Sunday, September 8, 2024
বাড়িখবররাজ্যরাজ্যের গ্রামীণ এলাকার প্রতিটি বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে মিশন...

রাজ্যের গ্রামীণ এলাকার প্রতিটি বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে মিশন মুডে কাজ চলছে বললেন পানীয়জল ও স্বাস্থ্যবিধান মন্ত্রী

জলজীবন মিশনের মাধ্যমে রাজ্যের গ্রামীণ এলাকার প্রতিটি বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে পানীয়জল ও স্বাস্থ্যবিধান দপ্তর মিশন মুডে কাজ করছে । আজ সচিবালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যে জল জীবন মিশনের কাজের অগ্রগতি এবং বাস্তবায়ন সম্পর্কে পানীয়জল ও স্বাস্থ্যবিধান দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে একথা জানান । তিনি জানান , ২০১৯ সালে জলজীবন মিশন প্রকল্প চালু হয় । রাজ্যের গ্রামীণ এলাকার ৭,৬০,০৫২ টি বাড়ীর মধ্যে এখন পর্যন্ত জনজীবন মিশন প্রকল্পে ৩,৫৭,৯৭৩ টি বাড়িতে ট্যাপ সংযোগের মাধ্যমে পানীয় জলের সংযোগ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে । জলজীবন মিশন প্রকল্প চালু হওয়ার আগে রাজ্যের গ্রামীণ এলাকায় মাত্র ২৪,৫০২ টি বাড়িতে ট্যাপ সংযোগের মাধ্যমে পানীয় জল পৌঁছানো হয়েছিল । শতাংশের নিরিখে এই হার ছিল ৩২২ শতাংশ । এখন পর্যন্ত রাজ্যে মোট ৩,৮২,৪৭৫ টি বাড়িতে ট্যাপ সংযোগের মাধ্যমে পানীয়জল পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে । এতে ৫০.৩২ শতাংশ বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে । যা জাতীয় গড় থেকে বেশি । টেপ সংযোগের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি পানীয়জল প্রদানের ক্ষেত্রে বর্তমানে দেশের মধ্যে ত্রিপুরা ১৬ তম স্থানে ও উত্তর পূর্বাঞ্চল রাজ্যগুলির মধ্যে পঞ্চম স্থানে রয়েছে । সাংবাদিক সম্মেলনে পানীয়জল ও স্বাস্থ্যবিধান দপ্তরের মন্ত্রী আরও জানান , সারা রাজ্যে ১,১৭৮ টি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ভিলেজ কমিটির মধ্যে মোট ৮৭২৩ টি পাড়া রয়েছে । এর মধ্যে ১,৪৭৬ টি পাড়ায় ১০০ শতাংশ ট্যাপ সংযোগের মাধ্যমে পানীয়জল পৌঁছানো হয়েছে । ১,১৮৫ টি পাড়ায় ট্যাপ সংযোগের মাধ্যমে পানীয়জল পৌঁছানো হয়েছে ৭৫ থেকে ১০০ শতাংশ । ১,৫৪৭ টি পাড়ায় ট্যাপ সংযোগের মাধ্যমে পানীয়জল পৌঁছানো হয়েছে ৫০ থেকে ৭৫ শতাংশ এবং ২,৭৬২ টি পাড়ায় ট্যাপ সংযোগের মাধ্যমে পানীয়জল পৌঁছানো হয়েছে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত । মন্ত্রী জানান , রাজ্যের ৮ টি জেলার ৪,৫৩৬ টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩,৪০৭ টি বিদ্যালয়ে ট্যাপ সংযোগের মাধ্যমে পানীয়জলের সংযোগ প্রদান করা হয়েছে । শতাংশের নিরিখে এই হার হলো ৭৫.১১ শতাংশ । তিনি জানান , রাজ্যের ৮ টি জেলায় ৮,৯৩২ টি অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্র রয়েছে । এরমধ্যে ৪,৭৩৫ টি অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রে ট্যাপ সংযোগের মাধ্যমে পানীয়জলের সংযোগ প্রদান করা হয়েছে । অবশিষ্ট বিদ্যালয় এবং অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রগুলিতে পানীয়জলের সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে দপ্তর কাজ করছে । পানীয়জল স্বাস্থ্য বিধান দপ্তরের মন্ত্রী জানান , রাজ্যের গ্রামীণ এলাকায় মোট ৯১৫ টি আয়রন রিমোভাল প্ল্যান্ট রয়েছে । আরও প্রায় ১,৩০০ টি নতুন আইরন রিমোভাল প্ল্যান্ট স্থাপনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে দপ্তরের । রাজ্যের গ্রামীণ এলাকায় মোট ২,২২০ টি ডিপ টিউবওয়েল রয়েছে । আরও প্রায় ১,২০০ টি ডিপটিউবওয়েল করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে । স্মল বোর ডিপ টিউবওয়েল রয়েছে ৩,৭৫৮ টি । আরও পর্যাপ্ত সংখ্যায় মল বোর ডিউ টিউবওয়েল স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে দপ্তরের । * ২ য় পাতায় সাংবাদিক সম্মেলনে পানীয়জল ও স্বাস্থ্য বিধান দপ্তরের মন্ত্রী জানান , আগামী ১ বছরের মধ্যে প্রতিটি পাড়া , বিদ্যালয় , অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রে বিশুদ্ধ পানীয়জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করছে দপ্তর । জলজীবন মিশন প্রকল্পে কাজের সফলতা নিরিখে কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ কোটি টাকা পুরস্কার স্বরূপ রাজ্যেকে প্রদান করেছে বলে জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী । সাংবাদিক সম্মেলনে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী জানান , রাজ্যে কালচারাল হাব গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে । কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজ্যে কালচারাল হাব গড়ে তোলার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন বলে জানান মন্ত্রী । এছাড়া রাজ্যের খেলাধুলার মানোন্নয়নে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলার বিষয়ে কেন্দ্রীয় ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক মন্ত্রী সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলেও সাংবাদিক সম্মেলনে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী জানান । সাংবাদিক সম্মেলনে পূর্ত দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে এবং পানীয়জল ও স্বাস্থ্যবিধান দপ্তরের চিফ ইঞ্জিনীয়ার রাজীব দেববর্মা উপস্থিত ছিলেন ।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

5 + 11 =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য