ঠ স্বাস্থ্যপরিসেবা নিতে আসা রোগী সহ আত্মীয় পরিজন এবং হাসপাতালের অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মী সহ চিকিৎসকেরা। ঘটনা তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে। খবরে জানা যায়, তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালের এস.ডি.এম.ও চন্দন দেববর্মা’র স্নেহধন্য হাসপাতালের জি.ডি.এ-এর দায়িত্বে থাকা স্বাস্থ্যকর্মী রাজু গোয়ালার মদ খেয়ে বেলেল্লাপনার কারণে অতিষ্ঠ হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা নিতে আসা রোগী সহ আত্মীয় পরিজন এবং হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মী থেকে শুরু করে চিকিৎসকেরা। ঘটনা রবিবার রাতে। রাজু গোয়ালা নামের তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে কর্মরত স্বাস্থ্য কর্মী (জি.ডি.এ) প্রায় প্রত্যেক দিন মদমত্ত অবস্থায় নিজের দায়িত্ব কর্তব্য পালন করে বলে অভিযোগ শোনা যাচ্ছিল। অবশেষে রবিবার মহাকুমার সাংবাদিকরা এই খবর পেয়ে হাসপাতাল চত্বরে গিয়ে হাতেনাতে প্রমাণ পেল।ঘটনার খবর যায় স্বাস্থ্য দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নিকট। যদিও সেই রাতে চিকিৎসক হিসেবে ডিউটিরত অবস্থায় ছিলেন তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক দীপা দাস। জি.ডি.এ হিসেবে একমাত্র সেই রাতে দায়িত্বে ছিল রাজু গোয়ালা। কিন্তু সে মদের নেশায় এতটাই ভূত ছিল যে ঠিকমতো হাঁটতে পর্যন্ত পারছিল না। তবে হাসপাতালের নির্ভরযোগ্য সূত্র মারফত খবর, শুধুমাত্র হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মী রাজু গোয়ালাই নয় তার মতো এমন আরও অনেক হাসপাতালে কর্মী রয়েছে যারা কিনা রাতের আধারে ডিউটিরত অবস্থায় গোলাপি নেশার আসর বসায় হাসপাতাল চত্বরে। আর এতে করে হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা নিতে আসা রোগীর আত্মীয় পরিজনেরা রাতের বেলায় নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে।এখন দেখার বিষয়, রাজু গোয়ালার মত স্বাস্থ্য কর্মীদের বিরুদ্ধে কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে স্বাস্থ্য দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিক’রা। নাকি এস.ডি.এম.ও ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে পার পেয়ে যায় রাজু গোয়ালা! সেটাই এখন দেখার বিষয়।