নিজেদের চিন্তা চেতনাকে আরও শানিত করে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে নতুন নতুন বিষয় উদ্ভাবনে ছাত্রছাত্রীদের বেশি করে মনোনিবেশ করতে হবে। নতুন নতুন বিষয় জানার জন্য প্রযুক্তিকে যথাযথভাবে ব্যবহার করতে হবে। তবেই ছাত্রছাত্রীরা যেমন বেশি করে সাফল্যের মুখ দেখবে তেমনি সমাজ উপকৃত হবে। আজ চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়ে রাজ্যের ১১টি সরকারি মহাবিদ্যালয়ে ওয়াইফাই সংযোগ প্রদান এবং মুখ্যমন্ত্রী যুব যোগাযোগ যোজনা ২০২৪-২৫ এর উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শিক্ষা সহ উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রের সাথে প্রযুক্তিকে ব্যবহার করার উপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন। প্রযুক্তি ব্যবহার করেই আজ দেশ কৃষি, স্বাস্থ্য, প্রতিরক্ষা সহ সর্বক্ষেত্রেই উন্নয়নের শিখরে উঠেছে এবং এই পথ অনুসরণ করেই ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতবর্ষ এক সর্বশ্রেষ্ঠ দেশ হিসেবে গড়ে উঠতে চলেছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মার্গ দর্শনেই ত্রিপুরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে। উন্নয়নের মানচিত্রে ত্রিপুরা আজ দেশের সামনের সারির রাজ্যগুলির মধ্যে জায়গা করে নিচ্ছে। সাক্ষরতার ক্ষেত্রে ত্রিপুরার স্থান হচ্ছে তৃতীয়।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষা, কৃষি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের উন্নয়নে রাজ্য সরকার প্রযুক্তির ব্যবহারের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যুব যোগাযোগ যোজনায় ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে ২০ হাজার শিক্ষার্থীকে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে স্মার্টফোন দেওয়া হবে। সরকার এই প্রকল্পের সময়সীমা ২০২৬-২৭ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে। তিনি বলেন রাজ্যের গ্রাম শহর সহ সমস্ত এলাকাকে ইন্টারনেট পরিষেবার আওতায় আনার জন্য রাজ্য সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। রাজ্যের কলেজগুলিতে ওয়াইফাই পরিষেবা চালু হওয়ায় ছাত্রছাত্রীরা বিশেষ করে উপকৃত হবে। তিনি বলেন, শিক্ষার সাথে প্রযুক্তির ব্যবহার আজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে। মনে রাখতে হবে যাদের কাছে জ্ঞানের ভান্ডার বেশি থাকবে তারা তত নিজেদের সমাজের উচুস্তরে নিয়ে দেশ গঠনের কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারবে।
বিশেষ অতিথির ভাষণে অর্থ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায় বলেন, কলেজের পাশাপাশি বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারগুলিকেও ইন্টারনেট পরিষেবার আওতায় আনা হবে। রাজ্যের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ডিজিট্যাল পরিষেবার সাথে যুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। এতে ছাত্রছাত্রীরা বিশেষভাবে উপকৃত হবে। তিনি বলেন, ১২.৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে মুখ্যমন্ত্রী যুব যোগাযোগ যোজনায় ৩০টি কলেজে দ্বিতীয় পর্যায়ে ওয়াইফাই সংযোগ এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হবে। বিশেষ অতিথির ভাষণে উচ্চশিক্ষামন্ত্রী কিশোর বর্মণ বলেন, এই কর্মসূচি রূপায়ণের মাধ্যমে রাজ্যের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হচ্ছে। এই উদ্যোগ ছাত্রছাত্রীদের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য প্রযুক্তি দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে। ধন্যবাদসূচক বক্তব্য রাখেন তথ্য প্রযুক্তি দপ্তরের অধিকর্তা জেয়া রগুল গণেশন বি.। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা অনিমেষ দেববর্মা, শচীন দেববর্মণ মিউজিক কলেজের অধ্যক্ষ এম দাস, চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ অভিজিৎ ভট্টাচার্য প্রমুখ।



