সঠিক পথেই এগোচ্ছে রাজ্য। বিরোধীদের অভিযোগ খন্ডন করে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার মানিক সাহা। বৃহস্পতিবার আগরতলার প্রগতি স্কুল মাঠে গরিব ও দুস্থদের মধ্যে বস্ত্রদান অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন ,রাজ্যের মহিলাদের স্বশক্তিকরণ গোটা দেশবাসী প্রত্যক্ষ করছেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদারও। এই অনুষ্ঠানে প্রায় আট হাজার দুস্থ ও গরিবদের মধ্যে বস্ত্র প্রদান করা হয়।
বুধবার রাজধানীর প্রগতি স্কুল ময়দানে দুস্থদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ করেন ৭ রামনগর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা মেয়র দীপক মজুমদার ।এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার মানিক সাহা । এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ বিজেপির সহ সভানেত্রী পাপিয়া দত্ত, বিজেপি সদর শহর জেলা কমিটির সভাপতি অসীম ভট্টাচার্য, স্থানীয় কর্পোরেটররা। এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধীদের বিভিন্ন অভিযোগ খন্ডন করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের পঞ্চায়েত গুলোতে ৫০ শতাংশ মহিলা প্রতিনিধিত্ব করছেন। রাজ্যের মহিলাদের স্বশক্তিকরণ গোটা দেশবাসী প্রত্যক্ষ করছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন ,রাজ্য সঠিক পথেই চলছে ।এর স্বপক্ষে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্যারামিটার গুলি উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা জনিত ন্যাশনাল ব্যুরো অব ক্রাইম এর রিপোর্টে দেশের ২৮ টি রাজ্যের মধ্যে ত্রিপুরা নিচের দিক দিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ।এই অবস্থার আরো পরিবর্তন হবে ।মুখ্যমন্ত্রী জানান ,নীতি আয়োগ রাজ্যকে ফাস্ট গ্রয়িং স্টেট থেকে ফ্রন্ট রানার স্টেট হিসেবে ঘোষণা করেছে ।স্টেট জিএসডিপিতে গোটা উত্তর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে ত্রিপুরা চতুর্থ স্থান থেকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন ,কেন্দ্রীয় সরকারের প্যারামিটার গুলি প্রমাণ করে রাজ্য সঠিক পথেই এগিয়ে চলছে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এলাকার বিধায়ক তথা আগরতলা পৌর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার। তিনি বলেন ,যারাই বিজেপি দলের সাথে যুক্ত রয়েছে ,তাদের কাছে সেবাই ধর্ম ,সেবাই সংগঠন এবং মানুষের পাশে থেকে মানুষের সুখে দুখে মানুষকে নিয়ে এগিয়ে চলাই আমাদের লক্ষ্য। পূজার সময়ও আমরা মানুষের পাশে সাধ্যমত থাকার চেষ্টা করি ।মেয়র আরো বলেন ,শারদ উৎসব এখন সার্বজনীন রূপ পেয়েছে ।এই উৎসব সকলের উৎসব ।জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে আমরা সবাই এই উৎসবে অংশগ্রহণ করি। তিনি আরো বলেন ,উৎসবকে সামনে রেখে উপহার সামগ্রী বিতরণের মাধ্যমে মানুষের সাথে মেশার এই প্রবণতা পূর্বতন সরকারের সময়ে দেখা যায়নি।
এই অনুষ্ঠানের প্রায় আট হাজার দুস্থ জনগণের হাতে নতুন বস্ত্র তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে রামনগর বিধানসভা কেন্দ্রের সব কটি বুথ থেকেই সাধারণ মানুষরা উপস্থিত ছিলেন।