ছদ্দবেশী কিছু দালালদের আস্তানায় পরিণত হয়েছে রাজ্যের প্রধান রেফারেল হাসপাতাল জিবি তথা এজিএমসি ।চিকিৎসাধীন রোগীদের বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করানোর নাম করে পরিজনদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তারা। শনিবার এমনই এক দালালকে হাতেনাতে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মীরা।
রাজ্যের প্রধান রেফারেল হাসপাতাল হল এজিএমসি তথা জীবী হাসপাতাল ।এই হাসপাতালের আউটডোরে প্রতিদিন প্রায় দু হাজারের মতো রোগীর ভিড় জমে। চিকিৎসা পরিষেবা গ্রহণের জন্যই এই ভীর।এর পাশাপাশি দূর দূরান্ত থেকে রেফার করা রোগীরা এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকেন। আর এই প্রধান রেফারেল হাসপাতালেই গড়ে উঠেছে চোর এবং ছিন্তাইবাজদের আস্তানা। এদের সাথে যুক্ত হয়েছে একদল ছদ্মবেশী স্বাস্থ্য কর্মী। এরা দূর-দূরান্ত থেকে আগত রোগীদের বিভিন্ন পরীক্ষা করানোর নাম করে পরিজনদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ।এমনই একটি অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেল শনিবার ।গত ১৫ দিন ধরে কমলা জমাতিয়া নামে এক রুগী এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ।এই চিকিৎসাধীন রোগীর পরিজনদের কাছে এক ছদ্দবেশী দালাল নিজেকে একটি বেসরকারি ল্যাবরেটরির কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে রক্ত সহ অন্যান্য পরীক্ষা করানোর নাম করে ১৫০০ টাকা হাতিয়ে নেয়।আরো একজন দালাল এই রোগীর পরিজনদের কাছ থেকে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর নাম করে ৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।এই দুই দালাল রোগীর পরিজনদের দেখলেই কেটে পড়ছিল। অবশেষে শনিবার একজনকে রোগীর পরিবার হাতেনাতে ধরে ফেলে ।এই ক্ষেত্রে রোগীর পরিবারকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন জিবি হাসপাতালে নিয়োজিত বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীরা। এদিন চিকিৎসাধীন রুগী কমলা জমাতিয়ার পুত্র জানান ,অভিযুক্ত লোকটি তার কাছ থেকে রক্ত পরীক্ষা করানোর নাম করে দেড় হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। কিন্তু দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও ব্লাড টেস্টের কোন রিপোর্ট সে এখন পর্যন্ত রোগীর পরিজনদের হাতে তুলে দেয় নি ।রোগীর পরিজনদের দেখলেই অন্যত্র লুকিয়ে যাচ্ছিল সে।
এদিকে অভিযুক্ত জানায়, দাঁতের ডাক্তার দেখানোর জন্য সে জিবি হাসপাতালে আসে।সংশ্লিষ্ট ঘটনায় কোনমতেই জড়িত নয় সে।তার দাবি, তার উপর মিথ্যে অভিযোগ আনা হয়েছে। এদিন খবর পেয়ে জিবি হাসপাতালে ছুটে আসেন জিবি আউটপোস্টের পুলিশ কর্মীরা।তারা ধৃত অভিযুক্তকে থানায় নিয়ে যান ।অন্যান্য রোগীর পরিজনদের অভিযোগ ,এই ধরনের প্রচুর ছদ্মবেশী দালাল জিবি হাসপাতালে আস্তানা গেরেছে। তাদেরকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন অন্যান্য চিকিৎসাধীন রোগীর পরিজনরা।