ত্রিপুরা গ্রামীণ জীবিকা মিশনের অধীনে স্বনির্ভর দল আন্দোলন রাজ্যের গ্রামীণ মহিলাদের আর্থসামাজিক ক্ষমতায়নের জন্য এক দৃঢ় ভিত্তি গড়ে তুলেছে ।শনিবার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে ত্রিপুরা গ্রামীণ জীবিকা মিশনের এক অনুষ্ঠানে এই কথা বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার মানিক সাহা ।মুখ্যমন্ত্রী আরো জানান, মহিলাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন না হলে দেশের সার্বিক বিকাশ সম্ভব হবে না।
শনিবার রাজধানীর রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে রাজ্য সরকারের গ্রাম উন্নয়ন দপ্তরের ত্রিপুরা গ্রামীণ জীবিকা মিশনের উদ্যোগে সমৃদ্ধি -আর্থিক দক্ষতার পথে এক অনন্য পদক্ষেপ -শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ।এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার মানিক সাহা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন গ্রাম উন্নয়ন দপ্তরের সচিব অভিষেক সিং ,অর্থ দপ্তরের সচিব অপূর্ব রায় সহ অন্যান্যরা ।মূলত গ্রামীণ মহিলাদের আর্থিক সমৃদ্ধির লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ গুলি এই অনুষ্ঠানে তুলে ধরা হয় ।উল্লেখ্যঃ, ত্রিপুরা গ্রামীণ জীবিকা মিশনের সহায়তায় ৪ লক্ষ ৮৬ হাজার গ্রামীণ মহিলা উপকৃত ।এরা ৫৪ হাজার ১৭০টি স্বনির্ভর দল ,২৪৭১ টি গ্রামীণ সংগঠন এবং ১৭৪টি ক্লাস্টার স্তরের ফেডারেশনের অংশ ।এই সমস্ত মহিলাদের আর্থসামাজিক বিকাশের লক্ষ্যে টি আর এল এম বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে টিআরএলএম-এর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার মানিক সাহা ।এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন ,মহিলাদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন নিয়ে কেউ চিন্তা ভাবনা করেন নি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই ক্ষেত্রে একাধিক উদযোগ গ্রহণ করেছেন ।তিনি বলেন, এই সমস্ত প্রকল্পগুলির সুযোগ সুবিধা সমাজের অন্তিম মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এতদিন দেশের উন্নয়নের কোন লক্ষ্যমাত্রাই ছিল না। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি এই লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছেন। দেশের স্বাধীনতার ১০০ বছর পূর্ণের সময় আমরা বিকশিত ভারতে প্রবেশ করব ।এটা সম্ভব করতে গেলে মহিলাদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন একান্ত প্রয়োজন। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, লাখপতি দিদির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে রাজ্য বিশেষভাবে সফল হয়েছে।
এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন গ্রাম উন্নয়ন দপ্তরের সচিব অভিষেক সিং সহ অন্যান্যরা।



