দুগ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে গোপালকদের নিয়ে সাকার সে সমৃদ্ধি শীর্ষক একদিনের কর্মশালার আয়োজন করল গোমতী কো অপারেটিভ মিল্ক প্রডিউসার্স ইউনিয়ন লিমিটেড। নাবার্ড এবং ন্যাশনাল ডাইরি ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের সহযোগিতায় রাজধানীর মুক্তধারা প্রেক্ষাগৃহে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয় ।কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন এনডিডিবি’র উত্তর পূর্বাঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক সব্যসাচী রায় এবং নাবার্ডের আধিকারিকরা।
আত্মনির্ভর বিকশিত ভারত নির্মাণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্ন ।এই স্বপ্নকে সাকার করে তুলতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সকল গোষ্ঠী ,সকল সম্প্রদায়ের মানুষের কল্যাণের মধ্য দিয়েই এই স্বপ্ন সার্থক হওয়া সম্ভব ।বিভিন্ন গুষ্টির মধ্যে রয়েছেন গোপালক কৃষকরাও। বিকশিত ভারতে তাদেরও ভূমিকা রয়েছে ।রাজ্যের গোপালোকদের উন্নয়নের লক্ষ্যে সোমবার রাজধানীর মুক্তধারা প্রেক্ষাগৃহে একদিনের কর্মশালার আয়োজন করা হয় ।গোমতী কো-অপারেটিভ মিল্ক প্রডিউসার্স ইউনিয়ন লিমিটেড এই কর্মশালার আয়োজন করে ।নাবার্ড এবং ন্যাশনাল ডায়েরি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড তথা এনডিডিবি’র সহযোগিতায় এই কর্মশালার আয়োজন করা হয় ।এই কর্মশালার লক্ষ্য রাজ্যের গোপালকরা কিভাবে গরুর চিকিৎসা করবেন ,দুধ উৎপাদন বৃদ্ধিতে কি ধরনের গোখাদ্য ব্যবহার করা হবে ,দুগ্ধ বাই সমিতিগুলি কিভাবে পরিচালনা করতে হবে ,কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প গুলি কিভাবে বাস্তবায়িত করতে হবে ইত্যাদি বিষয়গুলি নিয়ে গোপালকদের অবগত করা।এই কর্মশালার আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন এন ডিডিবি অর্থাৎ ন্যাশনাল ডায়েরি ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের উত্তর পূর্বাঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক সভ্যসাচী রায় ,এনডিডিবি’র এক অধ্যক্ষ এবং নাবার্ডের আধিকারিকরা ।সোমবার গোমতী কো-অপারেটিভ মিল্ক প্রডিউসারস ইউনিয়ন লিমিটেডের চেয়ারম্যান রতন ঘোষ এই সংবাদ জানান।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে রাজ্যে এখন পর্যন্ত ১৭৯ টি দুগ্ধ সমিতি রয়েছে ।এই সমিতি গুলির অধীনে রাজ্যে মোট ৬২০৪ জন প্রাণী কৃষক রয়েছেন ।রাজ্যে দুগ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধি করতে গেলে প্রাণী কৃষকদের সংখ্যা ৬২০৪জন থেকে বৃদ্ধি করে দশ হাজার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ।কিভাবে গো পালকদের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি করা যায় সেই প্রসঙ্গ নিয়েও এদিনের কর্মশালায় বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।



