পরিবহণমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী রাজ্যের ৮ জন ‘রাহবীর’কে আজ সংবর্ধনা ও পুরস্কৃত করেন। কেন্দ্রীয় সরকারের ‘রাহবীর’ প্রকল্পে রাজ্যে এই প্রথম ৮ জন নাগরিককে তাদের মানবিক কাজের স্বীকৃতি হিসাবে ‘রাহবীর’ সম্মানে সম্মানিত এবং পুরস্কৃত করা হয়। সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের গোল্ডেন আওয়ার অর্থাৎ দুর্ঘটনার ১ ঘন্টার মধ্যে দ্রুত চিকিৎসা পরিষেবার আওতায় এনে আহতদের জীবন বাঁচানোর ক্ষেত্রে দায়বদ্ধতার স্বীকৃতি হিসাবে কেন্দ্রীয় সরকার পূর্বতন ‘গুড সামারিটেন’ প্রকল্পকে পরিবর্তিত করে ‘রাহবীর’ প্রকল্পের সূচনা করেছে। রাজ্যের যে ৮ জনকে আজ ‘রাহবীর’ সম্মানে সম্মানিত করা হয় এরা হলেন বাবুলাল দেবনাথ, টিটু দত্ত, উত্তম পাল, শ্যামল দাস, সন্তোষ দাস, বিশ্বজিৎ চৌধুরী, জয়ন্ত সিনহা এবং মিংচুং নোঙ্গা।
পরিবহণমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী ১৭তম স্টেট রোড সেফটি কাউন্সিলের বৈঠকের শুরুতে সচিবালয়ের কনফারেন্স হলে প্রত্যেকের হাতে শংসাপত্র এবং চেক তুলে দেন। নতুন এই ‘রাহবীর’ প্রকল্পে প্রত্যেক দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসা পরিষেবার আওতায় আনার জন্য রাহবীরকে ২৫ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রকল্পের নিয়ম অনুসারে কোনও দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিকে যদি একাধিক ব্যক্তি উদ্ধার করে চিকিৎসার আওতায় নিয়ে আসেন তবে সেক্ষেত্রে পুরস্কৃত অর্থের পরিমাণ সমহারে ভাগ করে দেওয়ার সংস্থান রয়েছে।
আজকের বৈঠকে উপস্থিত অর্থসচিব অপূর্ব রায়, খাদ্য দপ্তরের বিশেষ সচিব দেবপ্রিয় বর্ধন, ট্রান্সপোর্ট কমিশনারেট তথা পরিবহণ দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব সুব্রত চৌধুরী, রাজ্য পুলিশের আই.জি.পি. (আইন শৃঙ্খলা) মঞ্চাক ইপার, ট্রাফিক দপ্তরের সুপার কান্তা জাঙ্গির রাহবীরদের সম্মানিত করেন। পরিবহণমন্ত্রী শ্রী চৌধুরী নতুন এই প্রকল্প চালু করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণমন্ত্রী নীতিন গড়করিকে ধন্যবাদ জানান। এছাড়াও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য দপ্তরের অধিকর্তা সুমিত লোধ, উচ্চশিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা অনিমেষ দেববর্মা, পরিবহণ দপ্তরের যুগ্ম সচিব মৈত্রী দেবনাথ এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্ধ্বতন আধিকারিকবৃন্দ।



