প্রাণী সম্পদ পালনের মধ্যদিয়ে গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশ ত্বরান্বিত হয় বললেন প্রাণীসম্পদ বিকাশ মন্ত্রী

প্রাণী সম্পদ পালনের মধ্যদিয়ে রাজ্যের গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশ ত্বরান্বিত হয় । এতে গ্রামীণ এলাকার মানুষ আত্মনির্ভর হয়ে উঠেন । পাশাপাশি রাজ্য ডিম , দুধ এবং মাংস উৎপাদনে স্বনির্ভর হয়ে উঠে । এজন্য সুনির্দিষ্ট কর্ম পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে রাজ্য সরকার । আজ ধর্মনগরে উন্নত প্রজাতির গরু বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে একথাগুলি বলেন রাজ্যের প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী ভগবান চন্দ্র দাস । প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের উত্তর ত্রিপুরা জেলা কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী ভগবান চন্দ্র দাস বলেন , কম সময়ের মধ্যে রোজগারের অন্যতম ক্ষেত্র প্রাণী পালন । প্রাণী পালনের মাধ্যমে রাজ্যে হাজার হাজার পরিবারকে রোজগারের সাথে যুক্ত করা গেছে । মন্ত্রী শ্রীদাস বলেন , মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের যে স্বপ্ন ঘরে ঘরে রোজগার দেওয়া । প্রাণী পালনের মাধ্যমেই ঘরে ঘরে রোজগার দেওয়া সম্ভব । তিনি বলেন , রাজ্যের গ্রামীণ এলাকার মানুষকে প্রাণী পালনের মাধ্যমে স্বনির্ভর করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে । প্রাণী পালনের মাধ্যমে একদিকে যেমন অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা আসবে , অন্যদিকে দুধ , ডিম , মাংস উৎপাদনে রাজ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে । তখন আর বাইরে থেকে এগুলি আমদানী করতে হবে না । বরং রপ্তানী করার সুযোগ আসবে । তিনি বলেন , রাজ্যে জমি রয়েছে , কৃষক রয়েছে , কৃষকদের স্বনির্ভর হওয়ার মানসিকতা রয়েছে । ইতিমধ্যেই আমাদের রাজ্যে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে । প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তর এই উদ্যোক্তাদের সঠিক সহযোগিতা করবে । তিনি বলেন , রাজ্যে ১২ টি ভেটেরিনারী মোবাইল ভ্যান পরিষেবা চালু করা হবে । পশু – পাখীদের রোগ নির্ণয় এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ক্ষেত্রে পরিষেবা দেবে এই মোবাইল ভ্যানগুলি । অনুষ্ঠানে বিধানসভার উপাধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন , রাজ্য সরকারের লক্ষ হল রাজ্যের প্রতিটি পরিবারকে স্বনির্ভর করে তোলা । তিনি বলেন , রাজ্য সরকারের শিক্ষা , স্বাস্থ্য , খাদ্য , কৃষি , পরিবহণ , প্রাণীসম্পদ বিকাশ , মৎস প্রতিটি দপ্তর রাজ্যের মানুষের কল্যাণে কাজ করছে । এদিনের অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন যুবরাজনগর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান শ্রীপদ দাস , কালাছড়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন টিংকু শর্মা , দপ্তরের যুগ্ম অধিকর্তা ডা . বিমল কৃষ্ণ দাস । অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উত্তর ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি ভবতোষ দাস । অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দপ্তরের ধর্মনগরস্থিত কার্যালয়ের উপঅধিকর্তা ডা . প্রাণকুমার দাস । উল্লেখ্য , এদিনের অনুষ্ঠানে উত্তর ত্রিপুরা জেলার ৩৯ জন এবং ঊনকোটি জেলার ১০ জন সুবধাভোগীকে উন্নত প্রজাতির গরু বিতরণ করা হয় । উত্তর ত্রিপুরা জেলার যুবরাজনগর ব্লকের উপ্তাখালি গ্রামপঞ্চায়েতের ১৯ জন এবং কালাছড়া ব্লকের আলগাপুর গ্রামপঞ্চায়েতের ২০ জন সুবিধাভোগীদেরকে এদিন গরু বিতরণ করা হয়েছে । নথ – ইস্টার্ন কাউন্সিলের আর্থিক সহায়তায় এই প্রকল্পটি রাজ্যে রূপায়ণ করা হচ্ছে । সুবিধাভোগী পিছু নব্বই হাজার টাকা করে ব্যয় হচ্ছে । এর মধ্যে উন্নত প্রজাতির গরু , ছয় মাসের জন্য গরুর খাদ্য , গরুর থাকার জন্য ঘর নির্মাণের জন্য নয় হাজার টাকা , গরুর বীমা , ঘাস চাষ ইত্যাদি বিষয় প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ।