Wednesday, November 19, 2025
বাড়িখবররাজ্যস্বচ্ছতার সঙ্গে বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণ করে সরকার রাজ্যের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞকে এগিয়ে নিয়ে...

স্বচ্ছতার সঙ্গে বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণ করে সরকার রাজ্যের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে মুখ্যমন্ত্রী

দেশের বিভিন্ন শহরে বসবাসরত মানুষের জন্য বিশুদ্ধ পানীয়জলের ব্যবস্থা করাই হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অন্যতম লক্ষ্য। তাই প্রধানমন্ত্রী ২০২১ সালে আমুত ২.০ প্রকল্পের সূচনা করেন। এই প্রকল্পে রাজ্যেও শহরগুলির প্রত্যেকটি বাড়িতে বিশুদ্ধ পানীয়জল পৌঁছে দেওয়ার কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে। আমুত ২.০ প্রকল্পের অধীনে জলবোর্ড গঠনের মধ্য দিয়ে আজ ঘরে ঘরে বিশুদ্ধ পানীয়জল পৌঁছে যাচ্ছে। সরকারের লক্ষ্য একটি পরিবারও যেন পানীয়জলের পরিষেবা থেকে বাদ না যায়। আজ রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা আমুত ২.০ প্রকল্পে আগরতলা পুরনিগম এলাকায় নির্মিত বিভিন্ন কাজের উদ্বোধন করে একথা বলেন। তিনি বলেন, জলই জীবন, জল ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে না। তাই রাজ্য সরকার ১০০ শতাংশ মানুষকেই বিশুদ্ধ পানীয়জল পরিষেবার আওতায় নিয়ে আসতে চায়। বর্তমান সরকার যা প্রতিশ্রুতি দেয়, তা বাস্তবায়ন করে দেখায়। আজকের এই উদ্বোধন কর্মসূচি তার প্রকৃত উদাহরণ। শুধু কথায় নয়, স্বচ্ছতার সঙ্গে বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণ করেই সরকার রাজ্যের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে। উল্লেখ্য, আগরতলার বিভিন্ন ওয়ার্ডে আদ্ভুত ২.০ প্রকল্পে রূপায়িত ৪৫টি ডিপ-টিউবওয়েল এবং ২৭টি আয়রন রিম্যুভেল প্ল্যান্টের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা।

অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্য সরকার প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়নের মধ্য দিয়ে রাজ্যের প্রতিটি মানুষের জীবনযাত্রাকে স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ করতে চায়। রাজ্যে উন্নয়ন হচ্ছে তার প্রকৃত পথ ধরেই। মনে রাখতে হবে উন্নয়নমূলক কাজের ক্ষেত্রে আত্মতৃপ্তির অবকাশ নেই। মানুষের কল্যাণেই সবসময় কাজ করে যেতে হবে। সরকার সেই দিশায় চলছে। ত্রিপুরার জলবোর্ড গঠন করাও তার অন্যতম লক্ষ্য। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরা জলবোর্ডের মাধ্যমে ১৬ হাজার ২২৪টি পরিবারে পানীয়জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। সরকার আগরতলা পুরনিগম এলাকার পাশাপাশি অন্যান্য মহকুমা শহরগুলিকেও আধুনিকীকরণের জন্য টুডা-এর মাধ্যমে টাউনশিপ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। শুধু শহর নয় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় গ্রামীণ এলাকার মানুষদের জন্য পাকা ঘর করে দেওয়া হচ্ছে। একই ছাদের তলায় সরকারি সমস্ত পরিষেবা প্রদানের লক্ষ্যে আগরতলার গোর্খাবস্তীতে গড়ে তোলা হচ্ছে জি+ ক্যাটাগরিতে পেন্ডুলাম আকৃতির পাকা ভবন। এছাড়া আগরতলা শহরকে যানজট মুক্ত রাখতে করা হচ্ছে ইস্ট ওয়েস্ট রিং রোড। সরকারের লক্ষ্য উন্নয়নমূলক কাজে মানুষকে পাশে নিয়ে রাজ্যের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞকে ত্বরান্বিত করা। রাজ্যে কয়েক বছরে উন্নয়ন কর্মসূচি রূপায়ণের মধ্য দিয়ে আগরতলা শহর, অন্যান্য মহকুমার শহরগুলিও সেজে উঠেছে। তাই রাজ্যের বাইরে থেকে আসা পর্যটকরাও রাজ্যের নতুন রূপ দেখে প্রশংসা করে যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে ভাষণে আগরতলা পুরনিগমের মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার বলেন, এই প্রকল্প রূপায়ণে আগরতলা পুরনিগম এলাকার মানুষদের দীর্ঘদিনের চাহিদা পূরণ হলো। মানুষের জন্য পুরনিগম জল নিকাশি ব্যবস্থা সহ নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। কাজ চলছে আগরতলা শহরকে একটি স্মার্ট সিটিতে পরিণত করার। এছাড়া ভাষণ রাখেন পানীয়জল ও স্বাস্থ্যবিধান এবং আরবান ডেভেলপমেন্ট দপ্তরের সচিব অভিষেক সিং। এছাড়াও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র মণিকা দাস দত্ত। স্বাগত ভাষণ রাখেন ত্রিপুরা জলবোর্ডের মুখ্য কার্যনিবাহী আধিকারিক মিহিরকান্তি গোপ। সভাপতিত্ব করেন আগরতলা পুরনিগমের সেন্ট্রাল জোনের চেয়ারম্যান রত্না দত্ত। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য অতিথিদের সামনে আমুত ২.০-এর উপর একটি ভিডিও ক্লিপিং প্রদর্শিত করা হয়।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

six + four =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য