Thursday, November 13, 2025
বাড়িখবররাজ্যসর্দার বল্লভভাই প্যাটেল ঐক্যবদ্ধ ও সমৃদ্ধশালী ভারত গড়তে চেয়েছিলেন

সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল ঐক্যবদ্ধ ও সমৃদ্ধশালী ভারত গড়তে চেয়েছিলেন

ভারতের একতা ও অখন্ডতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। তিনি সব সময় ঐক্যবদ্ধ ও সমৃদ্ধশালী ভারত গড়ার স্বপ্ন দেখতেন। এক ভারত ও শক্তিশালী ভারত গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা আজ উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ প্রাঙ্গণে স্বাধীন দেশের প্রথম উপ প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের ১৫০তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত ইউনিটি মার্চ-এর উদ্বোধন করে একথা বলেন। যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তর এই ইউনিটি মার্চ-এর আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের যুব বিষয়ক ও ক্রীড়ামন্ত্রক এই প্রথমবারের মতো ইউনিটি মার্চ-এর সূচনা করেছে। এ লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় গৃহ মন্ত্রণালয় সারা বছরব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। রাজ্য সরকারও নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হলো আমাদের মধ্যে দেশপ্রেমের ভাবনা জাগ্রত করা, দেশকে শক্তিশালী করা। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বল্লভভাই প্যাটেলের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা প্রদর্শনের লক্ষ্যে ২০১৪ সালে ৩১ অক্টোবর তাঁর জন্মদিনটিকে একতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। আগে কোন প্রধানমন্ত্রী এই ঘোষণা দেননি। সাথে সাথে প্রধানমন্ত্রী দেশের যে সকল বীর সন্তান দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে প্রাণ দিয়েছেন তাদের প্রতিও সম্মান জ্ঞাপনের উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি বলেন, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল এক ঐক্যবদ্ধ ও সমৃদ্ধশালী ভারত গড়তে চেয়েছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন ভারতের বৈচিত্র্যের মধ্যেই ঐক্য বিরাজমান। তিনি বলেন, ভারতের স্বাধীনতা লাভের পর সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল প্রায় ৫৬২টি রাজন্যশাসিত অঞ্চলকে আমাদের দেশের সাথে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। সেটা সম্ভব হয়েছিল যখন তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। তবুও আজ আমরা দেখতে পাই দেশের ভিতরে ও বাইরে কিছু অশুভ শক্তি দেশকে দুর্বল করতে চাইছে। দেশের অখন্ডতা বিঘ্ন করার জন্য যারা এ ধরণের কাজে লিপ্ত রয়েছেন তাদের প্রতি আমাদের নজর রাখতে হবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের আদর্শ ও চিন্তাধারা নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে ২০১৮ সালে গুজরাটের নর্মদা নদীর তীরে তাঁর এক পূর্ণাবয়ব মূর্তির উদ্বোধন করেন। যা বিশ্বের সবচেয়ে উচ্চতম স্ট্যাচু। আজ দেশ-বিদেশের বহু দর্শনার্থী এই মূর্তি দর্শন করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বল্লভভাই প্যাটেলের আদর্শ ও লক্ষ্যকে সামনে রেখে এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত গড়ার ডাক দিয়েছেন। নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবার আহ্বান জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী ইউনিটি মার্চে অংশগ্রহণকারী সকলকে অভিনন্দন জানান।

অনুষ্ঠান শুরুর আগে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা, যুব বিষয়ক ও ক্রীড়ামন্ত্রী টিস্কু রায়, রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য, পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাধিপতি বিশ্বজিৎ শীল, বিধায়ক মিনারাণী সরকার, পশ্চিম জেলার জেলাশাসক ডা. বিশাল কুমার প্রমুখ সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। বৈদিক সংস্থার শিল্পীগণ বন্দেমাতরম সংগীতটি পরিবেশন করেন। মুখ্যমন্ত্রী ইউনিটি মার্চের বিষয়ে সকলকে শপথ বাক্য পাঠ করান। এরপর মুখ্যমন্ত্রী সবুজ পতাকা নেড়ে ও আকাশে বেলুন উড়িয়ে ইউনিটি মার্চের সূচনা করেন। ইউনিটি মার্চ উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়। ইউনিটি মার্চে মুখ্যমন্ত্রী, ক্রীড়ামন্ত্রী, সাংসদ, ভারপ্রাপ্ত সভাধিপতি, বিধায়ক, জেলাশাসক ছাড়াও যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের অধিকর্তা এল ডার্লং, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য, পশ্চিম জেলার পুলিশ সুপার নমিত পাঠক, দ্রোণাচার্য পুরস্কার প্রাপ্ত কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দী, অর্জুন পুরস্কার বিজয়ী মন্টু দেবনাথ সহ বিএসএফ, সিআরপিএফ, আসাম রাইফেলস, টিএসআর-এর জওয়ানগণ, এনসিসি, এনএসএস-এর ক্যাডেটগণ, বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীগণ অংশ নেন। এই পদযাত্রা হাঁপানিয়াস্থিত আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গণে এসে সমাপ্ত হয়। সমাপ্তি অনুষ্ঠানে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়ামন্ত্রী টিচ্ছু রায় সকলকে নেশামুক্ত ভারত ও ত্রিপুরা গড়ার বিষয়ে শপথ বাক্য পাঠ করান।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

fifteen − eleven =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য