ভারতীয় মজদুর সংঘের সাথে অনুমোদিত ত্রিপুরা চা মজদূর সংঘের পক্ষ থেকে আগরতলার প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্তিত ছিলেন চা মজদুর সংঘের সভাপতি হরিপদ নায়েক সাধারন সম্পাদক তপন কুমার দে, চা মজদুর সংঘের প্রভারি উত্তম সরকার। এই দিনের সাংবাদিক সম্মেলনে তপন কুমাদ দে বলেন চা বাগানের মধ্যে পাম ওয়েল, লেবু ও সুপারি চাষ: চা শিল্প ও শ্রমিকদের ভবিষ্যতের জন্য মারাত্মক হুমকিবর্তমানে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, বিভিন্ন চা বাগানের মালিকপক্ষ চা বাগানের ভেতরে পামওয়েল, লেবু ও সুপারি চাষ শুরু করেছেন অথবা পরিকল্পিতভাবে তা চালু করছেন। এই প্রবণতা শুধুমাত্র চা গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধির পরিপন্থী নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদে চা বাগানের অর্থনৈতিক কাঠামো ও শ্রমিকদের জীবিকা ধ্রুংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।চা গাছের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ আলো, আর্দ্রতা ও মাটির পুষ্টি প্রয়োজন। পাম ওয়েল, লেবু ও সুপারি গাছ বড় আকারের হওয়ায় অতিরিক্ত ছায়া সৃষ্টি করে এবং মাটির পুষ্টি শোষণ করে নেয়, যার ফলে চা গাছের উৎপাদন ক্ষমতা ক্রমশ হ্রাস পায়।-এর ফলে চা পাতার গুণমান কমে যায়, যা বাজারে চা শিল্পের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানকে দুর্বল করে তোলে। শেষ পর্যন্ত এর আর্থিক ক্ষতি বহন করতে হয় শ্রমিক ও স্থানীয় অর্থনীতিকে।যেই সব চা বাগান গুলিতে পাম ওয়েল চাষ করা হয় সেগুলো হল বিনোদীনী চা বাগান, ফটিকছড়া চা বাগান, মহাবীর চা বাগান, কলাছড়া চা বগান, মেঘলি পাড়া চা বাগান।



