দেড় ঘন্টার ভারী বর্ষণে বানভাসী অবস্থা রাজধানী আগরতলার ।বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল গড়ে 62 মিলিমিটার ।আগামী ২৪ ঘন্টার জন্য দক্ষিণ জেলা, গোমতী ,সিপাহীজলা জেলা, পশ্চিম জেলা এবং খোয়াই জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে ।এমনটাই পূর্বাভাস আবহাওয়া দপ্তরের।
ফের ভারী বর্ষণে বানভাসি রূপ ধারণ করল রাজধানী আগরতলা ।স্মার্ট সিটি লিমিটেডের নবনির্মিত কভার ড্রেনগুলোর জল নিষ্কাশন ব্যবস্থা নিয়ে লুকোমুখে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠল ।বৃষ্টির জলে শহরের নিন্মাঞ্চলগুলি এক প্রকার জলবন্দী হয়ে পড়ে ।এদিন সকাল থেকেই রাজধানীর আকাশ ছিল কালো মেঘে ঢাকা ।থেকে থেকে হালকা বৃষ্টিও হচ্ছিল। কিন্তু সাড়ে দশটা নাগাদ শুরু হয় মুশল ধারায় বর্ষণ। প্রায় দেড় ঘন্টা চলে এই ভারী বর্ষণ ।ভারী বর্ষণের ফলেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে রাজধানীর নির্মাণচল গুলি ।এদিন এমবিবি বিমানবন্দর সংলগ্ন আইএমডির আগরতলা শাখার সাথে যোগাযোগ করা হলে আধিকারিকরা জানান, গভীর রাত থেকে রাজধানীর উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত্যের প্রভাব ছিল ।ইন্ডিয়ান মেট্রো লজিক্যাল ডিপার্টমেন্টের আগরতলা শাখা থেকে তথ্য দিয়ে জানানো হয় ,বুধবার সকালে রাজধানীতে গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৬২ মিলিমিটার ।তবে রাজধানীর ডিএম অঞ্চল এলাকা অর্থাৎ শহরের মূল নাভি কেন্দ্রে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৭১.৫ মিলিমিটার ।সচিবালয় এলাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৩৮ মিলিমিটার। লেম্বুছড়া এলাকায় বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ২৭.৫ মিলিমিটার ।এছাড়া নাগিছড়া এলাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ১৫.৫ মিলিমিটার ।ভারী বর্ষণে শহরে জল জমে যাওয়ায় এদিন অফিস যাত্রীসহ সাধারণ জনগণের ভোগান্তি চরম পর্যায়ে পৌঁছয়। একাধিক মন্ত্রীর সরকারি আবাস জলমগ্ন হয়ে পড়ে ।বিভিন্ন সড়কেই জলের কারণে তীব্র যানজট মানুষের ভোগান্তিকে আরো কয়েকগুণ বাড়িয়ে তোলে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে প্রতি বছরের মত এবারো ১৪ অক্টোবর থেকে রাজ্য থেকে বিদায় নিতে শুরু করবে বর্ষা। বর্ষা বিদায়ের আগে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকে ।সক্রিয় দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু প্রবাহ এবং রাজধানীর উপর সৃষ্ট আংশিক ঘূর্ণাবর্ত- এই জোড়া ফলাতেই বুধবারের সকালের এই ভারী বর্ষণ।