কেবলমাত্র পুজো দেওয়ার জন্যই ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দিরে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ।মঙ্গলবার বিধানসভায় কংরেস বিধায়ক বিরোজিৎ সিনহার সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের উত্তরে এই কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা। এদিন তিপ্রা মথা বিধায়ক পাঠানলাল জমাতিয়া এবং বিশ্বজিৎ কলয় একই প্রশ্ন উত্থাপন করেন।তারা জানান, যার নামে পুজো হয় তাকেই মন্দির উদ্বোধনে আমন্ত্রণ জানানো হলনা।
নবরাত্রির প্রথম দিন সোমবার প্রসাদ প্রকল্পে নতুন কলেবরে সাজিয়ে তোলা সতীর একান্ন পিঠের অন্যতম ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দিরের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ।প্রধানমন্ত্রী মন্দিরে পুজো দিয়ে এর উদ্বোধন করেন ।প্রধানমন্ত্রীর এই অনুষ্ঠানে শরিক দল সহ বিরোধী দলের বিধায়কদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে বিভিন্ন অভিযোগ উঠতে থাকে ।মঙ্গলবার বিধানসভার অধিবেশনেও সংশ্লিষ্ট বিষয়টি তোলেন কংগ্রেস বিধায়ক বিরোজিৎ সিনহা ।তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,মন্দির উদ্বোধন হয়েছে। কার্যত শাসকদলের জন্যই এই অনুষ্ঠান ছিল ।কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সবার। প্রধানমন্ত্রী কোন দলের নয়।
কংগ্রেস বিধায়ক বিরোজিৎ সিনহার এই ক্ষোভ প্রশমনে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা বিধানসভায় বলেন, প্রসাদ প্রকল্পে ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দির কে নতুন কলেবরে সাজিয়ে তোলা হয়েছে ।এই মন্দিরকে ধর্মীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে দেশের সামনে তুলে ধরতে চাই আমরা ।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই মন্দিরে পুজো দিতেই এসেছিলেন ।তিনি আরো জানান ,পূজা দেওয়া ছাড়া প্রধানমন্ত্রী একটি কথাও বলেননি ।এমনকি সাংবাদিক সম্মেলন পর্যন্ত করেননি।
এদিন এই বিষয়টিকে নিয়ে বিধানসভায় প্রশ্ন তোলেন তিপ্রা মথার বিধায়ক পাঠানলাল জমাতিয়া তিনি ক্ষোভ ব্যক্ত করে বলেন ,যার নামে মন্দিরে পুজো হয় তাকেই মন্দির উদ্বোধনে আমন্ত্রণ জানানো হলো না। মথা বিধায়ক বিশ্বজিৎ কলয়ও এদিন বিধানসভায় সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।