যে নিজের কর্মজীবনে যত বেশী নাকারত্মকতাকে সরিয়ে সাকারাত্মক হতে পারে সে ই জীবনে সবচেয়ে সুখি হয়। ২৫ বছর রাজ্যের কর্মচারী ও শ্রমিকদের বন্ধক করা মজদুর বানিয়ে রেখেছিল। এই শ্রমিকদের চাঁদা দিয়ে তৈরি হয়েছিল সিপিআইএম পার্টি। কিন্তু কোন শ্রমিক তাদের সময় মুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রী বা কোন গুরুত্বপূর্ণ পদ পায় নি। তখন যদি বিরোধীরা এই তথ্য তুলে ধরত তাহলে কমিউনিস্ট একদিনও এ রাজ্যে টিকতে পারত না। বরং তারাও কমিউনিস্টদের মতোই কায়দা নিয়ে বসেছিল। তারা কমিউনিস্টদের পথেই রাজনীতি করতো যে কারনে কমিউনিস্টরা এতো বছর টিকে ছিল। শনিবার রাজধানীর রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে বিবেকানন্দ বিচার মঞ্চের উদ্যোগে আয়োজিত হয় ‘উন্নয়নের দিশায় চার বছর’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব একথা বলেন। এদিনের অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার , খাদি বোর্ডের চেয়ারম্যান রাজীব ভট্টাচার্যসহ অন্যান্যরা। এদিন প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে সভার আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রীসহ অন্যান্য অতিথিরা। তাছাড়া এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নের উত্তরে আমি বলেছি যে আমার সবচেয়ে বড় উপলব্ধী এই যে আমি ত্রিপুরার অধিকাংশ মানুষের চাল, চরিত্র, চেহারা বদলাতে পেরেছি। সাকারাত্মক মানসিকতাই আপনাকে সুখি করতে পারবে। কমিউনিস্টরা ব্রিটিশদের চাইতেও খারাপ, তারা এসসি, এসটি ও জেনারেলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে রেখেছিল। তাদের নীতি হচ্ছে আটকে রাখার নীতি। রাজনীতি কমিউনিস্টদের পেশা। বর্তমান রাজ্য সরকার শুধু আপনার নয় আপনার ছেলে মেয়ের জন্যেও চিন্তা করে। তাদের জন্য তৈরি হচ্ছে ফরেন্সিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এদিনের সভায় দলীয় কার্যকর্তাদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।